বইয়ের নাম: ঈমানী দুর্বলতা
লেখক : শাইখ মুহাম্মাদ সালিহ আল-মুনাজ্জিদ
মূল্য: ৩০ টাকা (প্রায়) এরকম রত্নের টুকরা টাইপের জিনিস না পড়া একটা বোকামি এবং অনুচিত কাজ। অবশ্যই পড়া উচিত এই বই। ঈমানের ফকিন্নি টাইপের অবস্থা নিয়ে দুনিয়ার ডিগ্রি, টাকা-পয়সা, সম্মান-খ্যাতি, রূপ-সৌন্দর্য, সুখের সংসারের কোনই মূল্য নাই। দুনিয়া পেয়ে আখিরাত হারানোর কোনই মূল্য নেই। আবার, সেই চরম দুর্ভাগা হয়েও লাভ নেই, যারা আখিরাত এবং দুনিয়া উভয়ই হারালো…
বইটিতে উল্লেখ আছে –
অন্তঃকরণের বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর এবং গুরুত্বপূর্ণ। অন্তঃকরণকে আরবিতে কালব (পরিবর্তনশীল) বলা হয়েছে এ কারণেই যে, তা দ্রুত পরিবর্তনশীল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
“অন্তঃকরণকে কালব বলা হয়েছে বেশি বেশি পরিবর্তন হবার কারণে। অন্তঃকরণের উদাহরণ হলো একটি পাখির পালকের মত যা গাছের ডালে ঝুলানো আছে, বাতাসে সেটিকে এদিকে সেদিকে ঘুরাচ্ছে”। [আহমাদ ৪/৪০৮, সহীহ আল জামে ২৩৬৫]
প্রথম অধ্যায় : দুর্বল ঈমানের বহির্প্রকাশঃ
১) পাপে নিমজ্জিত হওয়া এবং হারাম কাজ করা
২) অন্তকরণে কাঠিন্য অনুভব করা
৩) ভালোভাবে ইবাদাত না করা
৪) আনুগত্য ও ইবাদাতে শৈথিল্যতা ও অলসতা প্রদর্শন করা
৫) মেজাজের ভারসাম্যহীনতা এবং বক্ষের অপ্রশস্ততা
৬) কুরআনের আয়াত দ্বারা প্রভাবিত না হওয়া
৭) আল্লাহর স্মরণ ও তাঁর প্রার্থনার ব্যাপারে গাফেল থাকা
৮) কোনো হারাম কাজ সংঘটিত হতে দেখলেও ক্রোধের সঞ্চার না হওয়া
৯) নিজেকে প্রকাশ করতে ভালোবাসা
১০) কৃপণতা
১১) কথা ও কাজে গরমিল
১২) মুসলমান ভাইয়ের বিপদ দেখলে খুশি হওয়া
১৩) শুধুমাত্র কাজটি অপছন্দনীয় কিনা দেখা
১৪) ভালো কাজকে তুচ্ছজ্ঞান করা নেকীর কাজকে গুরুত্ব না দেয়া
১৫) মুসলমানদের সমস্যার ব্যাপারে গুরুত্ব না দেয়া
১৬) ভ্রাতৃত্বের বন্ধন ছিন্ন করা
১৭) দ্বীনের কাজে দায়িত্বানুভূতি না থাকা
১৮) বিপদাপদে ভীত সন্ত্রস্ত হওয়া
১৯) অনর্থক ঝগড়া-বিবাদ ও তর্ক-বিতর্ক করা
২০) দুনিয়ার প্রতি আকর্ষণ ও এর প্রতি ঝুঁকে পড়া
২১) জনশ্রুতিকে বর্ণনার জন্য গ্রহণ করা
২২) নিজেকে নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকা।
দ্বিতীয় অধ্যায় : ঈমানের দুর্বলতার কারণঃ
১) ঈমানী পরিবেশ থেকে দীর্ঘদিন দূরে থাকা
২) সৎ ও অনুকরণযোগ্য ব্যক্তিত্ব থেকে দূরে থাকা
৩) শরীয়তী জ্ঞান ও ঈমানী বইপত্র থেকে দূরে থাকা
৪) গুনাহগারের মাঝে অবস্থান করা
৫) দুনিয়ার মোহে মগ্ন হওয়া
৬) ধন-সম্পদ, স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের নিয়ে মেতে থাকা
৭) উচ্চাকাঙ্খা বা আকাঙ্খা বিলাস
৮) অন্তরের কাঠিন্য, বেশী খাওয়া, বেশি ঘুমানো, অত্যাধিক রাত্রি জাগরণ, অনর্থক কথাবার্তা বলা
তৃতীয় অধ্যায়ঃ দুর্বল ঈমানের চিকিৎসা
১) কুরআন মাজীদ নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করা
২) মহাপরাক্রমশালী আল্লাহর বড়ত্ব অনুভব করা
৩) শরীয়তের জ্ঞানার্জন
৪) নিয়মিত ইসলামী আলোচনা সভায় উপস্থিত হওয়া
৫) বেশী বেশী নেক আমল করা
৬) বিভিন্ন ধরণের ইবাদাতে আত্মনিয়োগ
৭) খারাপ পরিণতির আশঙ্কা করা
৮) বেশী বেশী মৃত্যুকে স্মরণ
৯) পরকালের মনজিলের কথা স্মরণ করা
১০) প্রাকৃতিক কিছু দেখলে পরকালের কথা চিন্তা করা
১১) সর্বদা আল্লাহর স্মরণ বা যিকির
১২) মুনাজাত বা একান্তভাবে আল্লাহকে ডাকা
১৩) কামনা-বাসনা কম করা
১৪) দুনিয়াকে নগন্য মনে করতে হবে
১৫) আল্লাহর নির্দেশ সমূহের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা দেখাতে হবে
১৬) মুমিনের সাথে সম্পর্ক গড়া, এবং কাফিরের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করা
১৭) বিনয়ী হওয়া, দুনিয়ার চাকচিক্য পরিত্যাগ করা
১৮) অন্তরের করণীয়
১৯) আত্মসমালোচনা করা
২০) মহান আল্লাহর নিকট সর্বদা দু’আ করা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মূল্যবান মতামত জানিয়ে যান লেখককে