সবাই খুব হতাশার কথা বলে চারপাশে। একটু স্বপ্ন দেখতে, প্রশান্ত মনের কথা শুনতে বহুত কষ্ট করতে হয়!
সত্যিকার অর্থে চারপাশে তাকালে আশাবাদী হবার কথা কি? পথে বের হলে দেখতে পাই বাসের/লেগুনার হেলপাররা ইচ্ছে হলে পারলে ধাক্কা দিয়ে লোক নামায়। এভাবে অনেক মানুষ আহত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ইচ্ছেমতন বাস থামিয়ে লোক নেয়া, প্রতিটি বাসে কন্ডাকটর আর প্যাসেঞ্জারের ক্যাচাল এবং মুখ ভরা গালি শুনতে গিয়ে গা ঘিনঘিনিয়ে ওঠে। প্রায় প্রতিদিন দেখি গাড়ির সাথে রিকসা বা সিএনজি লেগে গেছে, বডি নষ্ট বা ট্যামা হয়ে যায়, এতেও আহত হয় লোকে। পথের ধারে কনস্ট্রাকশন কাজ চলে, ফুটপাথে ফেরিওয়ালায় ভর্তি। কোথায় যাবো অসহায় একেকটি মানুষ আমরা?
এক বড় ভাই অস্ট্রেলিয়াতে রিসার্চ করেছিলেন। দেখা হবার পর এলিফ্যান্ট রোডে ভয়ংকর রাস্তাটাতে আমাকে বলছিলেন বাংলাদেশে মানুষগুলো যে মানুষ, তাদের যে একটা অধিকার আছে তা আমরা জানিই না আসলে। একটা মানুষের অধিকার থাকে কারণ সে মানুষ। তার পথ চলায় সে সম্মানিত ও নিরাপত্তা পাওয়ার দাবী রাখে। এদেশে যেভাবে ধাক্কা দিয়ে বাস থেকে লোক নামায়, যেভাবে অবজ্ঞা করে একেকটা মানুষকে পুলিশ-ট্র্যাফিক থেকে শুরু করে এখন তো যেকোন সরকারী প্রতিষ্ঠানেই ঘুষ ছাড়া একচুল নড়ে না কিছু। পুলিশের কাছে অভিযোগ নিয়ে গেলেও মানুষ চরমভাবে হেনস্থা হচ্ছে তা অফিসের কলিগ, আত্মীয়-স্বজনদের অভিজ্ঞতাগুলো প্রকৃষ্ট সাক্ষী।
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা যা চায়, সেটা বুঝতে পারা খুব সহজ নয়। এইচএসসির পর সরকারি ভার্সিটিতে চান্স না পেয়ে এবং টাকা দিয়ে প্রাইভেটে পড়তে না পেরে হতাশায় ডুবে যায় অনেকেই, আমি ইদানিং এমন অনেকের সাথেই পরিচিত হয়েছি যারা আর জীবন নিয়ে আশা রাখে না। মাত্র ২০ বছরের ছেলেগুলো একবুক হতাশা নিয়ে সমাজে ঘুরে বেড়াচ্ছে, যদিও তারা ভালো পরিবারের সন্তান ছিলো। ভবিষ্যতের আশা না থাকায় এরাই সমাজকে ভারগ্রস্ত করছে, নেশা-রংবাজি-অনর্থক সময় কাটিয়ে দেশের অতিরিক্ত ওজনে পরিণত হয়ে যায় তারুণ্যের বিশাল অংশ। মাস্টার্স পাশ করে, সরকারি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে হা করে চাকুরি খুঁজছেন, বিসিএসের পর বিসিএস দিচ্ছেন এমন লোক নিয়মিতই দেখি।
টিভিচ্যানেল-এফএমরেডিও-বিলবোর্ডসহ মোবাইল অপারেটরের দল এবং যাবতীয় সংস্কৃতিতে প্রেম-বন্ধু-পটানো-গার্লফ্রেন্ড-বয়ফ্রেন্ড চুলকানিতে ভরপুর। কঠিন হয়ে আছে চাকুরি পাওয়া, কঠিন হয়ে আছে বিয়ে। যা কিছু ন্যায়, সবকিছুই কঠিন। অথচ রাজধানীতে একেকটা এলাকায় রাজনৈতিক যোগসাজশে লক্ষ টাকার চাঁদাবাজি হয় একেকটি দিনেই। ঘরে শান্তি নেই বেশিরভাগ মানুষের। কারো স্ত্রী, কারো স্বামী, কারো সন্তান বখে গেছে, ধারণার চেয়ে বেশি খারাপ কাজে ডুবে গেছে, সামলানো যাচ্ছে না-- কারো অর্থাভাবে, চাকুরির অভাবে, ব্যবসায় মন্দা। অকারণে এবং অন্যায়ভাবে কেস খেয়ে থানায় এবং কোর্টে ঘুরছেন অনেকেই। আমার অভিজ্ঞতায় মনে হয়েছে এই দেশের প্রতিটি মানুষ মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন, "পুলিশের কাছে কখনই ন্যায়ের পক্ষে সাহায্য পাওয়া যায় না, টাকা ছাড়া কোথাও কিছু হয় না।"
এমন দেশের পরিস্থিতিতে আশাবাদী হবো কেমন করে? -- এ আমার অনেক পুরোনো প্রশ্ন যা ক্রমাগত মাথায় চলে। সেদিন হাদিস (রিয়াদুস সলিহীন ৪র্থ খন্ড) নিয়ে বসেছিলাম, রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] আমাদের সতর্ক করেছিলেন তা খেয়াল হলো। কতটা স্পষ্ট করে তিনি দাজ্জাল এবং তার ফিতনা নিয়ে সতর্ক করে গেছেন। অথচ এটা নিশ্চিত, এতকিছুর পরেও সে যখন আসবে, তখন দলবেঁধে গোটা পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ তাকে অনুসরণ করবে। একসময় শিখেছিলাম শেষ যামানায় এমন হবে যে কেউ মারা গেলে সে কেন মারা গেলো এবং যে তাকে মারলো সে কেন মারলো তা জানবে না। মনে পড়ে আমি জেনেছিলাম, পৃথিবীর শেষ সময়ে বিধর্মীদের আমরা এমনভাবে অনুসরণ করতে শুরু করবো যে ওরা সাপের গর্তে লুকোলেও তার পেছনে পেছনে আমরা যেতে থাকবো এবং কোন চিন্তাও করবো না। সাংস্কৃতিকভাবে তাই ফাদারডে-মাদারডে-হ্যালোউইন-ভ্যালেন্টাইনডে টাইপের জিনিস কেন সপরিবারে দলবেঁধে পালন করি সেই প্রশ্ন সামনে চলে আসে। সাবধান হওয়া উচিত নয় কি?
আমাদের মু'মিনদের জন্য এই পৃথিবী কারাগারের মতন। আবার, আমাদেরকেই হতে হবে এই পৃথিবীবাসীর জন্য 'মুবারাক', প্রকৃত শান্তি আনয়ন আমাদেরই দায়িত্ব। কুরআন এবং সুন্নাহকে অনুসরণ করা মানে রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] তার জীবনটাকে যেমন করে আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন, তাকে অনুসরণ করা। তিনি যা ভালোবাসতে বলেছেন, তাকে ভালোবাসা, তিনি যা থেকে দূরে থাকতে বলেছেন তা থেকে দূরে থাকা। এই মানুষটা ছিলেন সবচেয়ে বেশি প্রজ্ঞাবান, তিনি ছিলেন সত্যবাদী, তার প্রতিটি বর্ণের উপরে নিশ্চিত বিশ্বাস রাখা যায়, আস্থা রাখা যায়। তাই তিনি যা করতে বলেছেন তাতে আসলে অকল্যান নেই, তিনি যা নিষেধ করেছেন তা করার মাঝে ন্যুনতম কল্যাণ নেই তা নিশ্চিতভাবে বলা যায়।
আমাদের কাছে আশাহত হবার কিছু নেই। আমরা সংখ্যায় গণনা করি না নিজেদের। 'Quality over Quantity' অর্থাৎ মুসলিমদের সংখ্যার চেয়ে তাদের ঈমানের পরিচ্ছন্নতা হচ্ছে মু'মিনদের বড় পরিচিতি। আসহাবে কাহাফের সেই যুবকেরা আমাদের অনুপ্রেরণা -- সেই গল্প আমাদের আল্লাহ কুরআনে শিখিয়েছেন। অন্যায় অবিচারের সাথে মানিয়ে নেয়ার কিছু নেই। যা খারাপ, তা খারাপ। যারা খারাপ, তারা খারাপ; যারা ভালো, তারা ভালো।
আল্লাহ আমাদের সরল সঠিক পথ প্রদর্শন করুন। আল্লাহ আমাদেরকে এমন জীবন দান করুন যা আমাদের জন্য আখিরাতে মুক্তির কারণ হবে। হে আল্লাহ! আমাদের মুসলিম ভাইবোনদেরকে হিফাজত করুন, আপনার দয়ার চাদর আমাদের উপরে বিছিয়ে দিন।
* * * *
১৪ মুহাররাম, ১৪৩৬ হিজরি।
০৮ নভেম্বর, ২০১৪ ঈসায়ী।
সত্যিকার অর্থে চারপাশে তাকালে আশাবাদী হবার কথা কি? পথে বের হলে দেখতে পাই বাসের/লেগুনার হেলপাররা ইচ্ছে হলে পারলে ধাক্কা দিয়ে লোক নামায়। এভাবে অনেক মানুষ আহত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ইচ্ছেমতন বাস থামিয়ে লোক নেয়া, প্রতিটি বাসে কন্ডাকটর আর প্যাসেঞ্জারের ক্যাচাল এবং মুখ ভরা গালি শুনতে গিয়ে গা ঘিনঘিনিয়ে ওঠে। প্রায় প্রতিদিন দেখি গাড়ির সাথে রিকসা বা সিএনজি লেগে গেছে, বডি নষ্ট বা ট্যামা হয়ে যায়, এতেও আহত হয় লোকে। পথের ধারে কনস্ট্রাকশন কাজ চলে, ফুটপাথে ফেরিওয়ালায় ভর্তি। কোথায় যাবো অসহায় একেকটি মানুষ আমরা?
এক বড় ভাই অস্ট্রেলিয়াতে রিসার্চ করেছিলেন। দেখা হবার পর এলিফ্যান্ট রোডে ভয়ংকর রাস্তাটাতে আমাকে বলছিলেন বাংলাদেশে মানুষগুলো যে মানুষ, তাদের যে একটা অধিকার আছে তা আমরা জানিই না আসলে। একটা মানুষের অধিকার থাকে কারণ সে মানুষ। তার পথ চলায় সে সম্মানিত ও নিরাপত্তা পাওয়ার দাবী রাখে। এদেশে যেভাবে ধাক্কা দিয়ে বাস থেকে লোক নামায়, যেভাবে অবজ্ঞা করে একেকটা মানুষকে পুলিশ-ট্র্যাফিক থেকে শুরু করে এখন তো যেকোন সরকারী প্রতিষ্ঠানেই ঘুষ ছাড়া একচুল নড়ে না কিছু। পুলিশের কাছে অভিযোগ নিয়ে গেলেও মানুষ চরমভাবে হেনস্থা হচ্ছে তা অফিসের কলিগ, আত্মীয়-স্বজনদের অভিজ্ঞতাগুলো প্রকৃষ্ট সাক্ষী।
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা যা চায়, সেটা বুঝতে পারা খুব সহজ নয়। এইচএসসির পর সরকারি ভার্সিটিতে চান্স না পেয়ে এবং টাকা দিয়ে প্রাইভেটে পড়তে না পেরে হতাশায় ডুবে যায় অনেকেই, আমি ইদানিং এমন অনেকের সাথেই পরিচিত হয়েছি যারা আর জীবন নিয়ে আশা রাখে না। মাত্র ২০ বছরের ছেলেগুলো একবুক হতাশা নিয়ে সমাজে ঘুরে বেড়াচ্ছে, যদিও তারা ভালো পরিবারের সন্তান ছিলো। ভবিষ্যতের আশা না থাকায় এরাই সমাজকে ভারগ্রস্ত করছে, নেশা-রংবাজি-অনর্থক সময় কাটিয়ে দেশের অতিরিক্ত ওজনে পরিণত হয়ে যায় তারুণ্যের বিশাল অংশ। মাস্টার্স পাশ করে, সরকারি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে হা করে চাকুরি খুঁজছেন, বিসিএসের পর বিসিএস দিচ্ছেন এমন লোক নিয়মিতই দেখি।
টিভিচ্যানেল-এফএমরেডিও-বিলবোর্ডসহ মোবাইল অপারেটরের দল এবং যাবতীয় সংস্কৃতিতে প্রেম-বন্ধু-পটানো-গার্লফ্রেন্ড-বয়ফ্রেন্ড চুলকানিতে ভরপুর। কঠিন হয়ে আছে চাকুরি পাওয়া, কঠিন হয়ে আছে বিয়ে। যা কিছু ন্যায়, সবকিছুই কঠিন। অথচ রাজধানীতে একেকটা এলাকায় রাজনৈতিক যোগসাজশে লক্ষ টাকার চাঁদাবাজি হয় একেকটি দিনেই। ঘরে শান্তি নেই বেশিরভাগ মানুষের। কারো স্ত্রী, কারো স্বামী, কারো সন্তান বখে গেছে, ধারণার চেয়ে বেশি খারাপ কাজে ডুবে গেছে, সামলানো যাচ্ছে না-- কারো অর্থাভাবে, চাকুরির অভাবে, ব্যবসায় মন্দা। অকারণে এবং অন্যায়ভাবে কেস খেয়ে থানায় এবং কোর্টে ঘুরছেন অনেকেই। আমার অভিজ্ঞতায় মনে হয়েছে এই দেশের প্রতিটি মানুষ মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন, "পুলিশের কাছে কখনই ন্যায়ের পক্ষে সাহায্য পাওয়া যায় না, টাকা ছাড়া কোথাও কিছু হয় না।"
এমন দেশের পরিস্থিতিতে আশাবাদী হবো কেমন করে? -- এ আমার অনেক পুরোনো প্রশ্ন যা ক্রমাগত মাথায় চলে। সেদিন হাদিস (রিয়াদুস সলিহীন ৪র্থ খন্ড) নিয়ে বসেছিলাম, রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] আমাদের সতর্ক করেছিলেন তা খেয়াল হলো। কতটা স্পষ্ট করে তিনি দাজ্জাল এবং তার ফিতনা নিয়ে সতর্ক করে গেছেন। অথচ এটা নিশ্চিত, এতকিছুর পরেও সে যখন আসবে, তখন দলবেঁধে গোটা পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ তাকে অনুসরণ করবে। একসময় শিখেছিলাম শেষ যামানায় এমন হবে যে কেউ মারা গেলে সে কেন মারা গেলো এবং যে তাকে মারলো সে কেন মারলো তা জানবে না। মনে পড়ে আমি জেনেছিলাম, পৃথিবীর শেষ সময়ে বিধর্মীদের আমরা এমনভাবে অনুসরণ করতে শুরু করবো যে ওরা সাপের গর্তে লুকোলেও তার পেছনে পেছনে আমরা যেতে থাকবো এবং কোন চিন্তাও করবো না। সাংস্কৃতিকভাবে তাই ফাদারডে-মাদারডে-হ্যালোউইন-ভ্যালেন্টাইনডে টাইপের জিনিস কেন সপরিবারে দলবেঁধে পালন করি সেই প্রশ্ন সামনে চলে আসে। সাবধান হওয়া উচিত নয় কি?
আমাদের মু'মিনদের জন্য এই পৃথিবী কারাগারের মতন। আবার, আমাদেরকেই হতে হবে এই পৃথিবীবাসীর জন্য 'মুবারাক', প্রকৃত শান্তি আনয়ন আমাদেরই দায়িত্ব। কুরআন এবং সুন্নাহকে অনুসরণ করা মানে রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] তার জীবনটাকে যেমন করে আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন, তাকে অনুসরণ করা। তিনি যা ভালোবাসতে বলেছেন, তাকে ভালোবাসা, তিনি যা থেকে দূরে থাকতে বলেছেন তা থেকে দূরে থাকা। এই মানুষটা ছিলেন সবচেয়ে বেশি প্রজ্ঞাবান, তিনি ছিলেন সত্যবাদী, তার প্রতিটি বর্ণের উপরে নিশ্চিত বিশ্বাস রাখা যায়, আস্থা রাখা যায়। তাই তিনি যা করতে বলেছেন তাতে আসলে অকল্যান নেই, তিনি যা নিষেধ করেছেন তা করার মাঝে ন্যুনতম কল্যাণ নেই তা নিশ্চিতভাবে বলা যায়।
আমাদের কাছে আশাহত হবার কিছু নেই। আমরা সংখ্যায় গণনা করি না নিজেদের। 'Quality over Quantity' অর্থাৎ মুসলিমদের সংখ্যার চেয়ে তাদের ঈমানের পরিচ্ছন্নতা হচ্ছে মু'মিনদের বড় পরিচিতি। আসহাবে কাহাফের সেই যুবকেরা আমাদের অনুপ্রেরণা -- সেই গল্প আমাদের আল্লাহ কুরআনে শিখিয়েছেন। অন্যায় অবিচারের সাথে মানিয়ে নেয়ার কিছু নেই। যা খারাপ, তা খারাপ। যারা খারাপ, তারা খারাপ; যারা ভালো, তারা ভালো।
আল্লাহ আমাদের সরল সঠিক পথ প্রদর্শন করুন। আল্লাহ আমাদেরকে এমন জীবন দান করুন যা আমাদের জন্য আখিরাতে মুক্তির কারণ হবে। হে আল্লাহ! আমাদের মুসলিম ভাইবোনদেরকে হিফাজত করুন, আপনার দয়ার চাদর আমাদের উপরে বিছিয়ে দিন।
* * * *
১৪ মুহাররাম, ১৪৩৬ হিজরি।
০৮ নভেম্বর, ২০১৪ ঈসায়ী।