হঠাৎ বাঁধভাঙ্গা পানির স্রোতের মতন শব্দগুলো যেন
বুকের ভেতর থেকে প্রচন্ড বেগে বেরিয়ে আসতে চাইছে।
ভোরের সূর্যের অস্ফূট আলোয় ভিজে যাওয়া ঢাকা শহরে
দালান-কোঠাগুলোর সারিতে এক ক্ষুদ্র কোণের গুমোট কক্ষে
আঙ্গুল চেপে গণনাযন্ত্রের পাতায় লিখছি একেকটি অক্ষর।
কোন বিশেষ কিছু বলতে নয়, স্রেফ হালকা হতে, নির্ভার হতে।
এই যে এই সময় চলে গেলো, তা আর কখনো ফিরে আসবে না।
আমার এই শব্দ, এই অনুভূতি, এই আবেগগুলো আর হুবহু রবে না।
বালুঘড়ি দেখেছিলাম, ঝরঝর করে ঝরার সময় কেমন অস্থির লাগত।
এইতো শেষ হয়ে গেলো, কে উলটে দেবে এরপর? শেষ দেখার এক তাড়না।
অথচ এই সময় আমার, এটাও শেষ হয়ে যাবে। জীবনটা বালুঘড়ির মতন
ঝরছে দ্রুতবেগে যেটুকু বাকি আছে। ঝরে নিঃশেষ হবো, মানুষ তো আমি!
যেখানে আমার শেষ, সেখানেই তাঁর শুরু। আমার সবটুকুই তার দয়া।
আমার চিন্তারা যেখানে অসহায়, দৃষ্টি যেখানে আটকে যায়, অজানাকে ভয়।
সেখানে তাকে খুঁজে পাই। ভালোবাসায় আশ্বস্ত করেন। জানিয়ে দেন পারব না।
এই না পারাতে নেই অসহায়তা, এই না পারাতেই মর্যাদা এই জন্মের।
যেন ফিরে ফিরে যাই তার কাছে। স্রষ্টা আর সৃষ্টির ব্যবধানকে উপলব্ধি করতে।
কেউ বলে কাহহার, তা সত্যি। আমি বুঝি রাহমান, বুঝি গাফুরুল ওয়াদুদ।
আমার হৃদয়ের এই শূণ্যতা, এই অনুভূতির এলোমেলো ঢেউগুলো, পবিত্র স্বপ্ন
আমার প্রতিটি নিঃশ্বাসের অস্থির আর্তিগুলো, চোখের অশ্রু, ভালোবাসা,
আমার অসহায় প্রতিটি ক্ষণ, আর অনুভূতিগুলোর সবই তো মানবের অপাঠ্য।
বাধ্য হয়ে আশ্লেষে, অশ্রুসিক্ত হয়ে ফিরে যাই তার কাছেই; যিনি রাহমান।
স্বপ্ন কারখানা
০৪ আগস্ট, ২০১৩
বুকের ভেতর থেকে প্রচন্ড বেগে বেরিয়ে আসতে চাইছে।
ভোরের সূর্যের অস্ফূট আলোয় ভিজে যাওয়া ঢাকা শহরে
দালান-কোঠাগুলোর সারিতে এক ক্ষুদ্র কোণের গুমোট কক্ষে
আঙ্গুল চেপে গণনাযন্ত্রের পাতায় লিখছি একেকটি অক্ষর।
কোন বিশেষ কিছু বলতে নয়, স্রেফ হালকা হতে, নির্ভার হতে।
এই যে এই সময় চলে গেলো, তা আর কখনো ফিরে আসবে না।
আমার এই শব্দ, এই অনুভূতি, এই আবেগগুলো আর হুবহু রবে না।
বালুঘড়ি দেখেছিলাম, ঝরঝর করে ঝরার সময় কেমন অস্থির লাগত।
এইতো শেষ হয়ে গেলো, কে উলটে দেবে এরপর? শেষ দেখার এক তাড়না।
অথচ এই সময় আমার, এটাও শেষ হয়ে যাবে। জীবনটা বালুঘড়ির মতন
ঝরছে দ্রুতবেগে যেটুকু বাকি আছে। ঝরে নিঃশেষ হবো, মানুষ তো আমি!
যেখানে আমার শেষ, সেখানেই তাঁর শুরু। আমার সবটুকুই তার দয়া।
আমার চিন্তারা যেখানে অসহায়, দৃষ্টি যেখানে আটকে যায়, অজানাকে ভয়।
সেখানে তাকে খুঁজে পাই। ভালোবাসায় আশ্বস্ত করেন। জানিয়ে দেন পারব না।
এই না পারাতে নেই অসহায়তা, এই না পারাতেই মর্যাদা এই জন্মের।
যেন ফিরে ফিরে যাই তার কাছে। স্রষ্টা আর সৃষ্টির ব্যবধানকে উপলব্ধি করতে।
কেউ বলে কাহহার, তা সত্যি। আমি বুঝি রাহমান, বুঝি গাফুরুল ওয়াদুদ।
আমার হৃদয়ের এই শূণ্যতা, এই অনুভূতির এলোমেলো ঢেউগুলো, পবিত্র স্বপ্ন
আমার প্রতিটি নিঃশ্বাসের অস্থির আর্তিগুলো, চোখের অশ্রু, ভালোবাসা,
আমার অসহায় প্রতিটি ক্ষণ, আর অনুভূতিগুলোর সবই তো মানবের অপাঠ্য।
বাধ্য হয়ে আশ্লেষে, অশ্রুসিক্ত হয়ে ফিরে যাই তার কাছেই; যিনি রাহমান।
স্বপ্ন কারখানা
০৪ আগস্ট, ২০১৩
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মূল্যবান মতামত জানিয়ে যান লেখককে