১ জানু, ২০১৪

কবিতা : তোমাকে



আমার অবসরের একেকটি অংশ তোমার জন্যই।
অবাক হলে? হবারই কথা। কী অদ্ভুত কথা!
আমার অবসরে আবার তুমি কোত্থেকে, তাইনা?
আমার অবসর তো অখন্ড নয়, খন্ডিত অবসর।
সেখানে একাকীত্ব আছে, নিঃসঙ্গতা নয়। আছে সঙ্গীহীনতা।


আমি ভাঙ্গি আর গড়ি। গড়ি আর আরো ভাঙ্গি।
যন্ত্রণা আর আশাবাদের মাঝেই আমার বসবাস।
তাঁর কথা মানতেই এই অপেক্ষা, এর শেষে তুমি আসবে।
এই আগমন তো উপহার, এই আগমন স্বপ্নময়তার।
এই আগমন কিছু পাওয়ার জন্য কি? প্রায়ই ভাংতে থাকা
হতভাগা আমাকে পেছন থেকে ঠেলা দিলেই হবে।
আর সবকিছুর দায়িত্ব আমি নেব-- তোমার, আমার, আমাদের।


এই অপেক্ষার বেলা শেষে তোমার আসার পথে
হয়ত ঝরবে না ফুলের পাপড়ি, আলোকজ্জ্বল আলো
স্থিরচিত্র আর গতিচিত্র ধারণের অস্থির হুড়োহুড়ি হবেনা।
সাদামাটা এই অভ্যর্থনা হয়ত বিরক্ত লাগবে তোমার।
জানিনা আমি সেসব। বুঝিও না।
তবে সেদিন হয়ত ঝরতে পারে বর্ষাধারা,
মেঘমালা যদি নাও-বা ঝরায়
ঝরবে চোখ বেয়ে কারো। কীসের বর্ষণ, কেন --
সেই মহাকাব্যের কথা নাইবা বললাম আজ।


এই শীতেও প্রতিদিন বৃষ্টি হয়, আমি তার শব্দ শুনতে পাই।
শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষায় এই ধারা থামে না।
এখনো মহাকাব্য রচে যায় কোন অজানা পবিত্র আত্মারা
জীবনের শূণ্যতায় অপেক্ষার উত্তাপ
শান্ত হয়ে ঝরে যাওয়া লোনাজলে।
সবকিছুরই তো শেষ আছে -- তিক্ততার,
শান্তির, অস্থিরতার, জীবনোপন্যাসের।
দীর্ঘ অপেক্ষার তো বটেই, তাইনা?


১১ অগ্রহায়ন, ১৪১৯
রাত্রির প্রথম প্রহর

৩টি মন্তব্য:

আপনার মূল্যবান মতামত জানিয়ে যান লেখককে