ইদানিং সবকিছুতে একটা ভিন্ন দ্যোতনা খুঁজতে চেষ্টা করি, বা অন্য ভাষায় বলা
যায়, খানিক চেষ্টা করে সবকিছুর মাঝে ভিন্ন একটা মাত্রা খুঁজে পাই, একই
জিনিসটা অন্যরকম লাগে। আজকের মতন শত-শত দিন জুমু'আর সলাত শেষে দু'আ করেছি
ইমামের সাথে। আজকের কয়েক মিনিটব্যাপী লম্বা দু'আতে একটা বাক্য কানে আটকে
গেলো, "হে আল্লাহ! নেক কাজের প্রতি আমাদের ভালোবাসা তৈরি করে দিন।" বিশাল
মসজিদের সামনের মুসল্লিদের মাথার উপরে দিয়ে দূর সিলিংটার দিকে আমার দৃষ্টি
অস্পষ্ট হয়ে এই কথাটার অনুভূতিটা বুকের এমাথা থেকে ওমাথায় জানান দিতে
থাকলো। জীবনটাকে বদলে ক্রমাগত উন্নত করতে চেষ্টা করা এই আমার মতন করে
অনেকেই জানেন একটুখানি খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করা বা ভালো অভ্যাস তৈরি করা যেন
তিনফুট বেড়ের গাছ কোপানোর প্রতিটি মূহুর্তের মতন কঠিন।
এক বন্ধুর সাথে কথা বলছিলাম সেদিন পথের কোণে দাঁড়িয়ে, একজন ভিক্ষুক এসে হাত পেতে রইলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধী মহিলা। একটা কথার ভিতরে ছিলাম, কিছুটা বিধ্বস্তও, কিন্তু কিছু একটা দেয়া উচিত বুঝেও ওয়ালেট বের করে দু'টা পয়সা বের করার আগ্রহ পাচ্ছিলাম না। বন্ধু আমার যতটুকু কসরত করতে হত, তার চাইতে বেশিই করে সে দান করলো দেখলাম। সেদিন টের পাচ্ছিলাম, এটা বেশ ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ব্যাপার। এরকম শত-সহস্র ভালোকাজের সুযোগ পেয়েও হয়ত নিতে পারছি না। সবকিছুর পেছনেই সেই 'ভালোলাগা' এবং 'আকর্ষণ'। এই জিনিস তো আল্লাহর রাহমাতই বটে!
ভালো কাজের প্রতি ভালোবাসা তৈরি করে দিতে বলার এই দু'আ তাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভালোবাসা রইলে তখন সেই কাজে আকর্ষণ হয়, যত্ন থাকে। ভালো কাজগুলোই আমাদের 'ultimate investment' এবং বেঁচে থাকার নিত্য প্রয়োজনীয় সকল ভোগ্যপণ্য ও বস্তুই আমরা কবরের উপরের মাটিতে ফেলে চলে যাব। কথাগুলো লিখতে ও বলতে সহজ হলেও তার প্রয়োগ অনেক কঠিন, নিজের নফসের সাথে যুদ্ধ করতে হয়, নিজেকে শেখাতে হয়, ক্রমাগত, ধীরে ধীরে। আর পুরো ব্যাপারটাই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলার রাহমাত ব্যতীত সম্ভব নয়। তাই আল্লাহর কাছে দু'আ করতে হবে, যেন তিনি আমাদের জন্য ভালো কাজগুলো সহজ করে দেন।
ইদানিং মনে পড়ে, ছোটকালে আব্বুর পাশে যখন সলাত আদায় করতাম মাঝে মাঝে, তিনি সবসময়েই একটা দু'আ করতেন নিয়মিত, "হে আল্লাহ! আমার জন্য হালাল রিযিকের পথ উন্মুক্ত করে দিন, হারাম রুজির পথ বন্ধ করে দিন।"...... প্রায় দু'দশক পেরিয়ে আমি টের পাই, এই দু'আ কত দরকারী, কতটা ব্যাপক, কত গুরুত্বপূর্ণ। হে রাহমান, হে রাযযাক, হে গাফফার, আমাদের জন্য আপনার সিরাতাল মুস্তাকিমের পথে চলা সহজ করে দিন, আমাদেরকে কবুল করে নিন।
[০৩ মে, ২০১৩]
এক বন্ধুর সাথে কথা বলছিলাম সেদিন পথের কোণে দাঁড়িয়ে, একজন ভিক্ষুক এসে হাত পেতে রইলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধী মহিলা। একটা কথার ভিতরে ছিলাম, কিছুটা বিধ্বস্তও, কিন্তু কিছু একটা দেয়া উচিত বুঝেও ওয়ালেট বের করে দু'টা পয়সা বের করার আগ্রহ পাচ্ছিলাম না। বন্ধু আমার যতটুকু কসরত করতে হত, তার চাইতে বেশিই করে সে দান করলো দেখলাম। সেদিন টের পাচ্ছিলাম, এটা বেশ ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ব্যাপার। এরকম শত-সহস্র ভালোকাজের সুযোগ পেয়েও হয়ত নিতে পারছি না। সবকিছুর পেছনেই সেই 'ভালোলাগা' এবং 'আকর্ষণ'। এই জিনিস তো আল্লাহর রাহমাতই বটে!
ভালো কাজের প্রতি ভালোবাসা তৈরি করে দিতে বলার এই দু'আ তাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভালোবাসা রইলে তখন সেই কাজে আকর্ষণ হয়, যত্ন থাকে। ভালো কাজগুলোই আমাদের 'ultimate investment' এবং বেঁচে থাকার নিত্য প্রয়োজনীয় সকল ভোগ্যপণ্য ও বস্তুই আমরা কবরের উপরের মাটিতে ফেলে চলে যাব। কথাগুলো লিখতে ও বলতে সহজ হলেও তার প্রয়োগ অনেক কঠিন, নিজের নফসের সাথে যুদ্ধ করতে হয়, নিজেকে শেখাতে হয়, ক্রমাগত, ধীরে ধীরে। আর পুরো ব্যাপারটাই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলার রাহমাত ব্যতীত সম্ভব নয়। তাই আল্লাহর কাছে দু'আ করতে হবে, যেন তিনি আমাদের জন্য ভালো কাজগুলো সহজ করে দেন।
ইদানিং মনে পড়ে, ছোটকালে আব্বুর পাশে যখন সলাত আদায় করতাম মাঝে মাঝে, তিনি সবসময়েই একটা দু'আ করতেন নিয়মিত, "হে আল্লাহ! আমার জন্য হালাল রিযিকের পথ উন্মুক্ত করে দিন, হারাম রুজির পথ বন্ধ করে দিন।"...... প্রায় দু'দশক পেরিয়ে আমি টের পাই, এই দু'আ কত দরকারী, কতটা ব্যাপক, কত গুরুত্বপূর্ণ। হে রাহমান, হে রাযযাক, হে গাফফার, আমাদের জন্য আপনার সিরাতাল মুস্তাকিমের পথে চলা সহজ করে দিন, আমাদেরকে কবুল করে নিন।
[০৩ মে, ২০১৩]
Ameen. sundor dua
উত্তরমুছুন