কোন বাঁধা গৎ বলতে না, বরং স্রেফ একটা বই পড়তে গিয়ে একটা উপলব্ধির কথাগুলো বলতে ইচ্ছা করছে। বহুদিন ধরে দেখে আসা অনেকগুলো বিষয়ে নিজের একটা অনুধাবন হলো।
এই সমাজে বেশিরভাগ মানুষের কাছেই ইসলামটা একটা ধর্মীয় আচার, যেই ফ্রেমের বাইরে একসময় আমিও ভাবতে পারতাম না। "আমার জীবনের এই কাজটি কি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য বা তার নির্দেশিত পথে? " -- এই প্রশ্নটা যিনি তার প্রতিটি কাজেই করেন, করতে আগ্রহ রাখেন আন্তরিকভাবে -- মূলত তিনিই ইসলামকে দ্বীন হিসেবে বুকে জড়িয়ে ধরতে চান। তিনিই আসলে, আল্লাহকে রব হিসেবে মেনে তার দাসত্বে নিজেকে নিয়োজিত করতে চান।
দেখা যায়, কখনো ক্লাসমেট, ভাইবোন-বন্ধুর মাধ্যমে অনেকে অনেক সংগঠন, স্কলারের সন্ধান পেয়ে ইসলামের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হন, তারপর মনে করেন দুই দিনের মাঝেই ইসলামকে দুনিয়ার জমিনে প্রতিষ্ঠা করে দিতে হবে। অথচ, ইসলামকে এই কিম্ভূত ধর্মীয় আচার বানানো হয়েছে শত শত বছর ধরে। নিমিষেই তাকে সরিয়ে দেয়া যাবেনা, যায়না, যায়নি। এক হাজার লোককে কিলিয়ে গুতিয়ে একদিনে ইসলামকে খাইয়ে দেয়া যায় না, যাবেনা।
ইসলাম তার আপন মহিমায়, আপন সৌন্দর্যে ভাস্বর ছিল, থাকবে -- কারণ এইটা আল্লাহর দ্বীন। এখানে আমার আজকেই প্রবল অ্যাকটিভ হয়ে সবাইকে বটিকা খাইয়ে দিতে মরিয়া হয়ে গেলেও লাভ নেই -- সবাই আমার মতন করে ভাবছে না, ভাববেও না। হিদায়াহ আল্লাহর হাতে, দাওয়াহ হলো সুন্দর করে বলার কাজ। যেই সুন্দরের সৌন্দর্যে মোহিত হয়ে মানুষ দৌড়ে ইসলামের স্পর্শে এসেছে, স্বীকার করেছে -'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'। মহান আল্লাহর ভালোবাসা আর নবীজীর চারিত্রিক সৌন্দর্যের কথা জেনে তাকে বুকে ধারণ করতেই মানুষ ইসলামকে মেনে নেয়।
মানুষ মানলো কি মানলো না সেইটা আমাদের কাজ না! আমাদের কাজ আমরা কতখানি মানছি, আমি কতখানি মানছি। বদরের প্রান্তরে যেই মানুষগুলো দাঁড়িয়ে ছিলেন,তারা ভাবেননি তারা কত ক্ষুদ্র, তারা তো জানতেন তারা এমন এক বিশ্বাসের বাহনে চড়েছেন, যা তাদের নিয়ে পৌঁছে যাবে জান্নাতের দরজায়, তাদের হৃদয় পূর্ণ হবে মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীনের অভ্যর্থনায়, ভালোবাসায় -- যা তাদের আজন্ম প্রত্যাশা ছিলো।
আমাদের সংখ্যাও ধর্তব্য বিষয় না, আমাদের গুণগত অবস্থানটাই আসল। একটা জনগোষ্ঠীতে একজন উমার (রা) -এর মতন কেউ থাকলে, যিনি সত্যের ব্যাপারে ফুলের মতন কোমল, অন্যায়ে কঠোর বজ্রের মতন; একজন আবু বকর (রা) -এর মতন কেউ থাকলে, যিনি সর্বস্ব দিয়ে দিতে প্রস্তত থাকতেন সর্বদাই; মুসয়াব ইবন উমাইর (রা), আমর ইবনুল আস (রা)-দের মতন কেউ থাকলে, সৌন্দর্য ছড়িয়ে যাওয়া, সত্যকে প্রতিষ্ঠা তো কঠিন কিছু না! যাদের হৃদয় আলোকিত রাহমানের স্মরণের আলোতে...
সমস্ত মতভেদের অবসান মহিমান্বিত কুরআনে , সমস্ত ঘৃণাবোধের অবসান সেখানে, ভগ্ন হৃদয়ের সেরে ওঠা সেখানেই, ব্যর্থদের জন্যেও সেখানেই আছে সাহায্য, অর্থাভাবে ক্লিষ্টদের পথ, পরিবারের অশান্তির সমাধান, নিজ জীবনের প্রতিটি কাজকে অর্থবহ আর পুরষ্কারময় করে পাওয়ার অনুপ্রেরণাও সেখানেই। অকারণ ক্রোধ, রাগ, ক্ষোভ, হিংসা, ইগো, আত্মতৃপ্তিতে ডুবে না থেকে কুরআনের সাথে জীবনকে গেঁথে ফেলাতেই বোধ করি সাফল্য নিহিত।
আল্লাহ আমাদেরকে কুরআনকে আঁকড়ে ধরে জীবন গড়ার, সর্বশ্রেষ্ঠ আদর্শ যেই মানুষটির জীবনে, তাকে সম্পূর্ণভাবে অনুসরণ করার তাওফিক দিন, যেন চরম কঠিন উত্তাপের সময় আমরা হাউজে কাউসারের সামনে তার হাত থেকে পাওয়া পেয়ালায় চুমুক দিয়ে তৃষ্ণা মেটাতে পারি, অনুভব করতে পারি জীবনের প্রকৃত সফলতাকে। রাহমানুর রাহিম আমাদের ক্ষমা করুন, সরল সঠিক পথের দিশা দিন। আমিন।
এই সমাজে বেশিরভাগ মানুষের কাছেই ইসলামটা একটা ধর্মীয় আচার, যেই ফ্রেমের বাইরে একসময় আমিও ভাবতে পারতাম না। "আমার জীবনের এই কাজটি কি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য বা তার নির্দেশিত পথে? " -- এই প্রশ্নটা যিনি তার প্রতিটি কাজেই করেন, করতে আগ্রহ রাখেন আন্তরিকভাবে -- মূলত তিনিই ইসলামকে দ্বীন হিসেবে বুকে জড়িয়ে ধরতে চান। তিনিই আসলে, আল্লাহকে রব হিসেবে মেনে তার দাসত্বে নিজেকে নিয়োজিত করতে চান।
দেখা যায়, কখনো ক্লাসমেট, ভাইবোন-বন্ধুর মাধ্যমে অনেকে অনেক সংগঠন, স্কলারের সন্ধান পেয়ে ইসলামের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হন, তারপর মনে করেন দুই দিনের মাঝেই ইসলামকে দুনিয়ার জমিনে প্রতিষ্ঠা করে দিতে হবে। অথচ, ইসলামকে এই কিম্ভূত ধর্মীয় আচার বানানো হয়েছে শত শত বছর ধরে। নিমিষেই তাকে সরিয়ে দেয়া যাবেনা, যায়না, যায়নি। এক হাজার লোককে কিলিয়ে গুতিয়ে একদিনে ইসলামকে খাইয়ে দেয়া যায় না, যাবেনা।
ইসলাম তার আপন মহিমায়, আপন সৌন্দর্যে ভাস্বর ছিল, থাকবে -- কারণ এইটা আল্লাহর দ্বীন। এখানে আমার আজকেই প্রবল অ্যাকটিভ হয়ে সবাইকে বটিকা খাইয়ে দিতে মরিয়া হয়ে গেলেও লাভ নেই -- সবাই আমার মতন করে ভাবছে না, ভাববেও না। হিদায়াহ আল্লাহর হাতে, দাওয়াহ হলো সুন্দর করে বলার কাজ। যেই সুন্দরের সৌন্দর্যে মোহিত হয়ে মানুষ দৌড়ে ইসলামের স্পর্শে এসেছে, স্বীকার করেছে -'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'। মহান আল্লাহর ভালোবাসা আর নবীজীর চারিত্রিক সৌন্দর্যের কথা জেনে তাকে বুকে ধারণ করতেই মানুষ ইসলামকে মেনে নেয়।
মানুষ মানলো কি মানলো না সেইটা আমাদের কাজ না! আমাদের কাজ আমরা কতখানি মানছি, আমি কতখানি মানছি। বদরের প্রান্তরে যেই মানুষগুলো দাঁড়িয়ে ছিলেন,তারা ভাবেননি তারা কত ক্ষুদ্র, তারা তো জানতেন তারা এমন এক বিশ্বাসের বাহনে চড়েছেন, যা তাদের নিয়ে পৌঁছে যাবে জান্নাতের দরজায়, তাদের হৃদয় পূর্ণ হবে মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীনের অভ্যর্থনায়, ভালোবাসায় -- যা তাদের আজন্ম প্রত্যাশা ছিলো।
আমাদের সংখ্যাও ধর্তব্য বিষয় না, আমাদের গুণগত অবস্থানটাই আসল। একটা জনগোষ্ঠীতে একজন উমার (রা) -এর মতন কেউ থাকলে, যিনি সত্যের ব্যাপারে ফুলের মতন কোমল, অন্যায়ে কঠোর বজ্রের মতন; একজন আবু বকর (রা) -এর মতন কেউ থাকলে, যিনি সর্বস্ব দিয়ে দিতে প্রস্তত থাকতেন সর্বদাই; মুসয়াব ইবন উমাইর (রা), আমর ইবনুল আস (রা)-দের মতন কেউ থাকলে, সৌন্দর্য ছড়িয়ে যাওয়া, সত্যকে প্রতিষ্ঠা তো কঠিন কিছু না! যাদের হৃদয় আলোকিত রাহমানের স্মরণের আলোতে...
সমস্ত মতভেদের অবসান মহিমান্বিত কুরআনে , সমস্ত ঘৃণাবোধের অবসান সেখানে, ভগ্ন হৃদয়ের সেরে ওঠা সেখানেই, ব্যর্থদের জন্যেও সেখানেই আছে সাহায্য, অর্থাভাবে ক্লিষ্টদের পথ, পরিবারের অশান্তির সমাধান, নিজ জীবনের প্রতিটি কাজকে অর্থবহ আর পুরষ্কারময় করে পাওয়ার অনুপ্রেরণাও সেখানেই। অকারণ ক্রোধ, রাগ, ক্ষোভ, হিংসা, ইগো, আত্মতৃপ্তিতে ডুবে না থেকে কুরআনের সাথে জীবনকে গেঁথে ফেলাতেই বোধ করি সাফল্য নিহিত।
আল্লাহ আমাদেরকে কুরআনকে আঁকড়ে ধরে জীবন গড়ার, সর্বশ্রেষ্ঠ আদর্শ যেই মানুষটির জীবনে, তাকে সম্পূর্ণভাবে অনুসরণ করার তাওফিক দিন, যেন চরম কঠিন উত্তাপের সময় আমরা হাউজে কাউসারের সামনে তার হাত থেকে পাওয়া পেয়ালায় চুমুক দিয়ে তৃষ্ণা মেটাতে পারি, অনুভব করতে পারি জীবনের প্রকৃত সফলতাকে। রাহমানুর রাহিম আমাদের ক্ষমা করুন, সরল সঠিক পথের দিশা দিন। আমিন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মূল্যবান মতামত জানিয়ে যান লেখককে