চলে যাওয়া দিনটি ছিলো আশুরার দিন।
ঘটনাক্রমে সন্ধ্যার পর আল্লাহ আমাকে মোহাম্মদপুরে নিয়ে গিয়েছিলেন। টাউন হলের মেইন রোড বন্ধ, ভেতরের রাস্তাগুলো দিয়ে সিএনজি আমি যে রাস্তা দিয়েই ঘুরাই, সবখানে লম্বা লাঠি হাতে "ঐ হালা গুরা, গুরা" বলে চিৎকার করছিলো কিছু পোলাপাইনজ। একসময় আমাকে হতভম্ব করে 'তাজিয়া মিছিল' চলে এলো পাশে। আমি জটে পড়ে থাকা যানের ভেতর থেকে একটা ঘোড়ার মতন কিছুর প্রতিকৃতির ভ্যানগাড়ির চারপাশে পুরুষ-নারীর যৌথ পদযাত্রাতে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম। একটু পরে আরেকটা মিছিল সামনের রাস্তায়, সেখানে একটি গম্বুজের চারমাথায় চারটা মিনারের প্রতিকৃতি, আলো ঝিলমিল। বিকট চিৎকার, রাস্তা বন্ধ করে বড় বড় লাঠি হাতে একগাদা ছেলে, অনেকেরই গায়ে পুরো কালো পোশাক। ট্র্যাফিকরা দর্শকের ভূমিকা পালন করছিলো, পথচারীরা ভীতসন্ত্রস্ত...
শহরকে ভীতির নগরীতে পরিণত করে, জনগণের ভোগান্তিকে মাত্রাছাড়া করে এসব জঘন্য 'তাজিয়া মিছিল' আয়োজন কত অবলীলায়ই না হয়! কয়েক মাস আগে মতিঝিল শাপলা চত্বর থেকে দৈনিক বাংলা মোড় পর্যন্ত একটানা কয়েক ঘন্টা রাস্তা বন্ধ করে হিন্দুদের রথযাত্রার মৌজমাস্তি দেখেছিলাম। উদ্দাম নাচ,ঢোল,নারী-পুরুষ চিতকারের সেই ভয়ংকর 'আনন্দযাত্রার' সাথে তাজিয়া মিছিলের কোন ব্যবধান দেখেছি বলে মনে পড়ছে না।
এর আগে একদিন এক মুসলিম ভাইয়ের সাথে পুরোনো ঢাকার হোসেনি দালান রোডের ইমামবাড়াতে গিয়েছিলাম। সেখানে বিকেলে বুক চাপড়ে চাপড়ে অচেনা ভাষায় আবৃত্তি করতে দেখেছিলাম পিচ্চি পিচ্চি ছেলেমেয়েদের। বাইরেই নারীপুরুষ ব্যতিরেকে একটা ফুলের মালা দেয়া প্রতিকৃতি টাইপের জায়গায় নারীদের দাঁড়িয়ে মাথা ঠুকে সিজদার ভঙ্গিতে পড়ে থাকার দৃশ্যটা খুবই অগ্রহণযোগ্য ছিলো...
শিরক, কুফর, পাপাচার, নোংরামির এক অপসংস্কৃতি তৈরি হয়েছে এখন মুহাররামের আশুরার দিনকে কেন্দ্র করে। আজ মোহাম্মদপুরে পথঘাট বন্ধ করে, চিতকার-আক্রমণাত্মক আচরণে এসব শিয়াদের এই তাজিয়া মিছিলের ভয়াবহতা দেখে অবাক হয়েছি খুব। এতে মনে হয় অ-শিয়া লোকজনেরও অংশগ্রহণ ছিলো। ভ্যালেন্টাইন ডে, অমুক ডে, তমুক ডে, টমুক নেতার আগমন, ঘমুকের চমুক জয় করার মতন কিছু মওকা পেলেই রাস্তায় মৌজ করতে নেমে চলাচলকারী মানুষদের কষ্ট দেয়ার সংস্কৃতিটা ভয়াবহ লাগে!
আজই শুনলাম 'ইসলামিক বই' থাকা *সন্দেহে* গ্রেফতার করা হয় শিক্ষার্থীদের। অনেক ইমাম, স্কলার, দাড়িওয়ালা ভাই এবং হিজাবী বোনদের অনর্থক হ্যারাসমেন্ট আর গ্রেফতার/চেকিং এদেশে এখন খুব ডালভাত টাইপের ভোগান্তি হয়ে যাচ্ছে। সব দেখে একটা উপলব্ধি আমার প্রকট হয়--
এদেশে ইসলামের সঠিক পথে থাকা ছাড়া অন্য সবকিছুই খুব সহজেই করা যায়। সঠিক ইসলাম পালনে আপনি সর্বোচ্চ বাধার সম্মুখীন হবেন।
হে আল্লাহ! আমাদেরকে মুসলিম অধ্যুষিত এই ভুখন্ডের মানুষদের হিফাজত করুন। যে মানুষদের অক্লান্ত পরিশ্রমে ইসলাম এতটা ছড়িয়ে গিয়েছিলো, তাদেরকে আপনি উত্তম জাযাহ দান করুন এবং আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে সরল-সঠিক পথে চলার তাওফিক দিন।
* * * *
১০ মুহাররাম, ১৪৩৬ হিজরি।
০৪ নভেম্বর, ২০১৪ ঈসায়ী।
ঘটনাক্রমে সন্ধ্যার পর আল্লাহ আমাকে মোহাম্মদপুরে নিয়ে গিয়েছিলেন। টাউন হলের মেইন রোড বন্ধ, ভেতরের রাস্তাগুলো দিয়ে সিএনজি আমি যে রাস্তা দিয়েই ঘুরাই, সবখানে লম্বা লাঠি হাতে "ঐ হালা গুরা, গুরা" বলে চিৎকার করছিলো কিছু পোলাপাইনজ। একসময় আমাকে হতভম্ব করে 'তাজিয়া মিছিল' চলে এলো পাশে। আমি জটে পড়ে থাকা যানের ভেতর থেকে একটা ঘোড়ার মতন কিছুর প্রতিকৃতির ভ্যানগাড়ির চারপাশে পুরুষ-নারীর যৌথ পদযাত্রাতে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম। একটু পরে আরেকটা মিছিল সামনের রাস্তায়, সেখানে একটি গম্বুজের চারমাথায় চারটা মিনারের প্রতিকৃতি, আলো ঝিলমিল। বিকট চিৎকার, রাস্তা বন্ধ করে বড় বড় লাঠি হাতে একগাদা ছেলে, অনেকেরই গায়ে পুরো কালো পোশাক। ট্র্যাফিকরা দর্শকের ভূমিকা পালন করছিলো, পথচারীরা ভীতসন্ত্রস্ত...
শহরকে ভীতির নগরীতে পরিণত করে, জনগণের ভোগান্তিকে মাত্রাছাড়া করে এসব জঘন্য 'তাজিয়া মিছিল' আয়োজন কত অবলীলায়ই না হয়! কয়েক মাস আগে মতিঝিল শাপলা চত্বর থেকে দৈনিক বাংলা মোড় পর্যন্ত একটানা কয়েক ঘন্টা রাস্তা বন্ধ করে হিন্দুদের রথযাত্রার মৌজমাস্তি দেখেছিলাম। উদ্দাম নাচ,ঢোল,নারী-পুরুষ চিতকারের সেই ভয়ংকর 'আনন্দযাত্রার' সাথে তাজিয়া মিছিলের কোন ব্যবধান দেখেছি বলে মনে পড়ছে না।
এর আগে একদিন এক মুসলিম ভাইয়ের সাথে পুরোনো ঢাকার হোসেনি দালান রোডের ইমামবাড়াতে গিয়েছিলাম। সেখানে বিকেলে বুক চাপড়ে চাপড়ে অচেনা ভাষায় আবৃত্তি করতে দেখেছিলাম পিচ্চি পিচ্চি ছেলেমেয়েদের। বাইরেই নারীপুরুষ ব্যতিরেকে একটা ফুলের মালা দেয়া প্রতিকৃতি টাইপের জায়গায় নারীদের দাঁড়িয়ে মাথা ঠুকে সিজদার ভঙ্গিতে পড়ে থাকার দৃশ্যটা খুবই অগ্রহণযোগ্য ছিলো...
শিরক, কুফর, পাপাচার, নোংরামির এক অপসংস্কৃতি তৈরি হয়েছে এখন মুহাররামের আশুরার দিনকে কেন্দ্র করে। আজ মোহাম্মদপুরে পথঘাট বন্ধ করে, চিতকার-আক্রমণাত্মক আচরণে এসব শিয়াদের এই তাজিয়া মিছিলের ভয়াবহতা দেখে অবাক হয়েছি খুব। এতে মনে হয় অ-শিয়া লোকজনেরও অংশগ্রহণ ছিলো। ভ্যালেন্টাইন ডে, অমুক ডে, তমুক ডে, টমুক নেতার আগমন, ঘমুকের চমুক জয় করার মতন কিছু মওকা পেলেই রাস্তায় মৌজ করতে নেমে চলাচলকারী মানুষদের কষ্ট দেয়ার সংস্কৃতিটা ভয়াবহ লাগে!
আজই শুনলাম 'ইসলামিক বই' থাকা *সন্দেহে* গ্রেফতার করা হয় শিক্ষার্থীদের। অনেক ইমাম, স্কলার, দাড়িওয়ালা ভাই এবং হিজাবী বোনদের অনর্থক হ্যারাসমেন্ট আর গ্রেফতার/চেকিং এদেশে এখন খুব ডালভাত টাইপের ভোগান্তি হয়ে যাচ্ছে। সব দেখে একটা উপলব্ধি আমার প্রকট হয়--
এদেশে ইসলামের সঠিক পথে থাকা ছাড়া অন্য সবকিছুই খুব সহজেই করা যায়। সঠিক ইসলাম পালনে আপনি সর্বোচ্চ বাধার সম্মুখীন হবেন।
হে আল্লাহ! আমাদেরকে মুসলিম অধ্যুষিত এই ভুখন্ডের মানুষদের হিফাজত করুন। যে মানুষদের অক্লান্ত পরিশ্রমে ইসলাম এতটা ছড়িয়ে গিয়েছিলো, তাদেরকে আপনি উত্তম জাযাহ দান করুন এবং আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে সরল-সঠিক পথে চলার তাওফিক দিন।
* * * *
১০ মুহাররাম, ১৪৩৬ হিজরি।
০৪ নভেম্বর, ২০১৪ ঈসায়ী।
amin
উত্তরমুছুন