১৫ এপ্রি, ২০১৪

ভয়ংকর ফেসবুক

​আপনি যখন ফেসবুকে নিয়মিত থাকবেন, মোটামুটি নিশ্চিত থাকুন আপনি আর আগের মতন নিজেকে খেয়াল করতে পারেন না। আপনি সবসময় অন্যদের বিষয়গুলোকে আপনার নিজের বিষয়ের উপরে না হলেও সাথে সাথে ভাবতে থাকেন। মানুষের সাথে তুলনা করার রোগটি এবং দরকারে-অদরকারে, ভালো এবং খারাপে মানুষের সাথে তাল মিলানোর উদগ্র কামনা আপনার ফেসবুকে সময় কাটানোর সাথে সাথে বাড়তে থাকে। আপনার মনোযোগ আর আগের মতন গভীর থাকে না, আপনি একটু পর পর কে কী বললো সেটা নিয়ে ভাবতে থাকেন। আপনার চিন্তা যতই তুচ্ছ আর অদরকারী হোক, আপনার আলু-পটলের তরকারি খাওয়ার বিষয়টা হোক বা আজকে একটা ভালো রেজাল্ট করেছেন-- সেটাই হোক, সবার *প্রতিক্রিয়া* আপনার মূল ক্রিয়াকেই প্রভাবিত করে। অন্যদের প্রতিক্রিয়া আপনার কাছে এতই বড় হয়ে যায় যে আপনার নিজস্ব পছন্দ, আপনার নৈতিকতা, আপনার আদর্শ বিষয়গুলো আপনি তেমন একটা ভাবতেই পারেন না।



সোশাল নেটওয়ার্কগুলো এখন হয়ত সমাজের তরুণদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে গেছে। তবে মনে রাখবেন, ফেসবুকে দৈনিক আধাঘন্টার বেশি বসবাস আপনার আধ্যাত্মিকতাকে (spirituality) চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে, আপনাকে মানসিকভাবে অনেক বেশি অস্থির করে দেয়, অন্যের সাথে তুলনা করার রোগ আপনাকে আপনার অজান্তেই ঘায়েল করে ফেলেছে। আপনি প্রচুর মিথ্যা এবং অশ্লীলতাকেও ফ্রি আপনার সত্ত্বার সাথে মিশিয়ে ফেলবেন সোশাল নেটওয়ার্কে থাকতে থাকতে।

আল্লাহ আমাদেরকে যাবতীয় অন্যায়, অশ্লীলতা, মিথ্যা, পাপাচার, অপ্রয়োজনীয় ও কল্যাণহীন জ্ঞান থেকে মুক্ত রাখুন। আল্লাহ আমাদের জীবনকে পবিত্র রাখুন। আল্লাহ আমাদেরকে সরল-সঠিকপথে পরিচালিত করুন।

[১৫ এপ্রিল, ২০১৪]

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মূল্যবান মতামত জানিয়ে যান লেখককে