ক'দিন আগে এক ভাই তাঁর লেখায় লিখেছিলেন লালমনিরহাটে এক স্কুলে বাচ্চারা খাওয়ার পূর্বে বিসমিল্লাহ না বলে বলে,বান্দা যীশুর নামে চাই! কী ভয়াবহ!
আমার জীবনের একটা বড় অভিজ্ঞতা ছিলো এই বছরের শুরুতে লালমনিরহাট ভ্রমণ--'মিশনারী রোডে' বাস থেকে নামতে যখন হলো, তখন টের পেয়েছিলাম এই শহরে 'মিশনারীরা' খুব তৎপর। পরবর্তীতে জেলা শহরের প্রাঙ্গনে যখন অজস্র চার্চ, চার্চ স্কুল, মিশনারী স্কুলের ভীড়ে তেমন কোন ন্যুনতম সরকারি/ইসলামিক প্রতিষ্ঠান তুলনা করার মতনও চোখে পড়লো না তখন টের পেয়েছি এই শহরে ওদের কর্মযজ্ঞ কী ভয়ংকর! এরপর আশেপাশে কয়েকটা মাদ্রাসা আর মক্তবে গিয়ে বুঝেছিলাম মিশনারীরা স্কুল দিয়ে, স্কুলে ফ্রি পড়িয়ে, স্কুলে চাল দিয়ে, মাঝে মাঝে বিভিন্ন গিফট দিয়ে কেমন করে মানুষকে তাদের দিকে আকর্ষণ করেছে। অর্থকষ্টে থাকা বাবামায়েরা সন্তানদের জন্য ইসলামিক স্কুলগুলোর আবেদন হারিয়ে 'মিশনারী স্কুলে' এগিয়ে যাচ্ছে।
এটা কোন কল্পকাহিনী নয়, চরম বাস্তব; তিক্ত ও কষ্টকর বাস্তব। যদিও ঈমান টাকা দিয়ে কেনার বিষয় নয়। কিন্তু ওরা ক্রমাগত পাশে থেকে, তাদের 'যীশুর নামে' শিখিয়ে আমাদের মুসলিম সন্তানদের পরিচয় ভুলিয়ে দিচ্ছে। যাদের পূর্বপুরুষেরা এই মাটিতে একসময় ইসলামের শত্রু বৃটিশ কর্মচারীদের হাতে, হিন্দু জমিদারদের হাতে অত্যাচারিত আলেম,ফকিরদের কাছ থেকে দাওয়াত পেয়ে ইসলামকে আঁকড়ে ধরেছিলেন, তারাই আজ প্রভু যীশুর কাছে 'চাইছে'! চরম কষ্টলব্ধ যেই ঈমান, তাকে কত অবহেলায় আমরা ভাসিয়ে দিচ্ছি যখন এই ঈমানের পরীক্ষা দিতে শিশুরা, কিশোররা, মায়েরা বোমার অপেক্ষায় মৃত্যুর প্রহর গুণছে ইরাকে, সিরিয়ায়, ফিলিস্তিনে...
আমাদের পরীক্ষাও হয়ত খুব দূরে নয়। নিজের ও পরের প্রজন্মের জন্যও এখন থেকেই তুমুল কাজ করতে হবে আমাদের। "সরোবর" একটা দারুন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে তা হলো, লালমনিরহাটে মাদ্রাসা করা হবে। সেখানে জমি নেয়া, অবকাঠামো তৈরির জন্য অর্থের প্রয়োজন। আমরা সেখানে সাহায্য করতে পারি যাতে সেখানে মিশনারীদের অপতৎপরতার কাজের প্রভাব কিছুটা লাঘব করা যায়। আর নিজের লাভ তো অনেক। কারণ সাদকায়ে জারিয়াহ হিসেবে ওই মাদ্রাসা যতদিন থাকবে,ততদিন আমার আমলনামায় সওয়াব লেখা হতে থাকবে,সুবহানাল্লাহ!
@ সরোবরে অবদান রাখতে চাইলে যোগাযোগ করুন: sharif@shorobor.org
[ফেসবুক। আগস্ট, ২০১৪]
আমার জীবনের একটা বড় অভিজ্ঞতা ছিলো এই বছরের শুরুতে লালমনিরহাট ভ্রমণ--'মিশনারী রোডে' বাস থেকে নামতে যখন হলো, তখন টের পেয়েছিলাম এই শহরে 'মিশনারীরা' খুব তৎপর। পরবর্তীতে জেলা শহরের প্রাঙ্গনে যখন অজস্র চার্চ, চার্চ স্কুল, মিশনারী স্কুলের ভীড়ে তেমন কোন ন্যুনতম সরকারি/ইসলামিক প্রতিষ্ঠান তুলনা করার মতনও চোখে পড়লো না তখন টের পেয়েছি এই শহরে ওদের কর্মযজ্ঞ কী ভয়ংকর! এরপর আশেপাশে কয়েকটা মাদ্রাসা আর মক্তবে গিয়ে বুঝেছিলাম মিশনারীরা স্কুল দিয়ে, স্কুলে ফ্রি পড়িয়ে, স্কুলে চাল দিয়ে, মাঝে মাঝে বিভিন্ন গিফট দিয়ে কেমন করে মানুষকে তাদের দিকে আকর্ষণ করেছে। অর্থকষ্টে থাকা বাবামায়েরা সন্তানদের জন্য ইসলামিক স্কুলগুলোর আবেদন হারিয়ে 'মিশনারী স্কুলে' এগিয়ে যাচ্ছে।
এটা কোন কল্পকাহিনী নয়, চরম বাস্তব; তিক্ত ও কষ্টকর বাস্তব। যদিও ঈমান টাকা দিয়ে কেনার বিষয় নয়। কিন্তু ওরা ক্রমাগত পাশে থেকে, তাদের 'যীশুর নামে' শিখিয়ে আমাদের মুসলিম সন্তানদের পরিচয় ভুলিয়ে দিচ্ছে। যাদের পূর্বপুরুষেরা এই মাটিতে একসময় ইসলামের শত্রু বৃটিশ কর্মচারীদের হাতে, হিন্দু জমিদারদের হাতে অত্যাচারিত আলেম,ফকিরদের কাছ থেকে দাওয়াত পেয়ে ইসলামকে আঁকড়ে ধরেছিলেন, তারাই আজ প্রভু যীশুর কাছে 'চাইছে'! চরম কষ্টলব্ধ যেই ঈমান, তাকে কত অবহেলায় আমরা ভাসিয়ে দিচ্ছি যখন এই ঈমানের পরীক্ষা দিতে শিশুরা, কিশোররা, মায়েরা বোমার অপেক্ষায় মৃত্যুর প্রহর গুণছে ইরাকে, সিরিয়ায়, ফিলিস্তিনে...
আমাদের পরীক্ষাও হয়ত খুব দূরে নয়। নিজের ও পরের প্রজন্মের জন্যও এখন থেকেই তুমুল কাজ করতে হবে আমাদের। "সরোবর" একটা দারুন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে তা হলো, লালমনিরহাটে মাদ্রাসা করা হবে। সেখানে জমি নেয়া, অবকাঠামো তৈরির জন্য অর্থের প্রয়োজন। আমরা সেখানে সাহায্য করতে পারি যাতে সেখানে মিশনারীদের অপতৎপরতার কাজের প্রভাব কিছুটা লাঘব করা যায়। আর নিজের লাভ তো অনেক। কারণ সাদকায়ে জারিয়াহ হিসেবে ওই মাদ্রাসা যতদিন থাকবে,ততদিন আমার আমলনামায় সওয়াব লেখা হতে থাকবে,সুবহানাল্লাহ!
@ সরোবরে অবদান রাখতে চাইলে যোগাযোগ করুন: sharif@shorobor.org
[ফেসবুক। আগস্ট, ২০১৪]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মূল্যবান মতামত জানিয়ে যান লেখককে