ফেসবুক একসময় এমন ছিলো না, জ্ঞানের প্রতিযোগিতা, সৌন্দর্যের প্রতিযোগিতা, দাম্পত্য জীবনের সুখ প্রদর্শনের প্রতিযোগিতা, ক্ষমতার দাপট দেখানোর প্রতিযোগিতা, নিজের ব্যক্তিগত-পারিবারিক-রাজনৈতিক-সামাজিক সবকিছুই ফিল্টারবিহীনভাবে প্রকাশ করা এবং যাবতীয় ইগো প্রকাশের উন্নত এবং ঝামেলাহীন ড্রেইনেজ সিস্টেম এই ফেসবুক। ইগোকে প্রশ্রয় দান করলে তা সেই ব্যক্তিকেই খুবলে খুবলে খায়, সে আরো বন্দী হয়ে যায় নিজের নফসের কাছে। বাস্তব জগতের কারাগারে বন্দী থাকলে সেই শিক দেখা যায়, কিন্তু নিজের নফসের কাছে, হিংসা-পরশ্রীকাতরতা-ক্রোধ-অহংকার-দম্ভ আমাদেরকে যেই শিকের আড়ালে বন্দী করে রাখে তা চোখে দেখা যায় না, তা অদৃশ্যমান। কিন্তু সেগুলো বড়ই ভয়ঙ্কর। ফেসবুকের উসিলায় আমাদের এই ভয়াবহ কারাগারে বন্দী হওয়াটা সহজ থেকে সহজতর হয়ে গেছে।
আসলে নিজেকে মুক্ত করার এই প্রক্রিয়া নিজেদের ভিতর থেকেই আসে, নিজেকে খেয়াল করতে হয় গভীর করে, আগ্রহভরে। আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হয়, আল্লাহ ছাড়া কেউ সাহায্য করার নেই, তিনি যাকে ইচ্ছা তাকেই দান করেন। আল্লাহ আমাদের জন্য কঠিন জিনিসও সহজ করে দিতে পারেন, সহজ জিনিসও কঠিন করে দিতে পারেন। আল্লাহ আমাদের জন্য কোন কিছু সহজ করে না দিলে তা কখনো সহজ হয় না। বান্দা চাইলে আল্লাহ তাকে অবশ্যই দান করেন, এই চাওয়া আমাদের ভিতর থেকে আর্তি হয়ে আসা প্রয়োজন। আল্লাহ আমাদের মুসলিম ভাই ও বোনদেরকে ক্ষমা করুন, পরিচালিত সরল ও সঠিক পথে।
প্রখ্যাত তাবিঈ ইমাম আল-হাসান আল-বাসরি (রাহিমাহুল্লাহ) খুব সুন্দর একটা কথা বলেছিলেনঃ
"বুদ্ধিমান ব্যক্তির জিহবা তার হৃদয়ের পেছনে থাকেঃ সে যখন কথা বলতে চায়, প্রথমে সে চিন্তা করে। যদি শব্দগুলো তার জন্য কল্যাণকর হয় তাহলে সে তা বলে। আর যদি কথাগুলো তার জন্য অকল্যাণকর হয় তাহলে সে চুপ থাকে।
একজন মূর্খ ব্যক্তির জিহবা তার হৃদয়ের সামনে থাকেঃ সে কথা বলার সময় খুব কমই চিন্তা করে এবং তার জন্য কল্যাণকর বা অকল্যাণকর যা-ই হোক সে বলে ফেলে।"
আমাদের প্রকৃত কল্যাণ ও অকল্যাণ নিয়ে হিসেব করা উচিত আখিরাতের কথা চিন্তা করে। এটা নিশ্চিত, বিষয়টা সহজ না এবং আমাদের জন্য চিন্তা করা ও কাজ করা সচরাচর বেশ কঠিন হয়ে যায়। কিন্তু যেই আখিরাত সত্য এবং সেখানকার কল্যাণ ও অকল্যাণও সত্য -- তার জন্য একটুখানি প্রচেষ্টা যদি করি আজকে, আল্লাহ আমাদের রাহমাত দান করবেন এবং আমরা ধীরে ধীরে নিজেদের উন্নত করতে পারব। কোন দীর্ঘযাত্রার প্রথম পদক্ষেপটাই না নিলে কেউ কখনোই কোথাও পোঁছাতে পারতাম না। এই শুরু করাটাই আসল, 'বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম' বলে আমাদের এই যাত্রাটি শুরু হয়ে যাক আজই, এক্ষুনি! ইনশা আল্লাহ...
* quote collected from the page of Imam Omar Suleiman
[২৮ জুন, ২০১৩]
আসলে নিজেকে মুক্ত করার এই প্রক্রিয়া নিজেদের ভিতর থেকেই আসে, নিজেকে খেয়াল করতে হয় গভীর করে, আগ্রহভরে। আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হয়, আল্লাহ ছাড়া কেউ সাহায্য করার নেই, তিনি যাকে ইচ্ছা তাকেই দান করেন। আল্লাহ আমাদের জন্য কঠিন জিনিসও সহজ করে দিতে পারেন, সহজ জিনিসও কঠিন করে দিতে পারেন। আল্লাহ আমাদের জন্য কোন কিছু সহজ করে না দিলে তা কখনো সহজ হয় না। বান্দা চাইলে আল্লাহ তাকে অবশ্যই দান করেন, এই চাওয়া আমাদের ভিতর থেকে আর্তি হয়ে আসা প্রয়োজন। আল্লাহ আমাদের মুসলিম ভাই ও বোনদেরকে ক্ষমা করুন, পরিচালিত সরল ও সঠিক পথে।
প্রখ্যাত তাবিঈ ইমাম আল-হাসান আল-বাসরি (রাহিমাহুল্লাহ) খুব সুন্দর একটা কথা বলেছিলেনঃ
"বুদ্ধিমান ব্যক্তির জিহবা তার হৃদয়ের পেছনে থাকেঃ সে যখন কথা বলতে চায়, প্রথমে সে চিন্তা করে। যদি শব্দগুলো তার জন্য কল্যাণকর হয় তাহলে সে তা বলে। আর যদি কথাগুলো তার জন্য অকল্যাণকর হয় তাহলে সে চুপ থাকে।
একজন মূর্খ ব্যক্তির জিহবা তার হৃদয়ের সামনে থাকেঃ সে কথা বলার সময় খুব কমই চিন্তা করে এবং তার জন্য কল্যাণকর বা অকল্যাণকর যা-ই হোক সে বলে ফেলে।"
আমাদের প্রকৃত কল্যাণ ও অকল্যাণ নিয়ে হিসেব করা উচিত আখিরাতের কথা চিন্তা করে। এটা নিশ্চিত, বিষয়টা সহজ না এবং আমাদের জন্য চিন্তা করা ও কাজ করা সচরাচর বেশ কঠিন হয়ে যায়। কিন্তু যেই আখিরাত সত্য এবং সেখানকার কল্যাণ ও অকল্যাণও সত্য -- তার জন্য একটুখানি প্রচেষ্টা যদি করি আজকে, আল্লাহ আমাদের রাহমাত দান করবেন এবং আমরা ধীরে ধীরে নিজেদের উন্নত করতে পারব। কোন দীর্ঘযাত্রার প্রথম পদক্ষেপটাই না নিলে কেউ কখনোই কোথাও পোঁছাতে পারতাম না। এই শুরু করাটাই আসল, 'বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম' বলে আমাদের এই যাত্রাটি শুরু হয়ে যাক আজই, এক্ষুনি! ইনশা আল্লাহ...
* quote collected from the page of Imam Omar Suleiman
[২৮ জুন, ২০১৩]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মূল্যবান মতামত জানিয়ে যান লেখককে