(২৩৭)
শব্দের ক্ষমতা অনেক। শব্দ দিয়ে অনেক কিছুকে গড়ে দেয়া যায়, অনেক সুন্দরকে প্রতিষ্ঠিত করা যায়, অনেক হৃদয়কে শান্তি দেয়া যায়। শব্দ দিয়ে ধ্বংস করে দেয়া যায় অনেক কিছু, হৃদয়ে ক্ষত তৈরি করা যায়, হৃদয়কে কলুষিতও করে দেয়া যায়। শব্দ ব্যবহারের আগে তাই খেয়াল করা উচিত। কেননা এই শব্দ হয়ত একদিন আমাদের শত্রু হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে হিসাবের দিন!
(২৩৮)
লিবিয়া, সিরিয়ায়, ইরাকে প্রতিদিন ঢাকার রাস্তার ইঁদুর-চিকার মতন করে মারা যাচ্ছে। এগুলো নিয়ে আজকাল দু'আ পর্যন্ত শুনিনা, দু'লাইন লেখাও দেখিনা! সত্যিকারের সমাধান তো দূরের কথা। আল্লাহ উম্মাহর এই অন্যায়ের দায়ভার থেকে আমাদের মাফ করুন, আমাদেরকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন।
(২৩৯)
দুনিয়ার পেছনে যত ছুটি, সেটা তত দূরে চলে যায়।
(২৪০)
আল্লাহ তার বান্দাদের খুব ভালোবাসেন, খুবই!
(২৪১)
যখন সবকিছু প্রতিকূলে, তখনো নিজের চরিত্র ও ব্যবহারের সৌন্দর্য ধরে রাখার চেষ্টা করাই সফলতা। হয়ত ভালো হতে না পারছি, খারাপ যেন না হই। একদিন আল্লাহ এই কষ্টটুকুর বিনিময় অনেক উন্নতি দান করবেন ইনশাআল্লাহ।
(২৪২)
ছোটকালে শিক্ষকদের মুখে শুনেছি, ভালো পরিবেশে সবাই/সবকিছুই ভালো সার্ভিস/আউটপুট দেয়। প্রতিকূল পরিবেশে যে বেশি ভালো সার্ভিস দিতে পারে সে-ই স্পেশাল, সাকসেসফুল।
(২৪৩)
যদি প্রতিদিনের কঠিন সময়টুকুতে কারো পাশে এমন কেউ থাকে যে সবকিছুর উপরে একচ্ছত্র ক্ষমতাশালী আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দেবে, তাহলে সে একজন ভাগ্যবান মানুষ। যদি এমন কেউ পাশে না থাকে এবং সে মানুষটি আল্লাহর কুরআন ঘেঁটে তার দিকনির্দেশনা ও অনুপ্রেরণা গ্রহণ করে তাহলে সে আরো বেশি ভাগ্যবান মানুষ। যেকোন অবস্থাতেই আল্লাহ আমাদেরকে তার নিয়ামাতে ডুবে থেকে সেগুলোর শুকরিয়া করার তাওফিক দিন।
(২৪৪)
একজন নাক-কান-গলা (ENT) স্পেশালিস্ট ডাক্তার পরিষ্কারভাবে বললেন, কানে কটন বাড (cotton bud) নামক জিনিসটা ব্যবহার করার নাকি কোনই প্রয়োজন নেই। কানে যা পরিষ্কার করতে আমরা অস্থির হয়ে যাই, সেটা নাকি একটা সময় পরে আপনাতেই বের হয়ে যায়। সেটা কোন সমস্যার কিংবা ক্ষতিকর কিছু নয়। অনেকের বেশি বেশি কানে চুলকানি হওয়ার চিন্তাভাবনা বেশিরভাগ মানসিক। আর যদি খুবই চুলকায়, তাহলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। কানে গুতোগুতি করে অনেক মানুষই কানের পর্দায় ফুটো তৈরি করে ইনফেকশনের সৃষ্টি করেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। সচেতনতা জরুরী!!
(২৪৫)
গতিশীল বাসে চড়ে কোথাও যাবার পথে সাথে খাবার পানীয় না থাকলে যেমন অজস্র নলকূপ দেখেও লাভ নেই, আবার বাস থামিয়ে পানি নিতে নামলে তখন সেই বাসটা মিস হবার+বাসের ভাড়া+সময়মতন গন্তব্যে পৌঁছা টাইপের বিশাল পার্থক্যের ক্ষতি থাকে। তেমনি জীবনের চলার পথেও অনেক কিছু আমাদের উপকৃত করতে পারে না। উপকারের ডালা চোখে দেখলেও আমরা থাকে দৌড়ের উপরে, দৌড়... দৌড়... অসুস্থ দৌড়...
(২৪৬)
অনেক সময় প্রাপ্য ও কাঙ্খিত সদাচারণের জায়গায় মন্দ ব্যবহার পেয়ে অনাকাঙ্খিত কোথাও থেকে যত্ন-আত্মি পেলে লজ্জায় মাটির সাথে মিশে যেতে ইচ্ছা করে। আমি এক নাদান বান্দা আল্লাহর, সারাটি জীবন ঘুরেফিরে পূর্বেকার চিন্তার ভুল প্রমাণ পেতে পেতে ক্লান্ত। পৃথিবীর আনাচে-কানাচে আজো কত স্বার্থবিহীন ভালো মানুষ যে ছড়িয়ে আছে! আল্লাহ তাদেরকে হিফাযত করুন এবং উত্তম প্রতিদান দিন।
(২৪৭)
হারানোর আগে বোঝা যায় না কী ছিলো আগে...
(২৪৮)
দুনিয়া যে লক্ষ্য হিসেবে খুব দুর্বল এবং লজ্জাজনক তা এই ক্ষণস্থায়ী হওয়ার ব্যাপারটা থেকেই বোঝা যায়। আল্লাহর কাছে যখন ফিরে যাবো আমরা, তখন এই দুনিয়ার কাজের প্রতিফল হিসেবে পাবো উত্তম ও অনন্তকালের পুরষ্কার ও শাস্তি।ছোট ছোট কাজ তো দূরে থাক, বড় কাজ করেও দুনিয়াতে লোকের স্মৃতিতে থাকা যায় না, কিন্তু মহান আল্লাহর কাছে ছোট কাজ করেও প্রিয় হয়ে অনন্ত জগতের সফলদের দলে যাওয়া যায়। আল্লাহ আমাদেরকে সত্যিকারের সফলতা অর্জনের তাওফিক দান করুন।
(২৪৯)
আমরা অনেকসময় ভুল করে নিজেদেরকে বেশ মূল্যবান মনে করতে থাকি। আসলে আমাদের কারো তেমন মূল্য নেই। আমরা কেউ চলে গেলে সেই অভাব পূরণ হয়েই যায়। চাকুরিস্থলে কেউ চলে গেলে তার প্রতিস্থাপন খুব দ্রুতই হয়ে যায়। পরিবারে কেউ চিরকালের জন্য চলে গেলেও সে অভাব পূরণ হয়ে যায়। কোন অভাবই অপূরণীয় নয়, আমরা কেউই খুব আহামরি কিছুই না। কত-শত ধ্যানী-জ্ঞানী, বিজ্ঞানী, নেতা, বিপ্লবী, দার্শনিকেরা দুনিয়া থেকে চলে গেছেন আর তাদের স্রেফ স্মরণসভায় আলাপ করা হয় কিছুকাল, একসময় কেউ মনে রাখে না। খুব জোর অল্প কয়েক দশক বা একটি শতকের বেশি কেউ দুনিয়ায়
সচরাচর স্মৃতিতে থাকে না। আমরা সবাই বিস্মৃত হয়ে যাব।