বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা, যিনি এই বিশ্বজগতের অধিপতি, তিনি জানেন সমস্ত মানুষের অন্তর। আমি একজন ক্ষুদ্র মানুষ। দুইটা চোখ আর একটা মাথা ছাড়া এই মূহুর্তে তেমন কোন উল্লেখযোগ্য ক্ষমতা নেই, তাও কেবল আল্লাহ তা দান করেছেন বলেই আছে। প্রিয় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কটাক্ষ করে একটা মুভি বানানোর দুঃসাহস দেখানোর পরে পর তার যেই দিশেহারা বহির্প্রকাশ মুসলিমদের কাছ থেকে -- তা হয়ত ইহুদী-খ্রিষ্টানদের যারা এই ষড়যন্ত্রে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মদদ দিয়েছে, তাদের জানা ছিলো পুরোপুরি। লিবিয়ার পথে রণতরী রওনা হয়েছে পড়েছি পত্রিকায়। যে বা যারা আগুন জ্বালিয়ে হত্যাকান্ড চালিয়েছে, তারাই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলার দরবারে ভালো জবাব দিতে পারবে -- তবে এতটুকু বুঝি, যারা মারা গেছে, তারা যদি নবীজীর (সা) নামে কুৎসা রটনার কাছে জড়িত থেকে না থাকে -- তাদের বিচার আল্লাহই জানেন, হত্যাকারীদের বিচার সহজ হবার কথা না। যেই প্রবল শক্তিশালী উন্মত্ত আগুণ জ্বলতে দেখলাম, তার কতটা বাস্তব, কতটা শো-অফ, সেটাও আল্লাহই ভালো জানেন।
আমি নাদান জ্ঞান ও ঈমানের একজন মুসলিম, আমার চোখে অন্য অনেক কিছু ভাসে। আমার নবীজীকে যারা এত ভালোবাসে, তাদের জীবনে সুন্নাহের উপস্থিতি এত কম কেন? নামাযে তাদের প্রথম কাতারে ক'বার দেখা যায় ৫ ওয়াক্তে? তাদের মুখে গালাগালি দিয়ে ক্রোধের প্রকাশ কেন। সমাজে দ্বীন প্রতিষ্ঠায় তাদের অবদান কতখানি? আল্লাহই ভালো জানেন, আমি কিছুই জানিনা। নবীজীর প্রতি ভালোবাসা পড়লাম আবদুল্লাহ বিন উমার (রা) এর জীবনে। যিনি প্রতিটি কাজ করতেন নবীজীকে ভালোবেসে, সেটা এতটাই বেশি ছিল যে উনি নিজ থেকে কোন কাজ করলে বরং সবাইকে জানিয়ে দিতেন যে এটা নবীজী করতেন না, এটা আমি নিজে করছি। আমাদের রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ভালোবাসা তো হতে পারত যদি আমি আমার পথে কাঁটা বিছানো মানুষকে একদিন কাঁটা দিতে না দেখে খোঁজ নিতে যেতাম, আমার ভালোবাসা হত যদি আমি সবসময় সাদামাটা জীবন যাপনের চেষ্টা করতাম। বিধর্মী আর ইসলামের শত্রু -- এই দুইটা শব্দ আমার ছোট্টো জ্ঞানের কাছে অনেক বড় বলে মনে হয়েছে আজীবন। তায়েফে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানুষের অত্যাচারে ক্ষতবিক্ষত হয়েছিলেন, তিনি তবু ক্ষমা করেছেন। বলেছিলেন হয়ত এদের সন্তানসন্ততিরা আল্লাহকে ডাকবে। মার্কিন মানেই মুসলিমদের শত্রু -- এমন কেন হবে? হয়ত সেই মানূষটার কাছে দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছেনি।
"বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী দয়ালু।" [সুরা আল ইমরানঃ ৩১]
প্রিয় নবীর ভালোবাসার প্রকাশ হওয়া উচিত প্রতিদিনের প্রতিটি স্পন্দনে। যাকে ভালোবাসি, তার মতনই হতে চাই আমরা। কুরআন পড়িনি, হাদিস জানিনা কিছুই, রাসূলের সীরাহ জানিনা, সাহাবাদের জীবন জানিনা -- সেই আমার উচিত অনেক বেশি বিনয়ী হওয়া, নম্র হওয়া, নেতার আনুগত্য করে চলা যারা জ্ঞান রাখেন, যারা জানেন সত্য-মিথ্যার প্রভেদ, যিনি নিশ্চিত সিদ্ধান্ত নিবেন আবেগ থেকে নয় বরং জ্ঞান থেকে। ফিতনা-ফাসাদ সৃষ্টি করা খুব খারাপ।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে সিরাতাল মুস্তাকিমে চলার তাওফিক দিন। আমাদের অন্তরকে দ্বীনের দিকে ঘুরিয়ে দিন, আমাদেরকে শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দিন। আল্লাহ আমাদের রাসূলের (সা) জীবনকে এমনভাবে অনুকরণ করার তাওফিক দিন, যেন আখিরাতে আমরা তার শাফায়াত লাভ করি, হাউজে কাউসারের সামনে তিনি যেন আমাদেরকে স্বাগত জানান। আমাদের মৃত্যু যেন হয় ঈমানের সাথে। আমরা যেন কাফির সম্প্রদায়ের উপর জয়ী থাকতে পারি, দুনিয়াতে দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি -- শান্তি স্থাপন করতে পারি মাশরেক থেকে মাগরেব পর্যন্ত।
মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা, যিনি এই বিশ্বজগতের অধিপতি, তিনি জানেন সমস্ত মানুষের অন্তর। আমি একজন ক্ষুদ্র মানুষ। দুইটা চোখ আর একটা মাথা ছাড়া এই মূহুর্তে তেমন কোন উল্লেখযোগ্য ক্ষমতা নেই, তাও কেবল আল্লাহ তা দান করেছেন বলেই আছে। প্রিয় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কটাক্ষ করে একটা মুভি বানানোর দুঃসাহস দেখানোর পরে পর তার যেই দিশেহারা বহির্প্রকাশ মুসলিমদের কাছ থেকে -- তা হয়ত ইহুদী-খ্রিষ্টানদের যারা এই ষড়যন্ত্রে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মদদ দিয়েছে, তাদের জানা ছিলো পুরোপুরি। লিবিয়ার পথে রণতরী রওনা হয়েছে পড়েছি পত্রিকায়। যে বা যারা আগুন জ্বালিয়ে হত্যাকান্ড চালিয়েছে, তারাই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলার দরবারে ভালো জবাব দিতে পারবে -- তবে এতটুকু বুঝি, যারা মারা গেছে, তারা যদি নবীজীর (সা) নামে কুৎসা রটনার কাছে জড়িত থেকে না থাকে -- তাদের বিচার আল্লাহই জানেন, হত্যাকারীদের বিচার সহজ হবার কথা না। যেই প্রবল শক্তিশালী উন্মত্ত আগুণ জ্বলতে দেখলাম, তার কতটা বাস্তব, কতটা শো-অফ, সেটাও আল্লাহই ভালো জানেন।
আমি নাদান জ্ঞান ও ঈমানের একজন মুসলিম, আমার চোখে অন্য অনেক কিছু ভাসে। আমার নবীজীকে যারা এত ভালোবাসে, তাদের জীবনে সুন্নাহের উপস্থিতি এত কম কেন? নামাযে তাদের প্রথম কাতারে ক'বার দেখা যায় ৫ ওয়াক্তে? তাদের মুখে গালাগালি দিয়ে ক্রোধের প্রকাশ কেন। সমাজে দ্বীন প্রতিষ্ঠায় তাদের অবদান কতখানি? আল্লাহই ভালো জানেন, আমি কিছুই জানিনা। নবীজীর প্রতি ভালোবাসা পড়লাম আবদুল্লাহ বিন উমার (রা) এর জীবনে। যিনি প্রতিটি কাজ করতেন নবীজীকে ভালোবেসে, সেটা এতটাই বেশি ছিল যে উনি নিজ থেকে কোন কাজ করলে বরং সবাইকে জানিয়ে দিতেন যে এটা নবীজী করতেন না, এটা আমি নিজে করছি। আমাদের রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ভালোবাসা তো হতে পারত যদি আমি আমার পথে কাঁটা বিছানো মানুষকে একদিন কাঁটা দিতে না দেখে খোঁজ নিতে যেতাম, আমার ভালোবাসা হত যদি আমি সবসময় সাদামাটা জীবন যাপনের চেষ্টা করতাম। বিধর্মী আর ইসলামের শত্রু -- এই দুইটা শব্দ আমার ছোট্টো জ্ঞানের কাছে অনেক বড় বলে মনে হয়েছে আজীবন। তায়েফে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানুষের অত্যাচারে ক্ষতবিক্ষত হয়েছিলেন, তিনি তবু ক্ষমা করেছেন। বলেছিলেন হয়ত এদের সন্তানসন্ততিরা আল্লাহকে ডাকবে। মার্কিন মানেই মুসলিমদের শত্রু -- এমন কেন হবে? হয়ত সেই মানূষটার কাছে দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছেনি।
"বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী দয়ালু।" [সুরা আল ইমরানঃ ৩১]
প্রিয় নবীর ভালোবাসার প্রকাশ হওয়া উচিত প্রতিদিনের প্রতিটি স্পন্দনে। যাকে ভালোবাসি, তার মতনই হতে চাই আমরা। কুরআন পড়িনি, হাদিস জানিনা কিছুই, রাসূলের সীরাহ জানিনা, সাহাবাদের জীবন জানিনা -- সেই আমার উচিত অনেক বেশি বিনয়ী হওয়া, নম্র হওয়া, নেতার আনুগত্য করে চলা যারা জ্ঞান রাখেন, যারা জানেন সত্য-মিথ্যার প্রভেদ, যিনি নিশ্চিত সিদ্ধান্ত নিবেন আবেগ থেকে নয় বরং জ্ঞান থেকে। ফিতনা-ফাসাদ সৃষ্টি করা খুব খারাপ।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে সিরাতাল মুস্তাকিমে চলার তাওফিক দিন। আমাদের অন্তরকে দ্বীনের দিকে ঘুরিয়ে দিন, আমাদেরকে শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দিন। আল্লাহ আমাদের রাসূলের (সা) জীবনকে এমনভাবে অনুকরণ করার তাওফিক দিন, যেন আখিরাতে আমরা তার শাফায়াত লাভ করি, হাউজে কাউসারের সামনে তিনি যেন আমাদেরকে স্বাগত জানান। আমাদের মৃত্যু যেন হয় ঈমানের সাথে। আমরা যেন কাফির সম্প্রদায়ের উপর জয়ী থাকতে পারি, দুনিয়াতে দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি -- শান্তি স্থাপন করতে পারি মাশরেক থেকে মাগরেব পর্যন্ত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মূল্যবান মতামত জানিয়ে যান লেখককে