বিগত বেশ কয়েক শতাব্দী থেকেই মুসলিমদের মাঝে জ্ঞানের অভাবে, শ্রেষ্ঠত্বের অভাবে, নিজেদের কন্ঠকে প্রকাশ করতে না পারায় (যার পেছনে বেশিরভাগ ভূখন্ডের কলোনিয়ালিজম দায়ী, বা সংখ্যালঘুত্ব দায়ী) তাদের মাঝে 'ভিকটিম মেন্টালিটি প্রকট হয়ে থাকে। তাই তাদেরকে কনস্পিরেসি থিওরি গেলানো যত সহজ, আর কোন ধর্ম-জাতি-আদর্শের লোকদের এতটা সহজ না। তাই কোন ছবি দেখিয়ে যদি বলা হয়, 'অত্যাচার' করা হচ্ছে -- যাচাই বাছাই ছাড়াই তখন ধরে নেয়, এটাই তো আমাদের হয়, সুতরাং 'প্রচার করার মাঝেই আমার কাজ শেষ'। ফলে এইসব প্রচার করে, গলাকাটা, বোমফাটা ছবির শেয়ারিং যত হয়, দিনশেষে ওই মানুষটার ভিতরের প্রত্যয়ও সাধারণত জাগেনা নতুন কিছু করার।
নিজেদেরকে ভুক্তভোগী মনে করার এই মানসিকতা আসলে দুর্বল চিত্তের, অযোগ্য-অপদার্থ মানসিকতার প্রকাশ। শেয়ারিং করলে যাচাই বাছাই করতে হবে সেটা কতটা সত্য। আর মাথায় রাখতে হবে, দুনিয়ার বুকে যোগ্যতা সবসময়েই সর্বাধিক গুরত্বপূর্ণ বিষয়ের একটা। নিজেদের অধিকার আদায়ে সচেষ্ট হতে হলে যোগ্যতা নিয়েই বড় হতে হবে। আপনি ক্লাসে ফার্স্ট হোন, একদিন টিচার হবেন --সম্মানিত গুরুত্বপূর্ণ পদ। আপনি অফিসের সবচাইতে আন্তরিক আর কর্মঠ কলিগ হোন -- আপনার বিশ্বস্ততা আর অসাধারণত্ব নিয়ে শত্রুভাবাপন্নরাও তেমন কিছু করতে পারবেনা।আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও তেমনি, আল্লাহর দ্বীনকে যারা বুকে নিয়ে জীবন চালাচ্ছে, তারা যদি হয় উত্তম চরিত্রের, নিজের আশেপাশের ভাইয়ের প্রতি অনুভূতিতে নিপুণ, দক্ষ বিজ্ঞানী, অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ, লেখক, সাহিত্যিক, মুভি মেকার, অথবা একজন সাধারণ মানুষ যিনি নিপুণ চরিত্রের, ব্যক্তিত্বের তাহলে এমনিতেই মুসলিমদের উন্নতি হবে।
তবে অনুগ্রহ করে নিজেকে নিজেই চেক করা দরকার, আমরা কি ভুক্তভোগী থাকার মানসিকতা (victim mentality) নিয়ে গড়ে উঠছি? নাকি নিজেদের থেকেই কিছু করার ব্যাপারে প্রত্যয়ী হয়েছি? আজ থেকে ৫০ বছর আগেও এমন ছিলো না। আমেরিকার সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের খুব অল্প ক'টাতেই ইহুদি শিক্ষক ছিলো। এখন প্রায় প্রতিটি বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টিগুলোতেই ইহুদি শিক্ষক আছে, যারা নিজেদের বুদ্ধি দিয়ে নিজেদের সর্বাত্মক উন্নতি করছে। বুদ্ধি আর মেধাকে বিকশিত করতে না পারলে মুসলিমদের পরাজিত হয়েই বোধহয় থাকতে হবে।
তবে আশার আলো আছে, এখন অনেকেই নিজেদেরকে উন্নত করছে সারাবিশ্বে। সারাবিশ্বে দেশে দেশে মিডিয়াতে বামপন্থী/ইসলামবিদ্বেষীদের আধিক্য সংবাদকে একপাক্ষিক করে ফেলে এখন। মিডিয়াও মানুষের মনোজগতে বিশেষ ক্ষমতা দখল করে ফেলেছে। তবে মুসলিমরা তাদের কাজগুলো করলে এই বিষয়গুলোতে বস্তুনিষ্ঠতা আসতে পারত কারণ তারা যেকোন অবস্থাতেই সত্য আর সুন্দরের পক্ষে থাকবে। বিশ্বমানুষের মুক্তির জন্য মুসলিমদের নিজেদের মনোজগতকে উন্নত করা প্রয়োজন। বুদ্ধিবৃত্তিক উন্নয়ন ও যোগ্যতা অর্জনের কোনো বিকল্প নেই।
রেফারেন্স:
# লেকচার - ড সাইয়েদ হুসেইন নসর - ফিলোসফি ম্যাটারস http://www.youtube.com/watch?v=qAgGB407FHs
নিজেদেরকে ভুক্তভোগী মনে করার এই মানসিকতা আসলে দুর্বল চিত্তের, অযোগ্য-অপদার্থ মানসিকতার প্রকাশ। শেয়ারিং করলে যাচাই বাছাই করতে হবে সেটা কতটা সত্য। আর মাথায় রাখতে হবে, দুনিয়ার বুকে যোগ্যতা সবসময়েই সর্বাধিক গুরত্বপূর্ণ বিষয়ের একটা। নিজেদের অধিকার আদায়ে সচেষ্ট হতে হলে যোগ্যতা নিয়েই বড় হতে হবে। আপনি ক্লাসে ফার্স্ট হোন, একদিন টিচার হবেন --সম্মানিত গুরুত্বপূর্ণ পদ। আপনি অফিসের সবচাইতে আন্তরিক আর কর্মঠ কলিগ হোন -- আপনার বিশ্বস্ততা আর অসাধারণত্ব নিয়ে শত্রুভাবাপন্নরাও তেমন কিছু করতে পারবেনা।আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও তেমনি, আল্লাহর দ্বীনকে যারা বুকে নিয়ে জীবন চালাচ্ছে, তারা যদি হয় উত্তম চরিত্রের, নিজের আশেপাশের ভাইয়ের প্রতি অনুভূতিতে নিপুণ, দক্ষ বিজ্ঞানী, অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ, লেখক, সাহিত্যিক, মুভি মেকার, অথবা একজন সাধারণ মানুষ যিনি নিপুণ চরিত্রের, ব্যক্তিত্বের তাহলে এমনিতেই মুসলিমদের উন্নতি হবে।
তবে অনুগ্রহ করে নিজেকে নিজেই চেক করা দরকার, আমরা কি ভুক্তভোগী থাকার মানসিকতা (victim mentality) নিয়ে গড়ে উঠছি? নাকি নিজেদের থেকেই কিছু করার ব্যাপারে প্রত্যয়ী হয়েছি? আজ থেকে ৫০ বছর আগেও এমন ছিলো না। আমেরিকার সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের খুব অল্প ক'টাতেই ইহুদি শিক্ষক ছিলো। এখন প্রায় প্রতিটি বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টিগুলোতেই ইহুদি শিক্ষক আছে, যারা নিজেদের বুদ্ধি দিয়ে নিজেদের সর্বাত্মক উন্নতি করছে। বুদ্ধি আর মেধাকে বিকশিত করতে না পারলে মুসলিমদের পরাজিত হয়েই বোধহয় থাকতে হবে।
তবে আশার আলো আছে, এখন অনেকেই নিজেদেরকে উন্নত করছে সারাবিশ্বে। সারাবিশ্বে দেশে দেশে মিডিয়াতে বামপন্থী/ইসলামবিদ্বেষীদের আধিক্য সংবাদকে একপাক্ষিক করে ফেলে এখন। মিডিয়াও মানুষের মনোজগতে বিশেষ ক্ষমতা দখল করে ফেলেছে। তবে মুসলিমরা তাদের কাজগুলো করলে এই বিষয়গুলোতে বস্তুনিষ্ঠতা আসতে পারত কারণ তারা যেকোন অবস্থাতেই সত্য আর সুন্দরের পক্ষে থাকবে। বিশ্বমানুষের মুক্তির জন্য মুসলিমদের নিজেদের মনোজগতকে উন্নত করা প্রয়োজন। বুদ্ধিবৃত্তিক উন্নয়ন ও যোগ্যতা অর্জনের কোনো বিকল্প নেই।
রেফারেন্স:
# লেকচার - ড সাইয়েদ হুসেইন নসর - ফিলোসফি ম্যাটারস http://www.youtube.com/watch?v=qAgGB407FHs