আমার চারপাশে অনেক মানুষ নিয়মিত মারা যাচ্ছেন। কখনো একদিনেই দু'টি কাছের দূরের আত্মীয়ের সংবাদ শুনেছি। এদের কারো বয়স কম, কারো বেশি। কয়েক বছর আগে যে আমার ক্লাসমেট ছিলো, আজ সে মাটির নিচে। সুশীলদের মতন করে ইসলামবিহীন ঢঙ্গে তো আর বলতে পারি না, "যেখানেই থাকিস, ভালো থাকিস।" বরং আমি স্পষ্ট জানি সে এখন আখিরাতের জীবনে ঢুকে গেছে। হয়ত এখন খুব আনন্দ অথবা ভয়ংকর আযাবের মাঝে অন্ধকার কবরের সময়টা কাটাচ্ছে।
মৃত্যু বিষয়টা তীব্র বাস্তব। সবাই কতদিন বাঁচবো তা কেউ নিশ্চিত নই, তবে মারা যাবো তা নিশ্চিত। এটা এড়িয়ে যাবার যো নেই। "RIP অমুক, RIP তমুক" বলে ফালতু কালচার তৈরি করতে চাইনা। 'রেস্ট ইন পিস' একটা তীব্র ঈমানহীন কথা। বিদায় নেয়া মানুষটার জন্য সম্ভব হলে কিছু দোয়া করা দরকার। সে দোয়া পাওয়ার যোগ্য না হলে চুপ করে থাকা দরকার, কেননা সে মৃত্যুবরণ করেছে। বিষয়টা ভয়ংকর। সে আর চাইলেও নিজের ফলাফল পরিবর্তনে কাজ করতে পারবে না। প্রতিটি অন্যায়ের শাস্তি তার কড়ায়-গন্ডায় হবেই। এই মৃত্যু একটা ওয়ান-ওয়ে রাস্তা। যা আমাদের সবাইকে আচ্ছন্ন করবে। তাই মুসলিমদের মৃত্যু নিয়ে দোয়া কখনই "যেখানেই থাকিস, ভালো থাকিস" নয়, বরং "আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিন।" আমরা নিশ্চিত জানি, আল্লাহর রাহমাত ব্যতীত কারো পক্ষেই আমাদের ক্ষমা পাওয়া সম্ভব নয়। আল্লাহ যেন আমাদেরকে ক্ষমা পাওয়ার তাওফীক দান করেন।
আমার শ্রদ্ধেয় দাদীদান নব্বই পেরিয়ে গেছেন। চোখের আলো কমে কমে আমার চোখের সামনেই এখন তিনি প্রায়ান্ধ। ইদানিং তিনি অপেক্ষা করছেন মৃত্যুর। দাদা চলে গেছেন ৭/৮ বছর আগে। দাদার কথা মনে করে চোখের পানি ঝরান, কুরআন তিলাওয়াতের চেষ্টা করেন ক্ষীণতম দৃষ্টিতে। আরবি বুঝেন না, জান্নাত বা জাহান্নাম শব্দ শুনলে এগুলোকে আকাঙ্খিত এবং ভীতিকর মঞ্জিল মনে করে কান্না করতে থাকেন। এই অপেক্ষা দেখে বুকে শিহরণ জাগে। এই লক্ষ্য আমার জন্য খুব দূরে, এমন তো নয়। তিনি যদি অপেক্ষা করে প্রস্তুত থাকেন, তবে আমি কেন নয়? আমি তো জানিনা যে আমার ডাক কবে পড়বে। তবে কি বিশ্বাস করি না যে আমি একদিন মারা যাবো?
আমরা হয়ত ঠিকমতন বিশ্বাস করিনা আমরা যেকোন সময় মারা যেতে পারি। একবার একটা লেখায় পড়েছিলাম, আমাদের ভাইয়েরা যদি সত্যিই মনে করতেন আমরা যেকোন সময় মারা যেতে পারি, তাহলে নিজ নিজ ঋণের কথা বাসা থেকে বের হবার আগে স্ত্রীকে জানিয়ে যেতেন। কথাটা আমার বেশ মনে ধরেছিলো। আখিরাতের বিশ্বাসটা ঈমানের একটা অংশ। মৃত্যু নিয়ে এই সচেতনতার বিষয়গুলো ঈমানের দৃঢ়তা প্রকাশ করে।
দুনিয়ার স্বাদ-আহলাদ নিঃশেষকারী মৃত্যুকে বেশি বেশি স্মরণ করতে বলেছেন আমাদের প্রিয় নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। আমি তেমন একটা পারিনা/করিনা। এই মৃত্যূর স্মরণ কতটা প্রয়োজনীয় ও দরকারী, তা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মূহুর্তের অভিজ্ঞতায় ও উপলব্ধিতে টের পাই। সত্যিই তিনি ছিলেন শ্রেষ্ঠ মানুষ, আমাদের নেতা, রাহমাতাল্লিল আলামীন। তার প্রতিটি উপদেশ ও আদেশ কেবলই কল্যাণময়, যার আগাগোড়া কল্যাণময়তায় ভরপুর। সাদ্দাকতা ইয়া রাসূলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম), আপনি সত্যিই সব সঠিক বলেছেন।
[২০ ডিসেম্বর, ২০১৪]
মৃত্যু বিষয়টা তীব্র বাস্তব। সবাই কতদিন বাঁচবো তা কেউ নিশ্চিত নই, তবে মারা যাবো তা নিশ্চিত। এটা এড়িয়ে যাবার যো নেই। "RIP অমুক, RIP তমুক" বলে ফালতু কালচার তৈরি করতে চাইনা। 'রেস্ট ইন পিস' একটা তীব্র ঈমানহীন কথা। বিদায় নেয়া মানুষটার জন্য সম্ভব হলে কিছু দোয়া করা দরকার। সে দোয়া পাওয়ার যোগ্য না হলে চুপ করে থাকা দরকার, কেননা সে মৃত্যুবরণ করেছে। বিষয়টা ভয়ংকর। সে আর চাইলেও নিজের ফলাফল পরিবর্তনে কাজ করতে পারবে না। প্রতিটি অন্যায়ের শাস্তি তার কড়ায়-গন্ডায় হবেই। এই মৃত্যু একটা ওয়ান-ওয়ে রাস্তা। যা আমাদের সবাইকে আচ্ছন্ন করবে। তাই মুসলিমদের মৃত্যু নিয়ে দোয়া কখনই "যেখানেই থাকিস, ভালো থাকিস" নয়, বরং "আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিন।" আমরা নিশ্চিত জানি, আল্লাহর রাহমাত ব্যতীত কারো পক্ষেই আমাদের ক্ষমা পাওয়া সম্ভব নয়। আল্লাহ যেন আমাদেরকে ক্ষমা পাওয়ার তাওফীক দান করেন।
আমার শ্রদ্ধেয় দাদীদান নব্বই পেরিয়ে গেছেন। চোখের আলো কমে কমে আমার চোখের সামনেই এখন তিনি প্রায়ান্ধ। ইদানিং তিনি অপেক্ষা করছেন মৃত্যুর। দাদা চলে গেছেন ৭/৮ বছর আগে। দাদার কথা মনে করে চোখের পানি ঝরান, কুরআন তিলাওয়াতের চেষ্টা করেন ক্ষীণতম দৃষ্টিতে। আরবি বুঝেন না, জান্নাত বা জাহান্নাম শব্দ শুনলে এগুলোকে আকাঙ্খিত এবং ভীতিকর মঞ্জিল মনে করে কান্না করতে থাকেন। এই অপেক্ষা দেখে বুকে শিহরণ জাগে। এই লক্ষ্য আমার জন্য খুব দূরে, এমন তো নয়। তিনি যদি অপেক্ষা করে প্রস্তুত থাকেন, তবে আমি কেন নয়? আমি তো জানিনা যে আমার ডাক কবে পড়বে। তবে কি বিশ্বাস করি না যে আমি একদিন মারা যাবো?
আমরা হয়ত ঠিকমতন বিশ্বাস করিনা আমরা যেকোন সময় মারা যেতে পারি। একবার একটা লেখায় পড়েছিলাম, আমাদের ভাইয়েরা যদি সত্যিই মনে করতেন আমরা যেকোন সময় মারা যেতে পারি, তাহলে নিজ নিজ ঋণের কথা বাসা থেকে বের হবার আগে স্ত্রীকে জানিয়ে যেতেন। কথাটা আমার বেশ মনে ধরেছিলো। আখিরাতের বিশ্বাসটা ঈমানের একটা অংশ। মৃত্যু নিয়ে এই সচেতনতার বিষয়গুলো ঈমানের দৃঢ়তা প্রকাশ করে।
দুনিয়ার স্বাদ-আহলাদ নিঃশেষকারী মৃত্যুকে বেশি বেশি স্মরণ করতে বলেছেন আমাদের প্রিয় নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। আমি তেমন একটা পারিনা/করিনা। এই মৃত্যূর স্মরণ কতটা প্রয়োজনীয় ও দরকারী, তা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মূহুর্তের অভিজ্ঞতায় ও উপলব্ধিতে টের পাই। সত্যিই তিনি ছিলেন শ্রেষ্ঠ মানুষ, আমাদের নেতা, রাহমাতাল্লিল আলামীন। তার প্রতিটি উপদেশ ও আদেশ কেবলই কল্যাণময়, যার আগাগোড়া কল্যাণময়তায় ভরপুর। সাদ্দাকতা ইয়া রাসূলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম), আপনি সত্যিই সব সঠিক বলেছেন।
[২০ ডিসেম্বর, ২০১৪]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মূল্যবান মতামত জানিয়ে যান লেখককে