বিগত শতকের শেষভাগে মৃত্যুবরণ করা সিরিয়ার শাইখ আলী আল-তানতাওয়ির (রাহিমাহুল্লাহ) একটা কথা ক'দিন আগে ড. ইয়াসির ক্বাদি লিখেছিলেন যা আমার খুবই পছন্দ হয়েছিলো। শাইখ আলী যা বলেছিলেন তা অনেকটা এমন যে, জীবনের এমন কোন যুগ তিনি পাননি যে সময়ের ক্ষতি ও খারাপগুলো তাকে কষ্ট ও দুঃখে জর্জরিত করেনি। অথচ সেই সময়টা চলে যাবার পরে তিনি সেই 'কষ্টকর সময়টা' কতই না ভালো ছিলো তা মনে করে স্মৃতিচারণ করেছেন, বেদনার্ত হয়েছেন।
শাইখদের অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধিগুলো আমার কাছে রত্নভান্ডারের মতন। ড ইয়াসির ক্বাদির পোস্টটি আমাকে চলমান অস্থিরতা, অশান্তি, অন্যায়, অত্যাচারের জোয়ারের মাঝে এমন কিছু উপলব্ধি দিয়েছে যা আমাকে শান্ত করেছে। আসলে, আমরা তো জানি অন্যায়কারীদের সংখ্যা বেশিই হয়। জানি, পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ জাহান্নাম অর্জনের জন্য পাগলের মতন ছুটছে। জানি প্রতিটি দিনের প্রতিটি ঘন্টাই আমাদের মাঝে অনেকেই ব্যয় করছে কেবলমাত্র নিজের ভোগকে বৃদ্ধি করতে। আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে আমরা নিজেরা যেন এই ধ্বংসের স্রোতে ভেসে না যাই।
আল্লাহ আমাদের জীবনে পরীক্ষা দেন, কঠিন সব পরীক্ষা। সে পরীক্ষাগুলো আসেই আমাদের ধরে ঝাঁকি দিতে, আমরা কতটুকু ইস্তিকামাত তথা দৃঢ়পদে আল্লাহর পথে চলছি সেটা পরীক্ষা হয়ে যায় বিপদে-আপদে। সুবহানাল্লাহ! আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাস্ট্রীয় জীবনে এমন কিছু ঘটনা আসে যেগুলো আমাদেরকে 'ফিল্টার' করে-- হক ও বাতিলকে আলাদা করে, ন্যায় ও অন্যায়কে আলাদা করে, মুসলিম ও মুসলিমরূপী ইসলামবিদ্বেষীদের রূপ স্পষ্ট করে দেয়। আল্লাহ আমাদেরকে সিরাতাল মুস্তাকিমের উপরে পরিচালিত করুন এবং তার পছন্দের পথে দৃঢ়পদ রাখুন।
আমরা তো সংখ্যায় সমুদ্রের ফেনার মতন হতে চাইনা যারা নামকাওয়াস্তে মুসলিম হয়েও আল্লাহর দ্বীন থেকে দূরে থাকবে, আমরা তো স্রোতে ভেসে যাওয়া খড়কুটোর মতন হতে চাইনা যারা প্রতিদিন নিজেদের কাজ দিয়ে নিজেদের ধ্বংস কিনে নেয়। আমরা সেই অল্পকিছু মানুষদের দলেই হতে চাই যারা আল্লাহর বিজয়ী দ্বীনের অনুসারী, আজ হোক, কাল হোক এই পৃথিবীর বিজয়ী দল তো ইসলামই। ওরা যতই ইসলামকে ও আল্লাহর নূরকে যতই নিভিয়ে দিতে চাক না কেন, আল্লাহ তো তার দ্বীনকেই বিজয়ী করবেন এবং তার হিফাজত করবেন। আমরা সেই ইসলামকে আঁকড়ে ধরে নিজেদেরকে জাহান্নামের আগুণ থেকে বাঁচাতে চাই এবং বিজয়ী কাফেলার অংশ হয়ে থাকতে চাই।শাইখদের অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধিগুলো আমার কাছে রত্নভান্ডারের মতন। ড ইয়াসির ক্বাদির পোস্টটি আমাকে চলমান অস্থিরতা, অশান্তি, অন্যায়, অত্যাচারের জোয়ারের মাঝে এমন কিছু উপলব্ধি দিয়েছে যা আমাকে শান্ত করেছে। আসলে, আমরা তো জানি অন্যায়কারীদের সংখ্যা বেশিই হয়। জানি, পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ জাহান্নাম অর্জনের জন্য পাগলের মতন ছুটছে। জানি প্রতিটি দিনের প্রতিটি ঘন্টাই আমাদের মাঝে অনেকেই ব্যয় করছে কেবলমাত্র নিজের ভোগকে বৃদ্ধি করতে। আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে আমরা নিজেরা যেন এই ধ্বংসের স্রোতে ভেসে না যাই।
আল্লাহ আমাদের জীবনে পরীক্ষা দেন, কঠিন সব পরীক্ষা। সে পরীক্ষাগুলো আসেই আমাদের ধরে ঝাঁকি দিতে, আমরা কতটুকু ইস্তিকামাত তথা দৃঢ়পদে আল্লাহর পথে চলছি সেটা পরীক্ষা হয়ে যায় বিপদে-আপদে। সুবহানাল্লাহ! আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাস্ট্রীয় জীবনে এমন কিছু ঘটনা আসে যেগুলো আমাদেরকে 'ফিল্টার' করে-- হক ও বাতিলকে আলাদা করে, ন্যায় ও অন্যায়কে আলাদা করে, মুসলিম ও মুসলিমরূপী ইসলামবিদ্বেষীদের রূপ স্পষ্ট করে দেয়। আল্লাহ আমাদেরকে সিরাতাল মুস্তাকিমের উপরে পরিচালিত করুন এবং তার পছন্দের পথে দৃঢ়পদ রাখুন।
আমাদের প্রতিটি বর্তমান সময়ের চেয়ে ভবিষ্যত অধিকতর কঠিন, ফিতনাময়, দুর্যোগপূর্ণ। আল্লাহ যেন আমাদেরকে এমন বোঝা না দেন যা বইবার সাধ্য আমাদের নেই, আল্লাহ যেন আমাদের ভুলত্রুটিগুলো ক্ষমা করেন। পৃথিবীময় জিহাদরত আমাদের প্রতিটি মুসলিম নির্যাতিত, নিপীড়িত ভাইবোনদের যেন আল্লাহ ক্ষমা করেন এবং তাদের জান্নাতুল ফিরদাউস কবুল করেন। আল্লাহ যেন কাফির-মুশরিক-নাস্তিক-মুনাফিকদের হাতকে ধ্বংস করে দেন এবং তাদের উপরে আমাদেরকে বিজয়ী করেন। নিশ্চয়ই সমস্ত ক্ষমতার মালিক একমাত্র আল্লাহ এবং তিনিই একমাত্র একমাত্র রব যিনি এই বিশ্বজগতের প্রতিপালক।
[০১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫]