আমার প্রথম ফেসবুক একাউন্ট যদি হিসেব করি, আমি তখন থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর ধরে একটানা ফেসবুকে ছিলাম/আছি। জীবনের কেন্দ্রে যেদিন থেকে সজ্ঞানে আল্লাহকে আনতে চেয়েছি, তখন থেকে ফেসবুকিং জিনিসটাতেও ভিন্নতা এসেছিলো, আসাই স্বাভাবিক। আমি শতাধিক মানুষকে চিনি যারা এমন করেই বদলেছেন।
ইদানিং আমার মনে হয় আমি সবচাইতে বেশি যে বিষয়টাতে ক্ষতিগ্রস্ত তা হলো -- 'ডিসেনসিটাইজেশন'... নাহ, আমি কোন নেগেটিভ বিষয়ে অনুভূতিহীন হয়ে যাবার কথা বলছি না। বলছি ভালো কথাতেই অবশ হয়ে যাওয়া।
আমার পরিষ্কার মনে আছে, জীবনে আমার অনেক বড় বড় কিছু অ্যাকাডেমিক অ্যাচিভমেন্ট ছিলো, যার মূলে কখনই মূল টেক্সট বইয়ের বাইরে গাইড বইয়ের ১% অবদান ছিলো না। আল্লাহ আমাকে একটা যোগ্যতা দিয়েছিলেন, তা হলো, বইয়ের লাইনগুলো পড়ে বুঝে ফেলতে পারা। সামর্থ্যটুকু নিংড়ে নিয়ে পড়তাম গভীর মন দিয়ে, আত্মা দিয়ে। অর্জন আলহামদুলিল্লাহ সেরাটাই হতো। ফেসবুকে এসে একটা সময় শত-শত লাইনের অনেক ভালো কথা শুনে পড়ে, স্মরণিকা দেখেও খুব কমই বুকে আঁচড় কাটে। আর খারাপ ভালো এত রকমের এত বেশি তথ্য দেখা হয়ে যায়, এত অপ্রয়োজনীয় জিনিসেও সময় দেয়া হয়ে যায় যে মেসেজ নিয়ে তার উপরে কাজ করার আর্তিটুকু কমে যায়।
আরেকটা ভয়াবহ ব্যাপার হলো, এই অবাস্তব জগতে কখনই আমাদের প্রকৃত রূপ দেখা যায় না। আমাদের নিজেদেরকে উপস্থাপন যদিও আমাদের সুন্দর করেই করা উচিত, কিন্তু অনেক সময় মানুষের কাছে ভিন্ন রকম ব্যবহার পেতে পেতে আমরা নিজেদেরকেও ভিন্ন মনে করতে শুরু করতে পারি। এই বিভ্রম মারাত্মক ভয়ংকর। ইসলাম সঠিকভাবে না বুঝে তা নিয়ে মন্তব্য করার মতন সাংঘাতিক ভয়ংকর একটা গুণ ইন্টারনেট জগতে হাজার হাজার মানুষ অর্জন করেছি। যারা আখিরাতকে উপলব্ধি করতে পারেনা তাদের কথা বাদ থাক, কিন্তু যারা আল্লাহর বিচার দিনকে ভয় করি বলে বিশ্বাস করি, জান্নাতের আকাঙ্খা করি, তাদের সাবধান থাকা উচিত। না বুঝে, না জেনে কখনই ভুল কথা বলা উচিত নয়। আল্লাহ আমাদেরকে সরল সঠিক পথে পরিচালিত করুন, আমাদেরকে ক্ষমা করুন, আমাদের জীবনকে কবুল করে নিন।
[২৫ জুন, ২০১৩]
ইদানিং আমার মনে হয় আমি সবচাইতে বেশি যে বিষয়টাতে ক্ষতিগ্রস্ত তা হলো -- 'ডিসেনসিটাইজেশন'... নাহ, আমি কোন নেগেটিভ বিষয়ে অনুভূতিহীন হয়ে যাবার কথা বলছি না। বলছি ভালো কথাতেই অবশ হয়ে যাওয়া।
আমার পরিষ্কার মনে আছে, জীবনে আমার অনেক বড় বড় কিছু অ্যাকাডেমিক অ্যাচিভমেন্ট ছিলো, যার মূলে কখনই মূল টেক্সট বইয়ের বাইরে গাইড বইয়ের ১% অবদান ছিলো না। আল্লাহ আমাকে একটা যোগ্যতা দিয়েছিলেন, তা হলো, বইয়ের লাইনগুলো পড়ে বুঝে ফেলতে পারা। সামর্থ্যটুকু নিংড়ে নিয়ে পড়তাম গভীর মন দিয়ে, আত্মা দিয়ে। অর্জন আলহামদুলিল্লাহ সেরাটাই হতো। ফেসবুকে এসে একটা সময় শত-শত লাইনের অনেক ভালো কথা শুনে পড়ে, স্মরণিকা দেখেও খুব কমই বুকে আঁচড় কাটে। আর খারাপ ভালো এত রকমের এত বেশি তথ্য দেখা হয়ে যায়, এত অপ্রয়োজনীয় জিনিসেও সময় দেয়া হয়ে যায় যে মেসেজ নিয়ে তার উপরে কাজ করার আর্তিটুকু কমে যায়।
আরেকটা ভয়াবহ ব্যাপার হলো, এই অবাস্তব জগতে কখনই আমাদের প্রকৃত রূপ দেখা যায় না। আমাদের নিজেদেরকে উপস্থাপন যদিও আমাদের সুন্দর করেই করা উচিত, কিন্তু অনেক সময় মানুষের কাছে ভিন্ন রকম ব্যবহার পেতে পেতে আমরা নিজেদেরকেও ভিন্ন মনে করতে শুরু করতে পারি। এই বিভ্রম মারাত্মক ভয়ংকর। ইসলাম সঠিকভাবে না বুঝে তা নিয়ে মন্তব্য করার মতন সাংঘাতিক ভয়ংকর একটা গুণ ইন্টারনেট জগতে হাজার হাজার মানুষ অর্জন করেছি। যারা আখিরাতকে উপলব্ধি করতে পারেনা তাদের কথা বাদ থাক, কিন্তু যারা আল্লাহর বিচার দিনকে ভয় করি বলে বিশ্বাস করি, জান্নাতের আকাঙ্খা করি, তাদের সাবধান থাকা উচিত। না বুঝে, না জেনে কখনই ভুল কথা বলা উচিত নয়। আল্লাহ আমাদেরকে সরল সঠিক পথে পরিচালিত করুন, আমাদেরকে ক্ষমা করুন, আমাদের জীবনকে কবুল করে নিন।
[২৫ জুন, ২০১৩]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মূল্যবান মতামত জানিয়ে যান লেখককে