জীবনে কত রকম কষ্টই না হয়! কিছু কিছু কষ্টকে আত্মাছেঁড়া কষ্ট বলা যায়। বুক জ্বলে যায় এমন কষ্টও তো হয়। আসলে, এমন অনুভূতি প্রতিটা মানুষের জীবনেই আছে। সেটা পরিশ্রমের ফল না পাওয়ায় হতে পারে, প্রিয়জনের বিদায়ে হতে পারে, অনাকাংখিত ঘটনা থেকে হতে পারে, আপনজনের বিদায় থেকেও হতে পারে, বড়-ছোট রোগবালাই থেকেও হতে পারে। যেভাবেই হোক, কষ্ট হয়না এমন মানুষ তো আমরা নই।
কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপারটা হলো, কষ্টের ফলাফল কিন্তু একেকজন একেক রকম পায়। যে মানুষটা আল্লাহর জন্য জীবনধারণ করে, সে জানে -- আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা এই দুনিয়া ও সৃষ্টিজগতের মালিক। তিনিই এই কষ্টটা দিয়েছেন, সেই তিনিই আমাকে সুস্থ শরীর দিয়েছিলেন, আমার জীবনে রিযিকের ব্যবস্থা করেছিলেন, করছেন। আমাদের হারানোর কিছু নেই, শুধুই প্রাপ্তি। এই কষ্টের মূহুর্তটাতেও যদি সবর করি, ধৈর্যধারণের ফলস্বরূপ তিনি আমাকে দুনিয়া ও আখিরাতে তার পছন্দানুযায়ী এমন দান করবেন যা আমার কল্পনাতীত। সমস্ত সফলতার মালিক কেবলই তিনি। আমার জীবনের উদ্দেশ্যও কেবলই তার সন্তুষ্টি।
আমাকে তিনি কিছু দান করলে তো আলহামদুলিল্লাহ, তনি কিছু থেকে বঞ্চিত করলেও আলহামদুলিল্লাহ। আমার আল্লাহ আমাকে যা দেন, তার সবই তার ইচ্ছা বলেই। তিনি আমার জন্য যা নির্ধারিত রেখেছেন -- তাতেই সন্তুষ্ট থাকাই তো আমাদের জীবনের সফলতা। দুনিয়ার জীবনের সফলতার স্কেলগুলোর মূল্য তো আখিরাতের তুলনায় বিশাল সমুদ্রের এক ফোঁটা পানিও নয়। সেদিন এক শাইখের আলোচনা শুনছিলাম, একটা জায়গাতে এসে ধাক্কা থেকে একটা কথা নতুন করে উপলব্ধি আরেকবার। তা হলো, আমাদের তো আসলে থাকা হয় দুই রকম। "কেমন আছেন?" এই প্রশ্নের জবাব হলো দুইটির যেকোন একটি অবশ্যই --
১) 'আলহামদুলিল্লাহ', সকল অবস্থায় শুকরিয়া।
২) 'আলহামদুলিল্লাহি আলা কুল্লি হাল', যে অবস্থাতেই আছি আমরা, আলহামদুলিল্লাহ। কৃতজ্ঞচিত্তে আল্লাহর শুকরিয়া ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনই আমাদের জীবন। হয়ত জীবনে পরীক্ষার মাঝে আছি, এই অবস্থাতেই আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। অদ্ভুত সুন্দর এই শিক্ষা! এই অন্তরকে অর্জন করতেই হবে ইনশা আল্লাহ।
আল্লাহ আমাদেরকে কৃতজ্ঞ বান্দা হবার তাওফিক দান করুন। সেই মহান আল্লাহর কাছেই তো আমাদের সকল চাওয়া, যিনি এই বিশ্বজগতের প্রতিপালক, যিনি সকল ক্ষমতার অধিকারী, যিনি আমাদের দাতা। তার চাওয়ায় পূর্ণ হয়ে যেতে পারে আমাদের এই জীবন এক মূহুর্তেই। সেই প্রাপ্তির আগে আমাদের পরীক্ষাগুলো যেন আমরা সঠিকভাবে উত্তীর্ণ হতে পারি। মহান আল্লাহ আমাদেরকে সেই তাওফিক দান করুন।
[২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৩]
কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপারটা হলো, কষ্টের ফলাফল কিন্তু একেকজন একেক রকম পায়। যে মানুষটা আল্লাহর জন্য জীবনধারণ করে, সে জানে -- আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা এই দুনিয়া ও সৃষ্টিজগতের মালিক। তিনিই এই কষ্টটা দিয়েছেন, সেই তিনিই আমাকে সুস্থ শরীর দিয়েছিলেন, আমার জীবনে রিযিকের ব্যবস্থা করেছিলেন, করছেন। আমাদের হারানোর কিছু নেই, শুধুই প্রাপ্তি। এই কষ্টের মূহুর্তটাতেও যদি সবর করি, ধৈর্যধারণের ফলস্বরূপ তিনি আমাকে দুনিয়া ও আখিরাতে তার পছন্দানুযায়ী এমন দান করবেন যা আমার কল্পনাতীত। সমস্ত সফলতার মালিক কেবলই তিনি। আমার জীবনের উদ্দেশ্যও কেবলই তার সন্তুষ্টি।
আমাকে তিনি কিছু দান করলে তো আলহামদুলিল্লাহ, তনি কিছু থেকে বঞ্চিত করলেও আলহামদুলিল্লাহ। আমার আল্লাহ আমাকে যা দেন, তার সবই তার ইচ্ছা বলেই। তিনি আমার জন্য যা নির্ধারিত রেখেছেন -- তাতেই সন্তুষ্ট থাকাই তো আমাদের জীবনের সফলতা। দুনিয়ার জীবনের সফলতার স্কেলগুলোর মূল্য তো আখিরাতের তুলনায় বিশাল সমুদ্রের এক ফোঁটা পানিও নয়। সেদিন এক শাইখের আলোচনা শুনছিলাম, একটা জায়গাতে এসে ধাক্কা থেকে একটা কথা নতুন করে উপলব্ধি আরেকবার। তা হলো, আমাদের তো আসলে থাকা হয় দুই রকম। "কেমন আছেন?" এই প্রশ্নের জবাব হলো দুইটির যেকোন একটি অবশ্যই --
১) 'আলহামদুলিল্লাহ', সকল অবস্থায় শুকরিয়া।
২) 'আলহামদুলিল্লাহি আলা কুল্লি হাল', যে অবস্থাতেই আছি আমরা, আলহামদুলিল্লাহ। কৃতজ্ঞচিত্তে আল্লাহর শুকরিয়া ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনই আমাদের জীবন। হয়ত জীবনে পরীক্ষার মাঝে আছি, এই অবস্থাতেই আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। অদ্ভুত সুন্দর এই শিক্ষা! এই অন্তরকে অর্জন করতেই হবে ইনশা আল্লাহ।
আল্লাহ আমাদেরকে কৃতজ্ঞ বান্দা হবার তাওফিক দান করুন। সেই মহান আল্লাহর কাছেই তো আমাদের সকল চাওয়া, যিনি এই বিশ্বজগতের প্রতিপালক, যিনি সকল ক্ষমতার অধিকারী, যিনি আমাদের দাতা। তার চাওয়ায় পূর্ণ হয়ে যেতে পারে আমাদের এই জীবন এক মূহুর্তেই। সেই প্রাপ্তির আগে আমাদের পরীক্ষাগুলো যেন আমরা সঠিকভাবে উত্তীর্ণ হতে পারি। মহান আল্লাহ আমাদেরকে সেই তাওফিক দান করুন।
[২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৩]