জানি একদিন চলে যাবো।
এই সকালের ঘাসগুলো আর আমার পায়ের স্পর্শ পাবেনা।
জানি সেদিন ঝরে যাওয়া পাতাদের আর কেউ মাড়িয়ে ঝুরঝুর করে দেবেনা।
জানি আটকে পড়া চড়ুইটাকে আর আমার মতন করে কেউ জানালা দিয়ে বের করে দেবেনা।
এই আমার আর পথ চলতে চলতে থেমে যাওয়া ঠেলাগাড়িটাকে ঠেলে দেয়া হবেনা।
সেদিন যেমন মায়ের কপালে হাত বুলিয়ে দিচ্ছিলাম তখন মনে হচ্ছিলো-- কতদিন আমার মামণিকে এভাবে পাবো জানিনা! এই মায়ের কোলে কোলেই বড় হয়েছি কতগুলো বছর! এই ছোট শরীরটার উপর কতনা পরিশ্রম বাড়িয়েছি সেই ছোট্টবেলায়। মামনির কত রাত যে ঘুম হয়নি আমার জন্য তা তো গুণেও হয়ত শেষ করা যাবেনা!
আজ আদরের ছোট বোনটার সাথে অভিমান করে কথা বলছি না দুপুর থেকে, হয়ত সে এখনো বুঝেনি আমাকে ফেলে রেখে বাসায় চলে এলো বলে এতটা পথ হেঁটে ফিরেছি নিজেকে কষ্ট দিতেই। তবু ওর উপর রাগ করবো না, ভালোবাসা একটুও কমবে না। কালই হয়ত ও চাইবে বলে সন্ধ্যাবেলায় বাইরে ছুটে যাবো সিংগাড়া নিয়ে আসতে।
কারণ, মাঝে মাঝেই মনে হয়-- একদিন হয়ত চাইলেও আর এত কাছে পাবো না, এভাবে করে ভালোবাসতে পারবো না।
মাঝে মাঝে অনেকের উপর অনেক রাগ হয়। অনেক মানুষের উপর! কেন তারা এত কষ্ট দিতে পারে অন্যদেরকে? প্রতিহিংসার আগুনে জ্বলি না। খানিকক্ষণ নিজেকে বুঝাই, রাগ অন্যায়ের জন্ম দেয়...
এই যালিম মানুষদের বেশিরভাগের জন্যই করুণা হয়-- হায়! যদি তোমরাও একটু অনুধাবন করার ক্ষমতা হতো-- এই ছন্নছাড়া অল্প ক'দিনের বেড়াতে আসাটা খুব দম্ভের কিছু নয়।
ইদানিং কারো উপর রাগ করিনা, আক্রোশ দেখাই না। হয়ত কিছুদিন পরেই চলে যাবো একদম সবাইকে ছেড়ে-- এই মাঠ-ঘাট-প্রান্তর আর প্রিয়জনদের ছেড়ে।
সকালের স্নিগ্ধ আলোর পরশ হয়ত সেদিন চলে যাওয়া অনেকের মতন আমিও পাবো না।
রাতের এই জোছনার আলোতে পথে আমার ছায়াটাকে আলাদা করে দেখতে পাবো না। ছায়ার মাথাটাকে পা দিয়ে চেপে দেয়ার চেষ্টা করতে করতে বাসার গেটে চলে আসা হবেনা।
একদিন হয়ত চাইলেও কিছুই বলতে পারবো না, শুধু অনুভব করে যাবো। হয়ত সেদিন সব বুঝেও না বলতে পারার আক্ষেপে যন্ত্রণাদগ্ধ হবো।
অথবা হয়ত একদিন কেবলি ভালোবাসা পাবো। যে ভালোবাসা পেলে আর কিছু লাগেনা! আনন্দে আর স্মিত হাসিতে কেটে যাবে অনন্তকাল।
একদিন......... কতদূরেই না চলে যাবো!!
(পুনশ্চঃ এটা কবিতা নয়, কেবলি স্রোতের মতন করে ভাবনাদের বয়ে যাওয়া)
--------------------------
১৮ ডিসেম্বর ২০১০, রাত ১০:০৭
এই সকালের ঘাসগুলো আর আমার পায়ের স্পর্শ পাবেনা।
জানি সেদিন ঝরে যাওয়া পাতাদের আর কেউ মাড়িয়ে ঝুরঝুর করে দেবেনা।
জানি আটকে পড়া চড়ুইটাকে আর আমার মতন করে কেউ জানালা দিয়ে বের করে দেবেনা।
এই আমার আর পথ চলতে চলতে থেমে যাওয়া ঠেলাগাড়িটাকে ঠেলে দেয়া হবেনা।
সেদিন যেমন মায়ের কপালে হাত বুলিয়ে দিচ্ছিলাম তখন মনে হচ্ছিলো-- কতদিন আমার মামণিকে এভাবে পাবো জানিনা! এই মায়ের কোলে কোলেই বড় হয়েছি কতগুলো বছর! এই ছোট শরীরটার উপর কতনা পরিশ্রম বাড়িয়েছি সেই ছোট্টবেলায়। মামনির কত রাত যে ঘুম হয়নি আমার জন্য তা তো গুণেও হয়ত শেষ করা যাবেনা!
আজ আদরের ছোট বোনটার সাথে অভিমান করে কথা বলছি না দুপুর থেকে, হয়ত সে এখনো বুঝেনি আমাকে ফেলে রেখে বাসায় চলে এলো বলে এতটা পথ হেঁটে ফিরেছি নিজেকে কষ্ট দিতেই। তবু ওর উপর রাগ করবো না, ভালোবাসা একটুও কমবে না। কালই হয়ত ও চাইবে বলে সন্ধ্যাবেলায় বাইরে ছুটে যাবো সিংগাড়া নিয়ে আসতে।
কারণ, মাঝে মাঝেই মনে হয়-- একদিন হয়ত চাইলেও আর এত কাছে পাবো না, এভাবে করে ভালোবাসতে পারবো না।
মাঝে মাঝে অনেকের উপর অনেক রাগ হয়। অনেক মানুষের উপর! কেন তারা এত কষ্ট দিতে পারে অন্যদেরকে? প্রতিহিংসার আগুনে জ্বলি না। খানিকক্ষণ নিজেকে বুঝাই, রাগ অন্যায়ের জন্ম দেয়...
এই যালিম মানুষদের বেশিরভাগের জন্যই করুণা হয়-- হায়! যদি তোমরাও একটু অনুধাবন করার ক্ষমতা হতো-- এই ছন্নছাড়া অল্প ক'দিনের বেড়াতে আসাটা খুব দম্ভের কিছু নয়।
ইদানিং কারো উপর রাগ করিনা, আক্রোশ দেখাই না। হয়ত কিছুদিন পরেই চলে যাবো একদম সবাইকে ছেড়ে-- এই মাঠ-ঘাট-প্রান্তর আর প্রিয়জনদের ছেড়ে।
সকালের স্নিগ্ধ আলোর পরশ হয়ত সেদিন চলে যাওয়া অনেকের মতন আমিও পাবো না।
রাতের এই জোছনার আলোতে পথে আমার ছায়াটাকে আলাদা করে দেখতে পাবো না। ছায়ার মাথাটাকে পা দিয়ে চেপে দেয়ার চেষ্টা করতে করতে বাসার গেটে চলে আসা হবেনা।
একদিন হয়ত চাইলেও কিছুই বলতে পারবো না, শুধু অনুভব করে যাবো। হয়ত সেদিন সব বুঝেও না বলতে পারার আক্ষেপে যন্ত্রণাদগ্ধ হবো।
অথবা হয়ত একদিন কেবলি ভালোবাসা পাবো। যে ভালোবাসা পেলে আর কিছু লাগেনা! আনন্দে আর স্মিত হাসিতে কেটে যাবে অনন্তকাল।
একদিন......... কতদূরেই না চলে যাবো!!
(পুনশ্চঃ এটা কবিতা নয়, কেবলি স্রোতের মতন করে ভাবনাদের বয়ে যাওয়া)
--------------------------
১৮ ডিসেম্বর ২০১০, রাত ১০:০৭