ইসলামকে নতুন করে বুঝতে শেখার পর রামাদান আমার কাছে অন্যরকম আবেদন নিয়ে হাজির হয়! বিগত কয়েক বছর রজব পেরিয়ে শাবান মাসে এসে অনেক পরিকল্পনা করেছিলাম রামাদানের জন্য। খানিকটা পড়াশুনা করে, বুঝে আর শুদ্ধ আবেগ থেকে আমি 'অ্যাম্বিশাস' বা উচ্চাভিলাসী পরিকল্পনা না করার চেষ্টা করেছিলাম। তবু ক্রমাগত ঠেকে শিখছি! আলেমরা সবসময়েই বলেন রামাদানে অতি উঁচু লক্ষ্য আর পরিকল্পনা না করে বরং বর্তমান জীবনধারার সাথে মিলে যায় এমন কিছু লক্ষ্যস্থির করতে।
আল্লাহ এমন আমলকে পছন্দ করেন যা হয়ত আকারে ছোট, কিন্তু যদি তা নিয়মিত করা হয়। এই বিষয়টাকে মাথায় রেখে অন্যান্যবারের মতন তাই রামাদানে আহামরি কিছু ঠিক করিনি। এখনকার অবস্থান থেকে নিজেকে উন্নত দেখতে চাই তাই মূলত কুরআনকে ঘিরেই কিছু পরিকল্পনা করেছি। অন্য বছরগুলোতে ইসলামি সাহিত্য ও আলোচনা নিয়ে চিন্তাভাবনা ও ঘাঁটাঘাঁটি করতাম। এইবার কুরআন তিলাওয়াত, তার অনুবাদ এবং শুধু ত্রিশ পারার সূরাসমূহের তাফসির গভীরভাবে পড়ার মাঝেই মূল পড়াশোনা স্থির রাখবো। উস্তাদ নু'মান আলী খানের তাফসীর আলোচনাগুলোর অডিও mp3 শুনতে চেষ্টা করবো নিয়মিত ইনশাআল্লাহ। [http://www.nakcollection.com/download-tafsir.html]
ব্যাস এতটুকুই! কুরআনকে ঘিরে কুরআন নাযিলের মাসে পরিকল্পনায় আল্লাহ অনেক বারাকাহ দিবেন ইনশাআল্লাহ!
প্রতিদিন চাকুরিস্থলে, ঘরে দা'ওয়াহ সংক্রান্ত কাজ করার জন্য কিছু ছোট ছোট পরিকল্পনাও করেছি। অনলাইন জগত থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবো, যেহেতু এখানে আমার অযথাই অনেক সময় নষ্ট হয়, না চাইলেও অনেক ছবি দেখে ফেলতে হয় যা অনুচিত, অনেক তুচ্ছ আলোচনা পড়ে ফেলতে হয় যা দুনিয়া ও আখিরাতে কোন কল্যাণ আনবে না বরং সন্দেহ ও ঘৃণা দিয়ে মনকে বিষিয়ে দেয়।
একটা বিষয় গুরুত্বপূর্ণ ম নে হয়-- রামাদানে নিজের মধ্যে আনা প্রতিটি পরিবর্তনকে একদম সবসময়ের জন্য ধারণ করতে চাওয়ার তৃষ্ণার্ত মানসিকতা। গীবত, ক্ষতিকর সমালোচনা, হিংসা, ঘৃণা, আজেবাজে আলাপ, খেলাধূলার মতন তুচ্ছ বিষয়ে দেদারসে সময় নষ্ট করার মতন বিষয়ে প্রচন্ড সতর্কতা যেন আজীবনের জন্য নিজের মাঝে গেঁথে যায় এমন চেষ্টা করা গুরুত্বপূর্ণ বলে অনুভব করছি।
প্রতিটি মুসলিমই রামাদানের জন্য অস্থির হয়ে অপেক্ষা করে, প্রস্তুতি নেয়। প্রাণপ্রিয় অতিথি রামাদানের জন্য মনের ঘরদোর পরিষ্কার করে বসে থাকার মাঝে আছে অন্যরকম এক আনন্দ! আল্লাহ আমাদের জন্য রহমত ও মাগফিরাতময় রামাদান কবুল করুন।
বর্ষণস্নাত ঢাকা নগরী,
২৩ জুন, ২০১৪ দুপুর
আল্লাহ এমন আমলকে পছন্দ করেন যা হয়ত আকারে ছোট, কিন্তু যদি তা নিয়মিত করা হয়। এই বিষয়টাকে মাথায় রেখে অন্যান্যবারের মতন তাই রামাদানে আহামরি কিছু ঠিক করিনি। এখনকার অবস্থান থেকে নিজেকে উন্নত দেখতে চাই তাই মূলত কুরআনকে ঘিরেই কিছু পরিকল্পনা করেছি। অন্য বছরগুলোতে ইসলামি সাহিত্য ও আলোচনা নিয়ে চিন্তাভাবনা ও ঘাঁটাঘাঁটি করতাম। এইবার কুরআন তিলাওয়াত, তার অনুবাদ এবং শুধু ত্রিশ পারার সূরাসমূহের তাফসির গভীরভাবে পড়ার মাঝেই মূল পড়াশোনা স্থির রাখবো। উস্তাদ নু'মান আলী খানের তাফসীর আলোচনাগুলোর অডিও mp3 শুনতে চেষ্টা করবো নিয়মিত ইনশাআল্লাহ। [http://www.nakcollection.com/download-tafsir.html]
ব্যাস এতটুকুই! কুরআনকে ঘিরে কুরআন নাযিলের মাসে পরিকল্পনায় আল্লাহ অনেক বারাকাহ দিবেন ইনশাআল্লাহ!
প্রতিদিন চাকুরিস্থলে, ঘরে দা'ওয়াহ সংক্রান্ত কাজ করার জন্য কিছু ছোট ছোট পরিকল্পনাও করেছি। অনলাইন জগত থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবো, যেহেতু এখানে আমার অযথাই অনেক সময় নষ্ট হয়, না চাইলেও অনেক ছবি দেখে ফেলতে হয় যা অনুচিত, অনেক তুচ্ছ আলোচনা পড়ে ফেলতে হয় যা দুনিয়া ও আখিরাতে কোন কল্যাণ আনবে না বরং সন্দেহ ও ঘৃণা দিয়ে মনকে বিষিয়ে দেয়।
একটা বিষয় গুরুত্বপূর্ণ ম নে হয়-- রামাদানে নিজের মধ্যে আনা প্রতিটি পরিবর্তনকে একদম সবসময়ের জন্য ধারণ করতে চাওয়ার তৃষ্ণার্ত মানসিকতা। গীবত, ক্ষতিকর সমালোচনা, হিংসা, ঘৃণা, আজেবাজে আলাপ, খেলাধূলার মতন তুচ্ছ বিষয়ে দেদারসে সময় নষ্ট করার মতন বিষয়ে প্রচন্ড সতর্কতা যেন আজীবনের জন্য নিজের মাঝে গেঁথে যায় এমন চেষ্টা করা গুরুত্বপূর্ণ বলে অনুভব করছি।
প্রতিটি মুসলিমই রামাদানের জন্য অস্থির হয়ে অপেক্ষা করে, প্রস্তুতি নেয়। প্রাণপ্রিয় অতিথি রামাদানের জন্য মনের ঘরদোর পরিষ্কার করে বসে থাকার মাঝে আছে অন্যরকম এক আনন্দ! আল্লাহ আমাদের জন্য রহমত ও মাগফিরাতময় রামাদান কবুল করুন।
বর্ষণস্নাত ঢাকা নগরী,
২৩ জুন, ২০১৪ দুপুর