জীবনটা এমন ছিলো না আগে... শুধু আমার না, প্রায় কারোই জীবন এমন ছিলো না, সময়ের সাথে সাথে বদলে যায়। একসময় যা আমাকে মুগ্ধ করতো, এখন করে না, যা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হতো না, এখন তা যেন খুব জীবন্ত আর আপন লাগে। এরকম আমরা কমবেশি সবাই অনুভব করি। সময়ের সাথে সাথে আমাদের জীবন বদলায়, আল্লাহ তার অপার ভালোবাসায় আর করুণায় আমাদেরকে অনেক কিছু দেন, অনেক কিছু থেকে সরিয়ে দেন।
এই কথাগুলো আমি এভাবে কখনো বলিনি, কারণ ঠিক এভাবেই আগেও ভাবিনি -- ইদানিং জীবন থেকে নতুন করে শিখলাম, কোন কিছুর অনুপস্থিতির কারণে কখনো হাল ছেড়ে দিতে নাই, আল্লাহ কখন কী ঠিক করে রেখেছেন আমরা জানিনা। হয়ত একদিন না-থাকা জিনিসটা ফিরে আসে, তখন আফসোস যা হয়, তা হলো হাল ছেড়ে দেয়ায় যা যা ক্ষতি হয়েছে তার জন্য। আমরা রেগে গেলে ভুল হয়ে যায়, গালাগালি, বাজে কথা, ক্ষতি করে বসা -- একসময় ভুল বুঝে তাদের সাথে আমার সব মিটমাট হয়ে গেলেও, সেই ক্ষতিগুলো রয়ে যায়। তেমনি জীবনে কোন কিছুর কারণে যদি আমল তথা ভালো কাজের অভাব হয় -- একদিন সেই সমস্যা দূর হয়ে গেলে যদি আমাদের জীবনে আর সময় না থাকে, যাবার সময় চলে আসে -- ক্ষতিগ্রস্তই তো হয়ে যাবো।
আল্লাহ মহাপরিকল্পনাকারী। তিনি সবই জানেন এবং তিনি ঠিক যেভাবে রেখেছেন সবকিছু ঠিক সেভাবেই হবে। সবসময় সন্তুষ্ট আর প্রশান্ত থাকার বিষয়টা 'ফা ইন্না মা'আল 'উসরি ইয়ুসরা' আয়াতটার তাফসীর শেখার পর অনেক করে বুঝলেও উপলব্ধির জগতে একটা খটকা ছিলো। নতুন উপলব্ধির পরে টের পেলাম যা, তাতে সীমাহীন লজ্জা জড়িত। ইদানিং মনে হয়, প্রশান্ত হৃদয় ছাড়া আর বাদবাকি সব সময়টাই যেন নষ্ট। এই পৃথিবী যার, সবকিছু, সবাইকে দেখভাল করবেন তিনিই। জীবনের মালিক তিনিই, আমাদের কাজ আমাদেরটুকু ঠিকঠাক করে যাওয়া, নিজেদের হিসেবটুকু কী দিবো তা নিয়ে চিন্তাফিকির করে সঠিক কাজ করে যাওয়া...
আমার একটা উপলব্ধি আছেঃ আমি যখনই কিছু শিখি, উপলব্ধি করি, বুঝি ছোট্ট পাপময় এই জীবনে হয়ত একটু কিছু শিখলাম যা আমাকে পরিষ্কার করলো এই জীবনের সত্যিকারের মর্মার্থ বুঝতে, একটু সামনে এগিয়ে যেতে -- তখনই দেখেছি আমি আরো বড় কিছু সমস্যায় পড়ি, আরো জটিল ধাঁধাঁ, আরো যন্ত্রণা। ইদানিং টের পাই, এই জায়গাটাতে ঘুরে ফিরে আল্লাহর কাছে বিনীত হতে আমরা সবাই বাধ্য, তাই হয়ত যুগে যুগে যাদের আমরা মনে রেখেছিলাম, তারা এত জেনে, এত কাজ করেও এত সাধারণ থাকতেন, বিনয়ী থাকতেন -- তারা জানতেন তাদের অবস্থান, জানতেন তাদের দুর্বলতা... পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষটা (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার বিনয় আর নম্রতা, ক্রন্দনময় রাত আর পরম ভালোবাসা দিয়ে
আমাদেরকে কী দারুণ শিক্ষা দিয়ে গেছেন তা এই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র মানুষটা অনুভব করে মুগ্ধতা আর কৃতজ্ঞতায় ডুবে যাই। তেমন কিছুই জানিনা, তবু এতগুলো বছর আগে চলে যাওয়া মানুষটা হৃদয়ে কত কষ্ট কেমন করে বুকের মাঝে চাপা দিয়ে সহ্য করে উম্মাতের কথা ভেবে আমাদেরই জন্য 'অনুকরণীয় আদর্শ' স্থাপন করে গেছেন তা ভেবে অশ্রুসিক্ত না হয়ে উপায় পাইনা। শত-শত বছর পর বিমুগ্ধ বিষ্ময়ে সেই মানুষটাকে স্মরণ করি, অনেক অনেক সালাম ও দরুদ হে প্রিয় রাসূল, সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম...
[০৭ জানুয়ারি, ২০১৪]
এই কথাগুলো আমি এভাবে কখনো বলিনি, কারণ ঠিক এভাবেই আগেও ভাবিনি -- ইদানিং জীবন থেকে নতুন করে শিখলাম, কোন কিছুর অনুপস্থিতির কারণে কখনো হাল ছেড়ে দিতে নাই, আল্লাহ কখন কী ঠিক করে রেখেছেন আমরা জানিনা। হয়ত একদিন না-থাকা জিনিসটা ফিরে আসে, তখন আফসোস যা হয়, তা হলো হাল ছেড়ে দেয়ায় যা যা ক্ষতি হয়েছে তার জন্য। আমরা রেগে গেলে ভুল হয়ে যায়, গালাগালি, বাজে কথা, ক্ষতি করে বসা -- একসময় ভুল বুঝে তাদের সাথে আমার সব মিটমাট হয়ে গেলেও, সেই ক্ষতিগুলো রয়ে যায়। তেমনি জীবনে কোন কিছুর কারণে যদি আমল তথা ভালো কাজের অভাব হয় -- একদিন সেই সমস্যা দূর হয়ে গেলে যদি আমাদের জীবনে আর সময় না থাকে, যাবার সময় চলে আসে -- ক্ষতিগ্রস্তই তো হয়ে যাবো।
আল্লাহ মহাপরিকল্পনাকারী। তিনি সবই জানেন এবং তিনি ঠিক যেভাবে রেখেছেন সবকিছু ঠিক সেভাবেই হবে। সবসময় সন্তুষ্ট আর প্রশান্ত থাকার বিষয়টা 'ফা ইন্না মা'আল 'উসরি ইয়ুসরা' আয়াতটার তাফসীর শেখার পর অনেক করে বুঝলেও উপলব্ধির জগতে একটা খটকা ছিলো। নতুন উপলব্ধির পরে টের পেলাম যা, তাতে সীমাহীন লজ্জা জড়িত। ইদানিং মনে হয়, প্রশান্ত হৃদয় ছাড়া আর বাদবাকি সব সময়টাই যেন নষ্ট। এই পৃথিবী যার, সবকিছু, সবাইকে দেখভাল করবেন তিনিই। জীবনের মালিক তিনিই, আমাদের কাজ আমাদেরটুকু ঠিকঠাক করে যাওয়া, নিজেদের হিসেবটুকু কী দিবো তা নিয়ে চিন্তাফিকির করে সঠিক কাজ করে যাওয়া...
আমার একটা উপলব্ধি আছেঃ আমি যখনই কিছু শিখি, উপলব্ধি করি, বুঝি ছোট্ট পাপময় এই জীবনে হয়ত একটু কিছু শিখলাম যা আমাকে পরিষ্কার করলো এই জীবনের সত্যিকারের মর্মার্থ বুঝতে, একটু সামনে এগিয়ে যেতে -- তখনই দেখেছি আমি আরো বড় কিছু সমস্যায় পড়ি, আরো জটিল ধাঁধাঁ, আরো যন্ত্রণা। ইদানিং টের পাই, এই জায়গাটাতে ঘুরে ফিরে আল্লাহর কাছে বিনীত হতে আমরা সবাই বাধ্য, তাই হয়ত যুগে যুগে যাদের আমরা মনে রেখেছিলাম, তারা এত জেনে, এত কাজ করেও এত সাধারণ থাকতেন, বিনয়ী থাকতেন -- তারা জানতেন তাদের অবস্থান, জানতেন তাদের দুর্বলতা... পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষটা (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার বিনয় আর নম্রতা, ক্রন্দনময় রাত আর পরম ভালোবাসা দিয়ে
আমাদেরকে কী দারুণ শিক্ষা দিয়ে গেছেন তা এই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র মানুষটা অনুভব করে মুগ্ধতা আর কৃতজ্ঞতায় ডুবে যাই। তেমন কিছুই জানিনা, তবু এতগুলো বছর আগে চলে যাওয়া মানুষটা হৃদয়ে কত কষ্ট কেমন করে বুকের মাঝে চাপা দিয়ে সহ্য করে উম্মাতের কথা ভেবে আমাদেরই জন্য 'অনুকরণীয় আদর্শ' স্থাপন করে গেছেন তা ভেবে অশ্রুসিক্ত না হয়ে উপায় পাইনা। শত-শত বছর পর বিমুগ্ধ বিষ্ময়ে সেই মানুষটাকে স্মরণ করি, অনেক অনেক সালাম ও দরুদ হে প্রিয় রাসূল, সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম...
[০৭ জানুয়ারি, ২০১৪]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মূল্যবান মতামত জানিয়ে যান লেখককে