প্রথম খবরটা গতবছরের আগস্ট মাসের, পত্রিকাটা বৃটেনের দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট, যারা বরাত দিয়েছে ইসরাইলি পত্রিকা হারেটজকে। খবরে এসেছে, ইসরাইলি সরকার তাদের ৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় শত ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান করবে যদি তারা বিদেশিদের কাছে ইসরাইলের ইমেজ রক্ষার জন্য ফেসবুকে পোস্ট দেয় এবং টুইটারে টুইট দেয়। (বিস্তারিত পড়ুন: http://ow.ly/zBzp2)
সরকারীভাবে এইরকম কাজের 'প্ল্যান' করাটা ইসরাইলিরা পারে। নির্লজ্জ ও জঘন্য মিথ্যাচারকে হাজারবার করে বলতে থাকে। চলমান গাজা আক্রমণের শুরু থেকেই এরকম অনেক মিথ্যাচার ও প্রোপাগান্ডা মেশিন হিসেবে ফেসবুক টুইটারে ছাত্রদের ব্যবহার করা হয়েছে। বিশ্বময় তো ওদের নিউজ চ্যানেলগুলো তো রয়েছেই। সিএনএন ও বিবিসি তো এইবার তীব্র নির্লজ্জ অন্ধ পক্ষপাত করেছে ইসরাইলের ব্যাপারে যা মানুষ সহজেই বুঝেছে। তবুও, মিথ্যার প্রবল প্রচারই এখনকার সময়। ফিলিস্তিনে ইসরাইলের গণহত্যা নিয়ে সিএনএন, বিবিসি, এবিসি, ফক্স নিউজের রিপোর্টিং দেখে বুঝা গিয়েছে ওদের শেকড় কত গভীরে। অনেক সেলিব্রেটিরা টুইট করে আমার ডিলিট করেও ফেলেছে ভয়ে/শংকায়। নিউজ মিডিয়াগুলোর বেহাল অবস্থা যখন সত্য প্রকাশে, তখন ফেসবুক অনেক কিছুই ফাঁস করে দেয়। তাই, সোশাল নেটওয়ার্কগুলোতে কাজের জন্যও ইসরাইলের বুদ্ধিও অন্যরকম! দ্বিতীয় খবরটা সেটাই, ইসরাইলের ছাত্র ইউনিয়ন তাদের একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে 'ওয়ার রুম' তৈরি করে সেখানে দলবদ্ধভাবে মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে ইসরাইলের ইমেজ উন্নত করার তৎপরতা চালায়। (বিস্তারিত পড়ুন: http://ow.ly/zBzR6)
অন্যদিকে, তৃতীয় খবরটি হলো, তেলআবিব ইউনিভার্সিটি, হিব্রু ইউনিভার্সিটিতে গাজা গনহত্যার পক্ষে তহবিল সংগ্রহ হয়েছে (বিস্তারিত পড়ুন: bit.ly/1jZeUDI)। এমন অজস্র কাজ দলবদ্ধভাবে ওরা করে। ওরা ইহুদিবাদী, নোংরা মানসিকতার অল্প কিছু লোক। কিন্তু দলবদ্ধতা, সময়কে নিপুণভাবে ব্যবহার করায় দুনিয়াতে অল্প কিছু মানুষ হয়েও সমস্ত জাতিগুলোর উপরে ছড়ি ঘুরায় দিব্যি নির্বিকারভাবে, নির্লজ্জভাবে মিথ্যাকে দম্ভ করে প্রকাশ করে টিকেও চলেছে বছরের পর বছর।
চারিদিকে নিপীড়িত, বঞ্চিত ও নির্যাতিতদের এত সব সত্য নিয়ে কয়টা নিউজ সাইট বা ওয়েবসাইট করতে পেরেছে মুসলিমরা? দেশের স্থানীয় অনেক সমস্যা নিয়েই খুব বেশি কাজ করা প্রয়োজন। এই তো খ্রিষ্টান মিশনারীরা একটানা ভাসিয়ে দিচ্ছে লোকদের ধর্মান্তরিত করে, ভারত ভাসাচ্ছে ঘরের নারীদের সিরিয়ালে ডুবিয়ে; এমতাবস্থায় ভাঙ্গন ঠেকাতে ক'জন করেছে দলবদ্ধভাবে কাজ? পরিকল্পনা আছে তো?
এই সাক্ষাত শয়তান মেধাবী "বনী ইসরাইলদের" কাছ থেকেও শেখার আছে অনেক কিছু! আল্লাহ আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হবার ও সমস্ত যালিমদের বিরুদ্ধে বিজয়ী হবার তাওফিক দান করুন।
[২৬ জুলাই,২০১৪]
সরকারীভাবে এইরকম কাজের 'প্ল্যান' করাটা ইসরাইলিরা পারে। নির্লজ্জ ও জঘন্য মিথ্যাচারকে হাজারবার করে বলতে থাকে। চলমান গাজা আক্রমণের শুরু থেকেই এরকম অনেক মিথ্যাচার ও প্রোপাগান্ডা মেশিন হিসেবে ফেসবুক টুইটারে ছাত্রদের ব্যবহার করা হয়েছে। বিশ্বময় তো ওদের নিউজ চ্যানেলগুলো তো রয়েছেই। সিএনএন ও বিবিসি তো এইবার তীব্র নির্লজ্জ অন্ধ পক্ষপাত করেছে ইসরাইলের ব্যাপারে যা মানুষ সহজেই বুঝেছে। তবুও, মিথ্যার প্রবল প্রচারই এখনকার সময়। ফিলিস্তিনে ইসরাইলের গণহত্যা নিয়ে সিএনএন, বিবিসি, এবিসি, ফক্স নিউজের রিপোর্টিং দেখে বুঝা গিয়েছে ওদের শেকড় কত গভীরে। অনেক সেলিব্রেটিরা টুইট করে আমার ডিলিট করেও ফেলেছে ভয়ে/শংকায়। নিউজ মিডিয়াগুলোর বেহাল অবস্থা যখন সত্য প্রকাশে, তখন ফেসবুক অনেক কিছুই ফাঁস করে দেয়। তাই, সোশাল নেটওয়ার্কগুলোতে কাজের জন্যও ইসরাইলের বুদ্ধিও অন্যরকম! দ্বিতীয় খবরটা সেটাই, ইসরাইলের ছাত্র ইউনিয়ন তাদের একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে 'ওয়ার রুম' তৈরি করে সেখানে দলবদ্ধভাবে মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে ইসরাইলের ইমেজ উন্নত করার তৎপরতা চালায়। (বিস্তারিত পড়ুন: http://ow.ly/zBzR6)
অন্যদিকে, তৃতীয় খবরটি হলো, তেলআবিব ইউনিভার্সিটি, হিব্রু ইউনিভার্সিটিতে গাজা গনহত্যার পক্ষে তহবিল সংগ্রহ হয়েছে (বিস্তারিত পড়ুন: bit.ly/1jZeUDI)। এমন অজস্র কাজ দলবদ্ধভাবে ওরা করে। ওরা ইহুদিবাদী, নোংরা মানসিকতার অল্প কিছু লোক। কিন্তু দলবদ্ধতা, সময়কে নিপুণভাবে ব্যবহার করায় দুনিয়াতে অল্প কিছু মানুষ হয়েও সমস্ত জাতিগুলোর উপরে ছড়ি ঘুরায় দিব্যি নির্বিকারভাবে, নির্লজ্জভাবে মিথ্যাকে দম্ভ করে প্রকাশ করে টিকেও চলেছে বছরের পর বছর।
চারিদিকে নিপীড়িত, বঞ্চিত ও নির্যাতিতদের এত সব সত্য নিয়ে কয়টা নিউজ সাইট বা ওয়েবসাইট করতে পেরেছে মুসলিমরা? দেশের স্থানীয় অনেক সমস্যা নিয়েই খুব বেশি কাজ করা প্রয়োজন। এই তো খ্রিষ্টান মিশনারীরা একটানা ভাসিয়ে দিচ্ছে লোকদের ধর্মান্তরিত করে, ভারত ভাসাচ্ছে ঘরের নারীদের সিরিয়ালে ডুবিয়ে; এমতাবস্থায় ভাঙ্গন ঠেকাতে ক'জন করেছে দলবদ্ধভাবে কাজ? পরিকল্পনা আছে তো?
এই সাক্ষাত শয়তান মেধাবী "বনী ইসরাইলদের" কাছ থেকেও শেখার আছে অনেক কিছু! আল্লাহ আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হবার ও সমস্ত যালিমদের বিরুদ্ধে বিজয়ী হবার তাওফিক দান করুন।
[২৬ জুলাই,২০১৪]