জীবনের এই বন্দরে বসবাস, কত রকম আনন্দ-বেদনা আসবে। কিছুই থাকে না স্থায়ী হয়ে, না সুখ, না দুঃখ। কষ্টগুলোও আসে, থেকে চলে যায়। সুখের বন্যা বয়ে যায়, আবার ক'দিন বাদেই জীবনের সুখের সময় খুঁজতে বের হতে হয়। বারবার তাঁর কথা ভুলে যাই, বিস্মৃত হয়ে যাই তাই হয়ত আল্লাহ এমন বৈচিত্র্য দিয়েই আমাদের ব্যস্ত রাখেন -- যেন গন্তব্য আর এই চলার পথের দুই ভিন্ন স্বাদকে এক করে বিভ্রান্ত না হই। জীবনে কঠিন সময় আসে, কখনো কখনো সবাই অবিশ্বাস করতে শুরু করে, কাছের মানুষরাও আশাহত হয়ে যেতে পারে, সবকিছুর হিসেব একদম উলটে পালটে যেতে পারে। অনেক কিছু হয়ত ছিলো চারপাশে, এক দমকা হাওয়ায় হয়ত সব হারিয়ে যেতে পারে। অথচ, এই সবকিছুকে উপলব্ধি করতে পারাও একটা ক্ষমতা, এই অস্তিত্বের প্রতিটি মূহুর্তই অনেকগুলো *প্রাপ্তির* উপরেই দাঁড়ানো।
যখন হয়ত সবকিছু এলোমেলো, কষ্টময়; যখন হয়ত সামনে কোন পথ নেই জানা, যখন হয়ত এমন কেউ নেই যে আমাদের উপরে বিশ্বাস রাখবে, যখন হয়ত আমাদের ব্যর্থতা, দুর্বলতাকে ভুলে মূল্যায়ন করার মতন কেউ থাকে না, যখন সবাই বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে -- তখন একজন থাকেন, যিনি আমাদের কান্নার পানির মূল্য দিতেই অপেক্ষা করেন, তখনো তিনি তার ভালোবাসা দিয়ে সিক্ত করে দিতে আমাদের হাত দু'টি তুলে কেবলই তার কাছে অধীর হয়ে চাওয়াকে পছন্দ করেন। তাঁর কাছে আমাদের প্রতিটি আর্তি, প্রতিটি কান্নার মূহুর্ত, প্রতিটি ভালোবাসার মূহুর্তগুলো তিনি খুব পছন্দ করেন।
কেমন করে হয়, কীভাবে হয়-- এইসব তো সেই ক্ষুদ্র-তুচ্ছ মানুষদের চিন্তা, যারা এই গন্ডির বাইরে ভাবতে পারে না। আল্লাহর জন্য 'হও' বললেই হয়ে যায়। লোহিত সাগরের বিশালতায় অসহায় মানুষদের চোখের সামনে পানি সরিয়ে পথ করে দিয়েছিলেন যিনি, মাছের পেটে দীর্ঘদিন বাঁচিয়ে রেখেছিলেন যিনি, বিশাল উচ্চতায় প্লাবনেও কিছু মানুষকে জলযানে তুলে রক্ষা করেছিলেন যিনি -- তার ক্ষমতা কোন 'যদি, কিন্তু, হয়ত' সীমানার না। তিনি সীমাহীন ক্ষমতার অধিকারী...
কখনো মানুষের কথায় হারিয়ে যেতে নেই, মানুষের কথায় দিগভ্রান্ত হতে নেই; যতক্ষণ আমাদের প্রাণ আছে, যতক্ষণ বুকে আল্লাহর নাম আছে, যতক্ষণ তিনি আছেন হৃদয়ে, জিহবার ও ঠোঁটের স্পন্দনে -- হারাবার কিছু নেই, ভয় ও শংকার কিছু নেই, অসম্ভব বলে কিছু নেই। 'সাধারণত যা হয়না' সেটাই খুব সহজেই হতে পারে তাদের জন্যই -- যারা তার শক্তি ও সামর্থ্যের উপরে বিশ্বাস রাখে, যারা নিঃশঙ্কোচে তার কাছে চাইতে পারে। সচরাচর মানুষ খুব ক্ষুদ্র বুদ্ধির, চিন্তার, স্বল্প ভালোবাসার, অনুভূতির, দুর্বল বিশ্বাসের; তাই সে সম্ভাব্য সবকিছুকে সীমানায় বেঁধে আশাহত হয়ে যায়। কিন্তু যারা তাঁর ক্ষমতা উপলব্ধি করতে পারেন, তারা সীমানা ছাড়িয়ে কেবলই তার কাছে প্রার্থনা করেন। যে যেমন করে ভাবে, তার প্রতি তিনি তেমনটাই করেন... তিনিই সর্বশক্তিমান, তিনি সবকিছু জানেন, শোনেন। তিনি প্রেমময় ও ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু, তিনিই পথপ্রদর্শনকারী, তিনি যাকে ইচ্ছা দেন, কেড়ে নেন; সমস্ত ক্ষমতা কেবল তারই হাতে...
তার অসাধ্য বলে কিছুই নেই... কিছু না, একটুও না। তার কাছে চাইতে গেলে তাই সীমানা বেঁধে চাওয়ার কিছু নেই। যারা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, তারাই পায়। তিনি অশ্রুমালার মূল্য দেন পরিপূর্ণভাবে, আর কেউ নয়। ইবরাহিম আলাইহিস সালাম পরম বিশ্বাসে বলেছিলেন, "ইন্না রব্বি লা সামিউদ দু'আ"... আমার রব নিশ্চয়ই দোয়া শোনেন [১৪:৩৯]
যখন হয়ত সবকিছু এলোমেলো, কষ্টময়; যখন হয়ত সামনে কোন পথ নেই জানা, যখন হয়ত এমন কেউ নেই যে আমাদের উপরে বিশ্বাস রাখবে, যখন হয়ত আমাদের ব্যর্থতা, দুর্বলতাকে ভুলে মূল্যায়ন করার মতন কেউ থাকে না, যখন সবাই বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে -- তখন একজন থাকেন, যিনি আমাদের কান্নার পানির মূল্য দিতেই অপেক্ষা করেন, তখনো তিনি তার ভালোবাসা দিয়ে সিক্ত করে দিতে আমাদের হাত দু'টি তুলে কেবলই তার কাছে অধীর হয়ে চাওয়াকে পছন্দ করেন। তাঁর কাছে আমাদের প্রতিটি আর্তি, প্রতিটি কান্নার মূহুর্ত, প্রতিটি ভালোবাসার মূহুর্তগুলো তিনি খুব পছন্দ করেন।
কেমন করে হয়, কীভাবে হয়-- এইসব তো সেই ক্ষুদ্র-তুচ্ছ মানুষদের চিন্তা, যারা এই গন্ডির বাইরে ভাবতে পারে না। আল্লাহর জন্য 'হও' বললেই হয়ে যায়। লোহিত সাগরের বিশালতায় অসহায় মানুষদের চোখের সামনে পানি সরিয়ে পথ করে দিয়েছিলেন যিনি, মাছের পেটে দীর্ঘদিন বাঁচিয়ে রেখেছিলেন যিনি, বিশাল উচ্চতায় প্লাবনেও কিছু মানুষকে জলযানে তুলে রক্ষা করেছিলেন যিনি -- তার ক্ষমতা কোন 'যদি, কিন্তু, হয়ত' সীমানার না। তিনি সীমাহীন ক্ষমতার অধিকারী...
কখনো মানুষের কথায় হারিয়ে যেতে নেই, মানুষের কথায় দিগভ্রান্ত হতে নেই; যতক্ষণ আমাদের প্রাণ আছে, যতক্ষণ বুকে আল্লাহর নাম আছে, যতক্ষণ তিনি আছেন হৃদয়ে, জিহবার ও ঠোঁটের স্পন্দনে -- হারাবার কিছু নেই, ভয় ও শংকার কিছু নেই, অসম্ভব বলে কিছু নেই। 'সাধারণত যা হয়না' সেটাই খুব সহজেই হতে পারে তাদের জন্যই -- যারা তার শক্তি ও সামর্থ্যের উপরে বিশ্বাস রাখে, যারা নিঃশঙ্কোচে তার কাছে চাইতে পারে। সচরাচর মানুষ খুব ক্ষুদ্র বুদ্ধির, চিন্তার, স্বল্প ভালোবাসার, অনুভূতির, দুর্বল বিশ্বাসের; তাই সে সম্ভাব্য সবকিছুকে সীমানায় বেঁধে আশাহত হয়ে যায়। কিন্তু যারা তাঁর ক্ষমতা উপলব্ধি করতে পারেন, তারা সীমানা ছাড়িয়ে কেবলই তার কাছে প্রার্থনা করেন। যে যেমন করে ভাবে, তার প্রতি তিনি তেমনটাই করেন... তিনিই সর্বশক্তিমান, তিনি সবকিছু জানেন, শোনেন। তিনি প্রেমময় ও ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু, তিনিই পথপ্রদর্শনকারী, তিনি যাকে ইচ্ছা দেন, কেড়ে নেন; সমস্ত ক্ষমতা কেবল তারই হাতে...
তার অসাধ্য বলে কিছুই নেই... কিছু না, একটুও না। তার কাছে চাইতে গেলে তাই সীমানা বেঁধে চাওয়ার কিছু নেই। যারা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, তারাই পায়। তিনি অশ্রুমালার মূল্য দেন পরিপূর্ণভাবে, আর কেউ নয়। ইবরাহিম আলাইহিস সালাম পরম বিশ্বাসে বলেছিলেন, "ইন্না রব্বি লা সামিউদ দু'আ"... আমার রব নিশ্চয়ই দোয়া শোনেন [১৪:৩৯]