দেখেছ প্রিয়া, তোমাকে বলেছিলাম না এমনটা হবার নয়? আমি আর কবে আর এডগার এলান পো আর টেনিসনের কবিতা পড়ব? অথচ ইচ্ছে ছিলো দু'একটা অসাধারণ ছত্র আমি তোমাকে লিখে উৎসর্গ করবো। মনে আছে, তোমাকে পড়তে দিবো বলে রেখেছিলাম, W.B. Yeats এর 'the wild swans at coole' যেখানে সেই হাঁসগুলোর ডানা ঝাপটানোর ফলে সেই জলরাশিতে খেলে যাওয়া পানির মাঝে স্রোতটাকে কত সুন্দর করেই না বর্ণনা হয়েছিলো।
তাও যদি হতো! আর কবেই বা লংফেলো বা ওয়ার্ডসওয়ার্থের কবিতার স্পর্শে নদীকূলের পাশে গিয়ে আপ্লুত হবো অথবা ড্যাফোডিলের নাচন দেখতে আকাশের মেঘে উড়ে বেড়াবো? তোমার জন্য আমি হয়ত বেশি কিছু না, দু'একটা সনেট অন্তত লিখতে পারতাম। হয়ত তোমার চুলের স্পর্শ মুখে নিয়ে আমার দু'একটা অষ্টক তৈরি হত মধুসূদনের মতন।
কিন্তু কীভাবে? আজকে দেখো, কিছু কীটপতঙ্ক নারীকূল আজ তোমার হিজাব নিয়ে প্রশ্ন তুলছে, প্রশ্নবিদ্ধ করছে তোমার সম্মান, তোমার ভালোবাসার আর তাকওয়ার প্রকাশ এই নিকাবকে। তুমিই বলো, এমন সময়ে কি শেক্সপিয়ারের ঐ নাটকের মতন করে কেচ্ছাকাহিনী লেখার কি আর সময় আছে? এত নামকরা ঐ হ্যামলেটে কিইবা আছে? আল্লাহর দ্বীনকে আঁকড়ে ধরা অন্তর আর যাই হোক, 'টুবি অর নট টু বি' বলে সিদ্ধান্তহীনতায় বসিয়ে রাখবে না ইনশাআল্লাহ। সে নিয়ে শতবর্ষী আহাজারিও হবার নয়। আমাদের লক্ষ্য তো স্থির, তাইনা? মনে আছে নসীম হিযাযীর সেই উপন্যাসের কথা আমি লিখেছিলাম ডায়রিতে, গ্রানাডার আব্দুল্লাহর পতনের কষ্টে আমার অশ্রুভেজা দিনটি, অথবা ওই ইউসুফ বিন তাশফিনের কথা? কিংবা মুসান্না বিন হারেসার সেই দিগ্বিজয়ী বাহিনীর জয়ের মাঝে আল্লাহর দ্বীনকে জয়ের প্রত্যয়ের আলাপ। এগুলোই পরম সত্য অনুভূতিমালা যা অতীত থেকে ভবিষ্যতকে একই মালায় গেঁথেছে। অথচ সবাই আজকাল ঠুনকো ভালোবাসার নামে শরীর নিয়ে কত কিইনা করে। নামকাওয়াস্তে যেসব লেখক, তারা ভাবের জগত নিয়ে লিখে, খেয়ে পরে জায়গা পেতে দাস হয়েছে টাকাওয়ালা কুমিরদের। মিথ্যে কথা বলে কৃত্রিম সংকট নিয়ে লিখেছে। কেউ লিখেছে বাস্তব জগতের হাহাকারের ছায়ায়। কত রকমেরই তো সাহিত্য আছে জগতে, তাইনা? অথচ প্রতিটি শব্দ তাদের জাহান্নামেই এগিয়ে নিচ্ছে।
আমরা তো সত্যিই কেবল আল্লাহর কাছে চাই। আমার বুকের এই হাহাকার, কষ্টে কাটা, অপমানে কাটা যন্ত্রণার এই মূহুর্তগুলো, কল্পনায় ছন্দমালায় গাঁথা অনুভূতিগুলো যেন জান্নাতেই পূর্ণ হয়। এই দুনিয়ার ধুলো-মাটি আমার কষ্টগুলো ঐ জান্নাতের নদীর পাড়ের মার্বেল পাথরগুলোকে যেন পরিষ্কার করে দিয়ে যায় ক্রমাগত। সেখানে আমাদের প্রিয়তমজন, সুন্দরতমজনের দেখা যদি পাই, সে প্রশান্তি থাকবে অনন্তকাল, তাইনা? এখন এই দু'দিনের ঘোর ভুলতে হবে। কলম ধরতে হবে অনাচারের বিরুদ্ধে, এই ইসলামবিদ্বেষী নোংরা কীটপতঙ্ক আর শয়তানের চ্যালা নারীগুলো বড্ড বাড়াবাড়ি করছে। বোধহয় তাদের সংসারে শান্তি নেই, নতুবা তাদের মনিবগুলো তাদের উষ্কে দিচ্ছে। একটু বাজে কথা বলে পরিচিত না হলে আগামীতে কোন টাকা জুটবে না বা কোন পদ হয়ত জুটবে না। কে জানে? সেকুলার ইতররা আর সহ্যই করতে পারছে না ইসলামের এই প্রসার। চাইছে মুছে দেবে আল্লাহর বাণী আর মুসলিমদের হৃদয়ের ভালোবাসাকে। তাই কি হয়? দ্বীনের আলো কি আর কেউ ফুঁ দিয়ে নিভাতে পারবে? এই বিশ্বজগতের যিনি স্রষ্টা, তিনি তো স্পষ্ট বলেই দিয়েছেন, তা কখনো সম্ভব নয়। এই আলো তার, একান্তই তার। 'নূরুন আলা নুর' নিয়ে অনুভূতিগুলো বোধকরি বলা হয়নি তোমাকে...
রাত্রির প্রথম প্রহর
১৩ আগস্ট, ২০১৩
তাও যদি হতো! আর কবেই বা লংফেলো বা ওয়ার্ডসওয়ার্থের কবিতার স্পর্শে নদীকূলের পাশে গিয়ে আপ্লুত হবো অথবা ড্যাফোডিলের নাচন দেখতে আকাশের মেঘে উড়ে বেড়াবো? তোমার জন্য আমি হয়ত বেশি কিছু না, দু'একটা সনেট অন্তত লিখতে পারতাম। হয়ত তোমার চুলের স্পর্শ মুখে নিয়ে আমার দু'একটা অষ্টক তৈরি হত মধুসূদনের মতন।
কিন্তু কীভাবে? আজকে দেখো, কিছু কীটপতঙ্ক নারীকূল আজ তোমার হিজাব নিয়ে প্রশ্ন তুলছে, প্রশ্নবিদ্ধ করছে তোমার সম্মান, তোমার ভালোবাসার আর তাকওয়ার প্রকাশ এই নিকাবকে। তুমিই বলো, এমন সময়ে কি শেক্সপিয়ারের ঐ নাটকের মতন করে কেচ্ছাকাহিনী লেখার কি আর সময় আছে? এত নামকরা ঐ হ্যামলেটে কিইবা আছে? আল্লাহর দ্বীনকে আঁকড়ে ধরা অন্তর আর যাই হোক, 'টুবি অর নট টু বি' বলে সিদ্ধান্তহীনতায় বসিয়ে রাখবে না ইনশাআল্লাহ। সে নিয়ে শতবর্ষী আহাজারিও হবার নয়। আমাদের লক্ষ্য তো স্থির, তাইনা? মনে আছে নসীম হিযাযীর সেই উপন্যাসের কথা আমি লিখেছিলাম ডায়রিতে, গ্রানাডার আব্দুল্লাহর পতনের কষ্টে আমার অশ্রুভেজা দিনটি, অথবা ওই ইউসুফ বিন তাশফিনের কথা? কিংবা মুসান্না বিন হারেসার সেই দিগ্বিজয়ী বাহিনীর জয়ের মাঝে আল্লাহর দ্বীনকে জয়ের প্রত্যয়ের আলাপ। এগুলোই পরম সত্য অনুভূতিমালা যা অতীত থেকে ভবিষ্যতকে একই মালায় গেঁথেছে। অথচ সবাই আজকাল ঠুনকো ভালোবাসার নামে শরীর নিয়ে কত কিইনা করে। নামকাওয়াস্তে যেসব লেখক, তারা ভাবের জগত নিয়ে লিখে, খেয়ে পরে জায়গা পেতে দাস হয়েছে টাকাওয়ালা কুমিরদের। মিথ্যে কথা বলে কৃত্রিম সংকট নিয়ে লিখেছে। কেউ লিখেছে বাস্তব জগতের হাহাকারের ছায়ায়। কত রকমেরই তো সাহিত্য আছে জগতে, তাইনা? অথচ প্রতিটি শব্দ তাদের জাহান্নামেই এগিয়ে নিচ্ছে।
আমরা তো সত্যিই কেবল আল্লাহর কাছে চাই। আমার বুকের এই হাহাকার, কষ্টে কাটা, অপমানে কাটা যন্ত্রণার এই মূহুর্তগুলো, কল্পনায় ছন্দমালায় গাঁথা অনুভূতিগুলো যেন জান্নাতেই পূর্ণ হয়। এই দুনিয়ার ধুলো-মাটি আমার কষ্টগুলো ঐ জান্নাতের নদীর পাড়ের মার্বেল পাথরগুলোকে যেন পরিষ্কার করে দিয়ে যায় ক্রমাগত। সেখানে আমাদের প্রিয়তমজন, সুন্দরতমজনের দেখা যদি পাই, সে প্রশান্তি থাকবে অনন্তকাল, তাইনা? এখন এই দু'দিনের ঘোর ভুলতে হবে। কলম ধরতে হবে অনাচারের বিরুদ্ধে, এই ইসলামবিদ্বেষী নোংরা কীটপতঙ্ক আর শয়তানের চ্যালা নারীগুলো বড্ড বাড়াবাড়ি করছে। বোধহয় তাদের সংসারে শান্তি নেই, নতুবা তাদের মনিবগুলো তাদের উষ্কে দিচ্ছে। একটু বাজে কথা বলে পরিচিত না হলে আগামীতে কোন টাকা জুটবে না বা কোন পদ হয়ত জুটবে না। কে জানে? সেকুলার ইতররা আর সহ্যই করতে পারছে না ইসলামের এই প্রসার। চাইছে মুছে দেবে আল্লাহর বাণী আর মুসলিমদের হৃদয়ের ভালোবাসাকে। তাই কি হয়? দ্বীনের আলো কি আর কেউ ফুঁ দিয়ে নিভাতে পারবে? এই বিশ্বজগতের যিনি স্রষ্টা, তিনি তো স্পষ্ট বলেই দিয়েছেন, তা কখনো সম্ভব নয়। এই আলো তার, একান্তই তার। 'নূরুন আলা নুর' নিয়ে অনুভূতিগুলো বোধকরি বলা হয়নি তোমাকে...
রাত্রির প্রথম প্রহর
১৩ আগস্ট, ২০১৩
অসাধারণ লিখেছেন,ভাই....একটু আশা,একটু কল্পনা,একটু ইনডিরেক্ট ক্ষোভের "অকবিতাময় (according to your expression) " প্রকাশ...স্রেফ অসাধারণ...
উত্তরমুছুন