(৪৫৫)
যেদিন থেকে আপনি বর্তমানে বেঁচে থাকতে শিখবেন, সেদিন থেকে আপনি সুখে থাকতে পারবেন। অতীত-ভবিষ্যতের নিরর্থক বোঝা মাথায় নিয়ে কখনো সুখী হওয়া যায় না।
(৪৫৬)
মানুষ ভালোবাসা পেতে চাওয়ার কাঙ্গাল যতটুকু, সম্ভবত তার চেয়ে অনেক বেশিই কাঙ্গাল ভালোবাসা দেওয়ার জন্য। হয়ত অনেক ক্ষেত্রে পেতে চাওয়ার কাঙ্গালপনাটাই বেশি প্রকাশ হয় বলে অমন ধারণাই বেশি প্রচলিত। অথচ মানুষ হরদম এই ভীড়ের মাঝে এমন মানুষদেরকেই খুঁজে বেড়ায়, যাদের ভালোবাসা যায়। সেটাই খুঁজে পায়না। হয়রান হয়ে থাকে হৃদয়গুলো। আসলে, যারা মানুষকে কম বিচার করে, বেশি দয়া করে, সহজে মিশতে পারে, অতিরিক্ত চিন্তা না করে অন্যের উপকার করতে পারে --তারা সহজে ভালোবাসতে পারে, তারা সহজে শান্তি পেতে পারে। সুখী হবার সূত্রটা আসলে খুবই সহজ, কিন্তু নির্বোধদের কাছে তা খুবই কঠিন।
(৪৫৭)
সব ধ্বংসই কি আর ধ্বংস বয়ে আনে? ধ্বংসের মাঝে অনেকেই খুঁজে পান নতুন সৃষ্টির প্রেরণা। সকল অন্ধকারই কি আশার শেষ? যারা জানেন আঁধার কেটে যায়, যারা জানে আঁধারের অর্থ, তারা নতুন সূর্যালোকের প্রত্যয় ধারণ করেন বুকে। শয়তান যখন আদমকে (আলাইহিস সালাম) জান্নাত থেকে পৃথিবীতে আসতে দেখেছিলো, ভেবেছিলো হয়ত সে তার অপকর্ম সেরে ফেলতে পেরেছে। কিন্তু শয়তান হয়ত বুঝেনি যে ডুবুরি সমুদ্রে ডুব দিয়ে মণি-মুক্তা আহরণ করে আনে। জীবনের কষ্টগুলোতে ক্লান্ত-শ্রান্ত হয়ে পড়তে নেই। প্রতিটি কষ্টের মাঝে নতুন আনন্দের বার্তা আছে, প্রতিটি যন্ত্রণায় খুঁজে পাবেন স্বস্তির বাতাস। শুধু নিজের মতন করে জীবনকে চাইলে হবে? বরং যিনি জীবন দিয়েছেন, তার পরিকল্পনায় আস্থা রাখুন। তিনি যা পাঠাবেন, তার মাঝেই আছে ভালোবাসার চিহ্ন। জীবনে পাওয়া উপহারের ডালা খুলে দেখুন, খুঁজে পাবেন নতুন সম্ভাবনা, নতুন স্বপ্ন, নতুন অনুপ্রেরণার বার্তা।
(৪৫৮)
একজন দক্ষ মানুষ এবং নবিশ ব্যক্তির মাঝে পার্থক্য কি জানেন? নবিশ যতবার একটা কাজের জন্য চেষ্টা করেছে, দক্ষ ব্যক্তিটি তার চেয়েও অনেক বেশিবার কাজটিতে ব্যর্থ হয়েছেন।