একসময় ইতিহাস পড়তে গিয়ে অত্যাচারী শাসক বাপকে হত্যা করে তার সন্তানের রাজা হবার অনেকগুলো দৃষ্টান্ত দেখেছিলাম। পার্সিয়ান আর রোমান সাম্রাজ্যের এমন বেশ কিছু গল্প মনে আছে, মুঘলদের মাঝেও ক্ষমতার এই লোভ নিয়ে ঘটনা ছিলো। নবাব সিরাজউদ্দৌলার খালা হিংসার একটি দৃষ্টান্ত। এমন হিংসুটে মানুষ পৃথিবীতে এসেছে যুগে যুগে, আবার চলেও গেছে নিঃস্ব হয়ে। শুধু পৃথিবীর সময়টা অনেক মানুষকে নিরতিশয় যন্ত্রণা দিয়েছে তারা।
আজকাল অফিসের কলিগদের বুকিং দিয়ে প্লট আর ফ্ল্যাট কেনার একটানা ঘ্যানঘ্যানে আলাপে যখন ক্লান্ত হই তখন অনেক কথাই মনে পড়ে। এই দেশের প্রায় প্রতিটি পরিবারেই জমিজমা নিয়ে বা সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে পরিবারের ভাইবোনদের ক্যাচালের সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। আল্লাহর দেয়া বিধান মানার বিষয়টাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দু'একজন ভাই দু'হাতে খাবলা মেরে জমি-ভিটা দখল করে, সাথে দল পাকায় কোন এক সমমনা বোনকে নিয়ে। যারা একই মায়ের গর্ভে ছিলো এককালে, অনেকগুলো বছর পরে তারাই পরস্পরের ছায়া দেখতে চায় না, তাদের সন্তানেরা জিঘাংসা আর ঘৃণা নিয়ে পরস্পরকে স্মরণ করে। ক্লান্তিকর দুঃখজনক সব ঘটনা!
এই লোভ বিষয়টা অদ্ভুত, অদ্ভুত লাগে জমিজমার নেশার ব্যাপারটাও। প্রায়ই যখন ঢাকার পথ দিয়ে একলা হাঁটি, প্রাসাদোপম বিশাল অট্টালিকা কিংবা ঝাঁ-তকতকে বাড়ির সামনে দিয়ে যাই, মনে হয় এইখানে আজ ১০০ বছর আগেও কেউ থাকতো না, কিংবা যারা থাকত তারা কেউ নেই এখন। কেউ থাকে না, থাকতে পারে না। মাতবর আলিমুদ্দিন সাহেব হোক, গডফাদার কালামিয়া হোক, একসময় তারা বৃদ্ধ হয়। নিজ কর্মের ফল তাদেরকে পাকড়াও করে, মৃত্যু আর অপমানে তারা হয় ইতিহাস। তাদের সম্পদগুলো পরের প্রজন্ম লুটেপুটে খায়, কয়েক যুগ পরে তারা হারিয়ে যায়। কয়েকশত বছর পরে কেউ তাদের নামও উচ্চারণ করে না। রাস্তাঘাট-স্কুলকলেজ নামকরণ করে গেলেও তাদের নাম উচ্চারণে কারো অনুভূতি থাকে না কারো। এটাই নিয়ম।
এতসব সম্পদের, ভোগের, জমিজমা আর বাড়ি-গাড়ির হম্বিতম্বির কোন মানে নেই। এই ক্ষণস্থায়ী পৃথিবীতে আমরা মুসাফির। সবাইকে যেতেই হবে, কিছুই তখন পাশে রবে না। ভালোবাসার প্রিয়জন, প্রিয় সম্পদ, প্রিয় বাড়ি, প্রিয় গাড়ি --সবই আসলে বিভ্রম! কেবল সৎকর্মরাই প্রকৃত বন্ধু! আল্লাহ যেন আমাদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত ও অভিশপ্তদের দলে ফেলে না দেন। আল্লাহ যেন আমাদেরকে অনন্তকালের সফলদের মাঝে অন্তর্ভুক্ত করেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ আমাদের রব, তারই কাছে আমাদের ফিরে যেতে হবে..
বর্ষণস্নাত তিলোত্তমা নগরী,
২২ জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা
আজকাল অফিসের কলিগদের বুকিং দিয়ে প্লট আর ফ্ল্যাট কেনার একটানা ঘ্যানঘ্যানে আলাপে যখন ক্লান্ত হই তখন অনেক কথাই মনে পড়ে। এই দেশের প্রায় প্রতিটি পরিবারেই জমিজমা নিয়ে বা সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে পরিবারের ভাইবোনদের ক্যাচালের সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। আল্লাহর দেয়া বিধান মানার বিষয়টাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দু'একজন ভাই দু'হাতে খাবলা মেরে জমি-ভিটা দখল করে, সাথে দল পাকায় কোন এক সমমনা বোনকে নিয়ে। যারা একই মায়ের গর্ভে ছিলো এককালে, অনেকগুলো বছর পরে তারাই পরস্পরের ছায়া দেখতে চায় না, তাদের সন্তানেরা জিঘাংসা আর ঘৃণা নিয়ে পরস্পরকে স্মরণ করে। ক্লান্তিকর দুঃখজনক সব ঘটনা!
এই লোভ বিষয়টা অদ্ভুত, অদ্ভুত লাগে জমিজমার নেশার ব্যাপারটাও। প্রায়ই যখন ঢাকার পথ দিয়ে একলা হাঁটি, প্রাসাদোপম বিশাল অট্টালিকা কিংবা ঝাঁ-তকতকে বাড়ির সামনে দিয়ে যাই, মনে হয় এইখানে আজ ১০০ বছর আগেও কেউ থাকতো না, কিংবা যারা থাকত তারা কেউ নেই এখন। কেউ থাকে না, থাকতে পারে না। মাতবর আলিমুদ্দিন সাহেব হোক, গডফাদার কালামিয়া হোক, একসময় তারা বৃদ্ধ হয়। নিজ কর্মের ফল তাদেরকে পাকড়াও করে, মৃত্যু আর অপমানে তারা হয় ইতিহাস। তাদের সম্পদগুলো পরের প্রজন্ম লুটেপুটে খায়, কয়েক যুগ পরে তারা হারিয়ে যায়। কয়েকশত বছর পরে কেউ তাদের নামও উচ্চারণ করে না। রাস্তাঘাট-স্কুলকলেজ নামকরণ করে গেলেও তাদের নাম উচ্চারণে কারো অনুভূতি থাকে না কারো। এটাই নিয়ম।
এতসব সম্পদের, ভোগের, জমিজমা আর বাড়ি-গাড়ির হম্বিতম্বির কোন মানে নেই। এই ক্ষণস্থায়ী পৃথিবীতে আমরা মুসাফির। সবাইকে যেতেই হবে, কিছুই তখন পাশে রবে না। ভালোবাসার প্রিয়জন, প্রিয় সম্পদ, প্রিয় বাড়ি, প্রিয় গাড়ি --সবই আসলে বিভ্রম! কেবল সৎকর্মরাই প্রকৃত বন্ধু! আল্লাহ যেন আমাদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত ও অভিশপ্তদের দলে ফেলে না দেন। আল্লাহ যেন আমাদেরকে অনন্তকালের সফলদের মাঝে অন্তর্ভুক্ত করেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ আমাদের রব, তারই কাছে আমাদের ফিরে যেতে হবে..
বর্ষণস্নাত তিলোত্তমা নগরী,
২২ জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মূল্যবান মতামত জানিয়ে যান লেখককে