(৩২১)
ফাল্গুনের এই রাতের ঝিরিঝিরি হাওয়া এত সুন্দর, জান্নাতের বাগানের হাওয়া না জানি কত সুব্দর! নিশ্চয়ই আল্লাহ জান্নাতে আমাদের দুনিয়ার জীবনের খা খা করা অপূর্ণতায় ভরা বুকের জায়গায় শান্তি দিয়ে পরিপূর্ণ করে দেবেন। হে আল্লাহ! আমাদের জান্নাতের পথে পরিচালিত করুন।
(৩২২)
আপনার তাকদীরে যা আছে তা অবশ্যই আপনার কাছে আসবে এবং যা আল্লাহ দেবেন না তা কেউ কখনো এনে দিতে পারবে না।
(৩২৩)
কেউ যখন আপনাকে ঘৃণা করবে তখন আপনার নিঃশ্বাসগুলো পর্যন্ত সমস্যা হিসেবে মনে করা হবে।
(৩২৪)
সবসময়ে যেকোন পরিস্থিতি ও অবস্থাতেই আল্লাহর কাছে শুকরিয়া করা উচিত। আপনি-আমি জানিনা আগামী সময়টা আমার জন্য আরো খারাপ হবে নাকি ভালো হবে। পরে হয়ত এই অকৃতজ্ঞতার জন্য আফসোস হতে পারে।
(৩২৫)
আল্লাহর কাছে চাওয়ার সময় খুব হিসেব করে চাওয়া উচিত। এক্ষেত্রে মজা করে বলা যায়, "আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না'" বরং প্রকৃতপক্ষে কিছু চাইতে হলে আল্লাহর কাছেই চাওয়াগুলো সোপর্দ করতে হয়। আল্লাহর কাছে এমন কিছু চাইবেন না যেন চাওয়া জিনিসটা পাওয়ার পরে আবার তার জন্য আফসোস হয়। চাইতে হয় এমনভাবে যা আমাদের জন্য কল্যাণকর। গাইবের খবর আমরা একটুও জানিনা, জানেন আমাদের আল্লাহ।
নাবীদের দু'আ অন্যরকম দারুণ ছিলো! এই যেমন--
"হে আল্লাহ আমাকে উপকারী জ্ঞান দাও'
অথবা,
"হে আমার রব! আমাকে দুনিয়াতে কল্যাণ দাও, আমাকে আখিরাতেও কল্যাণ দাও।"
কীসে কল্যাণ তা কি আমরা বুঝি? আমরা অস্থির, অধৈর্য। আমাদের সবকিছুতেই তাড়াহুড়া। অথচ সুসংবাদ তো ধৈর্যশীলদের জন্য...
(৩২৬)
সংকীর্ণমনা ও ক্ষুদ্রবুদ্ধির মানুষেরা কখনো কল্পনাই করতে পারে না যে তাদের চিন্তার দৌড় যেখানে শেষ হয়, তার অনেক উপরের জায়গায় মানুষ চিন্তা করে, কাজ করে। 'কুয়োর ব্যাং' -এর উদাহরণ আমাদের চারপাশেই অনেক দেখা যায়।
(৩২৭)
এমনটা তো হতেই পারে যে জীবনে পাওয়া প্রকৃতির প্রতিটি বর্ষণ আল্লাহ আপনাকে এমনভাবে দান করেন যেন বর্ষাধারার সাথে অশ্রুধারাও ঝরে যায়। এটাই তাকদীর, তিনি এমনটাই চান। তাতেই সন্তুষ্ট ও আনন্দিত থাকুন। বৃষ্টিবিলাস হয়ত আপনার জন্য কল্যাণের চেয়ে অকল্যাণই বয়ে আনবে... তিনিই উত্তম পরিকল্পনাকারী।
(৩২৮)
*** ভ্যালেন্টাইনস ডে পালন! ***
ভ্যালেন্টাইন ডে জিনিসটা এখন হয়ে গেছে বিবাহবহির্ভূত প্রেম-আনন্দে ডুবে থাকা পাপাচার ও নির্লজ্জতার উপলক্ষ। অথচ আল্লাহ নির্লজ্জতার ধারে কাছে যেতেও নিষেধ করেছেন কুর'আনে। যাকে নিয়ে প্রেম ভালোবাসা করতে যাচ্ছে লোকে, সে যদি তার বিয়ে করা জীবনসংগী না হয়, তাহলে সে আল্লাহর অবাধ্যতা করতে যাচ্ছে এবং সেই প্রেম-ভালোবাসাকে আল্লাহ যিনা বা ব্যভিচার বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
নারী-পুরুষের পারস্পারিক আনন্দকে আল্লাহ বিয়ের মাধ্যমে পরস্পরের দায়িত্ব নিয়ে তবেই অনুমতি দিয়েছেন। পশুদের মতন যার-তার সাথে, যেখানে-সেখানে শরীর-মনের চাহিদা মেটানোর সুযোগ আল্লাহ মানুষ নামক সৃষ্টিকে দেননি।
আল্লাহর আদেশ সৃষ্টির শেষ দিন পর্যন্ত অলংঘনীয় থাকবে। ব্যভিচারের সংজ্ঞাও আমরা ইচ্ছেমতন দিতে পারবো না। মৃত্যুর পরের জীবন নিয়ে চিন্তা থাকলে বিয়ে করে প্রেম করা উচিত এবং গার্লফ্রেন্ড/বয়ফ্রেন্ড সম্পর্ক সাবধানে বর্জন করা উচিত।
[১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫]