২৯ জানু, ২০১৩

আলাপন : কুরআনকে বুঝতে হবে যেই উপায়ে

বয়ঃসন্ধিকালের সেই কিশোর সময়ের মতন মিটমিট করে হাসি, আবার খানিক পরে ভেউ ভেউ করে কাঁদি। কেউ খেয়াল করে দেখলে হয়ত আমাকে পাগলই ঠাওরাবে। অথচ আমার মনে হচ্ছিলো, কুরআনের আলোচনা কেমন করে জীবনকে পালটে দেয়! সকালে আলোচনা শুনতে শুনতে ভাবছিলাম -- তারুণ্যের সময়টায় ভেসে যেতে যেতে কখনো বুকের পুরোটা জুড়ে প্রশান্তির এই বাতাস আবার কখনো অনুভব করতে পারব। বাসে চড়ে জানালার পাশে বসে এয়ারপোর্ট রোড পার হবার সময় হেডফোনে বক্তার কাছে অর্ধপৃথিবীর শাসক উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু এর জীবনের কান্নাকাটির ঘটনা শুনে ভেজা চোখ মুছতে গিয়ে আমার লজ্জা আর সংকোচটুকু চলে গেল।

২৮ জানু, ২০১৩

আলাপন : যৌবনে দিনযাপন এবং মার্কিনির আলোচনায় মুগ্ধতা

{ ক }

তরুণদের টগবগে রক্ত, অনেক শক্তি, অনেক আবেগ, উন্মাদনায় সহজেই উথলে পড়ে চেতনা -- তাই আমাদের দ্বীনের শৃংখলার দিকে ভ্রূক্ষেপ করা হয়না। আমরা ঠিক পাত্তা দিতে চাইনা। অথচ, এই যুবক বয়সের ইবাদাত আর দ্বীনের কাজকে আল্লাহ সবচাইতে বেশি পছন্দ করেন।

মাঝে মাঝে চেষ্টা করতে করতে আমাদের মনে হতে পারে, আমরা বুঝি কোন উন্নতিই করছিনা। ক্লান্ত লাগতে পারে ক্রমাগত প্রচেষ্টার পরেও উল্লেখযোগ্য কোন পরিবর্তন জীবনে দেখতে না পেয়ে। কিন্তু আসলে ব্যাপারটা সঠিক নয়। যখন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কোন চেষ্টা কেউ করে, সেইই তো সফল। এই দুনিয়ায় কেবলমাত্র আল্লাহ তা'আলার পছন্দের কাজের মাধ্যমে তার সন্তুষ্টি অর্জন করার উদ্দেশ্যে যদি ঘর থেকে একটা পা দিয়ে কেউ বের হয় -- সেই মানুষটি তার জীবনের সবচাইতে বড় সফলতায় থাকে সেই মূহুর্তটায়।

২৭ জানু, ২০১৩

আলাপন : খুব অসহায় আমি, অভাবী আমি !

ঘুরে-ফিরে খুব পরিষ্কার করে উপলব্ধি হয়, প্রতিটি মানুষ আসলে খুবই অসহায় আর দুর্বল। এই পৃথিবীতে একজন মানুষের কোনই শক্তি নেই, সে আপনাকে সাহায্য করার সামর্থ্য রাখেনা, আপনাকে যত্ন-আত্মি ও ভালোবাসার নিশ্চয়তা দিতে পারেনা। তবু অনেক ভুল ধারণার বিভ্রমে আমরা দিব্যি ডুবে থাকি, তার অনেকগুলো কারণের একটা হলো আমরা কারো জীবনের সবটুকু জানতে পারিনা, দেখিনা। প্রতিটি মানুষই সবসময়েই একটা যুদ্ধের মধ্যেই দিনাতিপাত করেন। এর মধ্যে যেই মানুষগুলো নিজেকে ছাপিয়ে অন্যের উপকারার্থে কাজ করেন, নিজেদের বিলিয়ে দেন -- তাদেরকে দেখলে আমাদের চোখের আলো জ্বলে উঠে, আমাদের অন্তরে ঢেউ খেলে যায়। এই মানুষগুলো আমাদের জন্য আল্লাহর রাহমাত, কিন্তু তারাও দুর্বল। একটা ছোট্ট রোগ এলেই তারা ধরাশায়ী হয়ে যেতে পারেন। আমাদের শক্তির সীমানা খুবই সীমিত।

২৬ জানু, ২০১৩

ইন্টারনেটের ভালো দিক হয় এমন কিছু ভিডিও দেখতে পাওয়ার মাঝে

Leaving a Legacy by Imam Suhaib Webb : www.youtube.com/watch?v=B_GmrGr1Brc

সুবহানাল্লাহ, খুব সুন্দর একটা আলোচনা দেখে এত্তো এত্তো জিনিস শিখলাম!! ইমাম সুহাইবকে ভালো লাগে এই কারণে। একগাদা কঠিন জিনিসকে কী অবলীলায় অল্প কিছুক্ষণের আলোচনায় বলে দিলেন। আমেরিকার তরুণদের উদ্দেশ্যে বলা বক্তব্যগুলো বাংলাদেশের নামকাওয়াস্তে মুসলিম পরিবেশে গড়ে ওঠা আমার মতন ছেলেদের জন্য আদর্শ টাইপের লাগে। উপভোগ্য এবং জ্ঞানময় আলাপ। শুরু করার পর শেষ করে খেয়াল হয় যে এতক্ষণ শুনছিলাম কিছু।

ইন্টারনেট ব্যবহারের ব্যাপারে কেউ যদি আমাকে জিজ্ঞাসা করে, সবচাইতে সেরা জিনিস কোনটি? আমি উত্তরে বলব, সারাবিশ্বের সমস্ত সেরা স্কলারদেরকে আমি আমার স্ক্রিণে পাচ্ছি। যেখানে একসময় হয়ত এই তরুণরা ব্যান্ডের গান শুনত স্ক্রিণজুড়ে, তারা এখন ইউটিউবে দারুণ দারুণ আলোচনা শুনতে পারছে যা মনকে দিচ্ছে নিত্য নতুন চিন্তার খোরাক, জীবনকে নতুন চোখে দেখার, নতুন গভীরতায় আবিষ্কারের উপায়। এই লেকচারের সারমর্ম বলতে পারবনা। এটা দেখার পর চিন্তার আলোড়ন আর উপলব্ধি থেকে ইতিমধ্যে দুইটা লেখা লিখে ফেলসি, এরকম আরো প্রায় ১০টার মতন বিষয় পেয়েছি চিন্তাভাবনার। সময় পেলে, সুযোগ পেলে, ইচ্ছা করতে পারলে দেখে ফেললে ইনশা আল্লাহ ভালো হবে, খারাপ হবেনা। :)

২৬ জ়ানুয়ারি, ২০১৩

২২ জানু, ২০১৩

আলাপন : সুখ-দুঃখ ও অ্যানাদার চান্স

{ ১ }

অনেক কসরত করে কয়েক সপ্তাহ ধরে ক্রমাগত ফোন দিতে দিতে গতকাল এক বন্ধুর সাথে সাক্ষাত করলাম দু'টি কথা বলব বলে। আলোকিত অন্তরের সাথে সাক্ষাতের জন্য গিয়ে দেখি সে কেমন ম্লান হয়ে আছে। নিজের মনের কথা বলতে গিয়ে এই হাল দেখে কিছুক্ষণের মধ্যে নিজেকে উলটে দিয়ে জোর করে উদ্দীপ্ত করে সমস্ত সামর্থ্য দিয়ে তাকেই অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করলাম। এমনই হয় আমার জীবনের বরাবরই... 

২১ জানু, ২০১৩

মনে জমানো রাখা রাগ-ক্ষোভের ক্ষতি কী? কীভাবে সামলানো যেতে পারে?

ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানাপোড়েনে মনে হয় আমরা সবাই কমবেশি থাকি। আর সেই টানাটানি প্রভাব ফেলতে থাকে আমাদের মনের স্বাভাবিকতায়। যেমন ধরুন, অনেকেই যেচে পড়ে অপকার করেন, কেউ কেউ বিশ্বাসভঙ্গ করেন, কারো প্রতি অভিমান হয় কারণ তারা কথা দিয়ে কথা রাখেন না। খুব কাছের মানুষদের কাছ থেকে 'এক্সপেকটেশন' তৈরি হলেও তারা সেই ব্যাপারগুলোকে অগ্রাহ্য করেন... আবার অনেক সময় কিছু মানুষের অপরাধকে আমরা কিছুতেই ক্ষমা করতে পারিনা কারণ তাদের অপরাধ/ভুল তারা বারবার করতে থাকেন -- এরকম আরো অনেক রকমের ঘটনায় আমাদের মনকে সামলাতে একটা দুরূহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়।

১৮ জানু, ২০১৩

একটি জুমু'আর দিন এবং সালাহউদ্দিন আল আইয়ুবির কথা স্মরণ


সপ্তাহের সেরা দিনটি জুমু'আহ -- একথা অনেকবার পড়লেও তা আমার মতন মানুষের জন্য কত বড় রাহমাত তা আজকে আবার টের পেলাম। সুবহানাল্লাহ। ফাটাফাটি ইমাম সাহেব পেয়েছি এলাকার মসজিদে -- সাহসী, সত্যভাষী, অসাধারণ! এমন মানুষ যদি সবগুলো মসজিদেই থাকত! সমাজের এই অবস্থা, বিশ্বের এই অবস্থার কারণ যে আল্লাহ ও রাসূলের জীবনকে না মেনে চলা --এই আলাপগুলো এত অল্প সময়ে এত সুন্দর করে বুঝিয়ে দেয়া তো দূরে থাক, বেশিরভাগ ইমাম সাহস করেনা মসজিদে বলার। সবাই জান্নাতের সৌন্দর্য বর্ণনা করতে থাকেন, নামাজ আর রোজার কথা বলেন। যাকাতের কথা, সমাজের অন্যায় ছড়িয়ে যাওয়ায় ন্যায়কে প্রতিষ্ঠার কথা বলেন না কেউই -- তাতে হয়ত ইমামতির চাকরিটা ছুটে যাবার আশঙ্কা থাকে। আল্লাহই ভালো জানেন।

১৫ জানু, ২০১৩

আলাপন : স্কলারদের মতপার্থক্য নিয়ে কী করা যেতে পারে

কিছু বিচ্ছিন্ন অথচ তীব্র উপলব্ধি হলো গতকাল থেকে। শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়্যা (রাহিমাহুল্লাহ) এর জীবনের উপরে একটা বই পড়তে শুরু করেছি। ত্রয়োদশ শতকের সময়গুলো চোখে যেন ভেসে উঠছিল। অদ্ভুত কষ্ট বারবার আমাকে আঁকড়ে ধরছিল। বিগত প্রায় দু'সপ্তাহ ধরে আমি আছি অতীতে। ইমাম আনওয়ার আল আওলাকীর আলোচনায় নবী-রাসূলদের জীবন, আর এদিকে হাতে আমার এই বই। চোখের সামনে শুধু ইতিহাসের প্রতিবিম্ব দেখতে পাচ্ছি যেন। একদিকে হযরত আদম আলাইহিস সালাম, নূহ (আ), হুদ (আ), সালেহ(আ), ইবরাহিম(আ), লূত(আ) পেরিয়ে হযরত শু'আইব আলাইহিস সালামের জীবন জানতে গিয়ে বারবারই যেন পরিষ্কার হচ্ছিলাম -- আমাদের চলমান সমাজের সমস্ত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সমস্যাবলীর প্রতিচ্ছবি আমাদের পূর্ববর্তী নবী ও রাসূলদের জীবনের পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে। ইদানিং পড়তে গিয়ে আমার প্রচন্ড আফসোস হয়, এতগুলা বছর নষ্ট করেছি জীবনে -- তেমন কিছুই জানিনা। জীবনে আমি কতবারই তো বলেছি, আমার আদর্শ নবী ও রাসূলগণ এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। অথচ আমি তাদেরই কিছু জানিনা। আর জানিনা বলেই কাজের ক্ষেত্রে চরম শৈথিল্য ও দুর্বলতা কাজ করে। আসলে আমাদের জ্ঞানের দৈন্যতা কল্পনাতীত। কুরআনের, নবী-রাসূলদের সীরাহ-র জ্ঞানের কোন বিকল্প নেই।

১১ জানু, ২০১৩

একটা জীবন আর অনন্তযাত্রার কথা

আমার কাছে মনে হয় প্রতিটা মানুষের জীবনই একেকটা মর্মস্পর্শী উপন্যাস হতে পারত। ঔপন্যাসিকরা তো তাদের দু'চোখ দিয়ে দেখা ঘটনা ও জীবনদর্শনগুলো থেকে লিখেন। অথচ কত কথাই তো লুকিয়ে থাকে প্রত্যেকটি মানুষের জীবনের পরতে পরতে, প্রতিদিন। তারা হয়ত লিখতে পারেন না/লিখেন না বলে তা হারিয়ে যায় কালান্তরে...

আলাপের বিষয় যেমনই হোক ভাষা সুন্দর হতে হবে? কেমন করে?

কিছুদিন আগে আল্লাহর দ্বীনের জ্ঞানে আলোকিত একজন মানুষের আলোচনা শোনার সৌভাগ্য হয়েছিল একটি হালাকাতে। হাদিস শরীফ থেকে আলোচনা হচ্ছিলো, তখন হজ্জ্বের বিষয় আসার কয়েকটি বিষয় এসেছিলো যা প্রাপ্তবয়ষ্কদের জন্য আলোচনা। আলোচনার সময় হাদিসটির একটি অংশ উদ্ধৃত করার পর উপস্থিত সবাইই ব্যাপারটা বুঝেছিলেন -- কথাগুলো এবং বিষয়টি উল্লেখের ভাষা এতটাই সুন্দর ছিল যে আমি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম ভাষার ব্যবহার দেখে। কেন যেন চোখ ভিজে এসেছিল যখন আলোচক বিষয়টি নিজে থেকেই পুনর্বার উল্লেখ করলেন এবং বললেন, আমাদের দ্বীন সবকিছু নিয়েই কথা বলে, সবকিছু নিয়েই আমাদের নির্দেশনা আছে। যখন স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের একান্ত বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলা হয়, তখন তার ভাষাও থাকে উন্নত, চমৎকার। সাহাবা আজমাঈন অনেক বিষয়ের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এমন সুন্দর ভাষাই ব্যবহার করতেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন সেরা মানুষ। তিনি আমাদেরকে সেরা শব্দগুলোই শিখিয়ে গিয়েছেন। সত্যিই হাদিসগুলোর ভাষাশৈলী খুব অসাধারণ। আমি এমনিতেই শব্দ সংক্রান্ত বিষয়ে আগ্রহী থাকি বলে হাদিসটি শোনার সময়েও শব্দালংকারের ব্যাপারটা এমনিতেই খেয়াল করছিলাম -- তখনই মুগ্ধ হয়েছিলাম। আমাদের দ্বীন জীবনবিমুখ নয়, বরং খুব বেশি জীবনমুখী, যা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রকেই আলোকিত করে।

১০ জানু, ২০১৩

আল্লাহকে ভুলে গেলে আল্লাহ আমাকেই ভুলিয়ে দিবেন

আলহামদুলিল্লাহ ! জীবনের আরেকটা প্রশ্নের উত্তর পেলাম। অনেকদিন যাবত নিজের উপরে প্রচন্ড বিরক্ত হয়ে শুধু চারপাশ থেকে খুঁজছিলাম আমার প্রশ্নের উত্তর। হযরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম এবং হযরত যাকারিয়া আলাইহিস সালামের জীবন জানতে গিয়ে অন্ধকার কেটে গেলো! আজকে মনে হচ্ছে, নিজের জন্য খুব শক্তপোক্ত একটা রিমাইন্ডার দরকার, নিজেই যেন নিজেকে সবসময় বোঝাতে পারি -- আমাদের জীবনের যত *ধরণের* সমস্যা ও প্রশ্ন তার সবই উত্তর ও সমাধান হিসেবে এই দুনিয়ার মাঝে ছড়িয়ে আছে। সেরা মানুষগুলোর জীবনের মাঝেই। শুধু জানতেই যত দেরি। তাই প্রচুর চেষ্টা করতে হবে জ্ঞানার্জনের...

হায়! ঈমান যদি মজবুত থাকে তাহলে মুসলিম হিসেবে কখনই আমাদের শরীরের-চারপাশের সমস্যাগুলো অন্তরকে স্পর্শ করতে পারার কথা ছিলনা। এই একটা কথাকেই জীবনে ক'দিন পর পর নিত্য নতুন উপায়ে উপলব্ধি করি। বারবার নিজের ক্ষুদ্রতা আর অজ্ঞতা দেখে লজ্জিত হই। নিশ্চয়ই সমস্ত জ্ঞানের মালিক আল্লাহ, সমস্ত ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কল্যাণ কেবল তারই রাহমাত, মুসলিমদের জীবনের কষ্ট, ভয়, ক্ষুধা, দারিদ্র তো আল্লাহরই পাঠানো পরীক্ষা। সবরুন জামিলের চাইতে কল্যাণ আর কীসে? আমার রব আমি এই পৃথিবীতে আসার আগেই তিনি একটা গ্রন্থে সবকিছু প্রস্তুত করে রেখে দিয়েছিলেন। এই ক্ষুদ্র অকৃতজ্ঞ আমাকেও তিনি ফেলে দেননি কখনো... ভাবতে গিয়ে কেমন যেন আপ্লুত হয়ে যাই... । কখনো  আল কুরআন সম্পূর্ণটা অর্থসহ পড়ে দেখা হয়নি... তাই হয়ত মনে-প্রাণে-বোধে এত দারিদ্র আমার!

নিজের জন্য এই সময়ের কিছু অমূল্য স্মরণিকা --

♥♥ "তোমরা তাদের মত হয়ো না যারা আল্লাহকে ভুলে যাওয়ার কারণে আল্লাহ তাদের নিজেদেরকেই ভুলিয়ে দিয়েছেন। তারাই ফাসেক।" [সূরা হাশর ১৯] ♥♥

♥  "আমি জীবন দান করি, মৃত্যু ঘটাই এবং আমারই দিকে সকলের প্রত্যাবর্তন।" [সূরা ক্বাফ - ৪৩]
♥ " তোমাদের পালনকর্তা বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি সাড়া দেব। …" [সূরা গাফির - ৬০]
♥ "…নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের প্রতি অনুগ্রহশীল, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে না।" [সূরা গাফির - ৬১]
♥ " তিনিই জীবিত করেন এবং মৃত্যু দেন। যখন তিনি কোন কাজের আদেশ করেন, তখন একথাই বলেন, হয়ে যা'-তা হয়ে যায়।" [সূরা গাফির - ৬৮]
♥ "আল্লাহর প্রতি নির্ভর করো। কর্ম সম্পাদনের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট।" [আল আহযাব - ৩]
♥ "হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে বেশী করে স্মরণ করো এবং সকাল সাঁঝে তাঁর মহিমা ঘোষণা করতে থাকো।" [আল আহযাব : ৪১-৪২]
♥ "…হে আমাদের পরওয়ারদেগার আমাদের জন্য ধৈর্য্যের দ্বার খুলে দাও এবং আমাদেরকে মুসলমান হিসাবে মৃত্যু দান কর"। [সূরা আল আ'রাফ - ১২৬]
♥ "…নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং অপবিত্রতা থেকে যারা বেঁচে থাকে তাদেরকে পছন্দ করেন।" [আল বাকারা ২২২]
♥ "…আর আল্লাহর চেয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষায় কে অধিক?…" [আত তাওবাহ ১১১]
 

৯ জানু, ২০১৩

হারিয়ে যাওয়া লজ্জা

জীবনে আমি অনেক কিছুর জন্য আফসোস করেছি। অন্যতম একটার কথা আজকে সায়্যিদিনা লুত আলাইহিস সালামের জীবন সম্পর্কে জানতে গিয়ে আলোচনার সময় মনে পড়লো। তা হলো -- লজ্জা। ক্লাস সেভেন-এইটে পড়তাম যখন, বন্ধুদের অনেকেই মেয়েদের নিয়ে আমাকে প্রশ্ন করলে লজ্জা পেতাম। বয়ঃসন্ধিকালের অনেক বড়দের সামনে বলা নিষিদ্ধ কথাবার্তাতেও ভীষণ লজ্জা হত। লজ্জার কারণে আমাকে খোঁটা মেরে 'লজ্জাবতী' বলে ডাকত বন্ধুদের অনেকে। 'আরে ব্যাটা ছেলে হইসিস এত লাজুক হইলে চলে? -- আমার পৌরুষত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা এমন মন্তব্যে পরের অনেক বছর লজ্জা দূরীকরণে অনেক 'পদক্ষেপ' নিয়ে ফেলেছিলাম। হায় আফসোস। চলমান অতি-আধুনিক অসভ্য সমাজের অনেক কিছুতেই আমি এতটাই মিশে স্বাভাবিক হয়ে গেছি, যা হয়ত একসময় আমার কাছে দুঃস্বপ্ন ছিল।

অথচ ক'দিন আগে দু'টো হাদিস পড়ছিলাম রিয়াদুস সলিহীন থেকে। আমাদের দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ মানুষটা লজ্জার ব্যাপারে কেমন ছিলেন জানার পরে কষ্টে বারবার মনে হচ্ছিল -- যা ছিল তাকে ধরে রাখলে কতটাই না ভালো হত। যা চলে গেছে, তাকে ফিরিয়ে আনা বড়ই কষ্টসাধ্য। কোথায় যেন পড়েছিলাম, আমাদের দ্বীনের একটা অন্তর্নিহিত সৌন্দর্য হচ্ছে -- 'হায়া' বা লজ্জা। এই জিনিসের উপস্থিতিই আমাদের দ্বীনকে সুন্দর করে। দ্বীনদার মানুষদেরকেও সুন্দর করে। চারপাশের জগতে মনে হয় এই জিনিসটা ছেলে-মেয়ে ব্যতিরেকে সবার মধ্য থেকেই বিলুপ্ত হবার পথে। যেদিন হিসেবের মুখোমুখি হতে হবে, কী নিয়ে যাব আমরা আল্লাহর কাছে? চেষ্টা কি করি?

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
♥ "লজ্জাশীলতা কল্যাণই বয়ে আনে" [বুখারী ও মুসলিম]
মুসলিমের এক বর্ণনায় এরূপ রয়েছেঃ "লজ্জাশীলতার পুরোটাই কল্যাণময়।"♥
#রিয়াদুস সলিহীন : ৬৮২

হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
♥ "রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পবিত্র পর্দানশীন কুমারী মেয়েদের চাইতেও বেশি লজ্জাশীল ছিলেন। কোন বিষয় তাঁর দৃষ্টিতে অপছন্দনীয় হলে তাঁর চেহারা দেখেই আমরা তা (তাঁর অসন্তুষ্টি) আঁচ করে নিতাম।" ♥ [বুখারী, মুসলিম]
# রিয়াদুস সলিহীন : ৬৮৪

বিশেষজ্ঞ আলিমগণ লজ্জাশীলতার সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছেনঃ এটি এমন একটি গুণ যা ঘৃণিত ও বর্জনীয় জিনিস পরিহার করতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে এবং প্রাপকের প্রাপ্য যথাযথভাবে পৌঁছে দিতে বাধ্য করে। আবুল কাসিম জুনাইদ (র) লজ্জাশীলতার নিম্নোক্ত সংজ্ঞা দিয়েছেনঃ
লজ্জাশীলতা হলো, মানুষ প্রথমত আল্লাহর অপরিসীম দয়া, অনুগ্রহ ও ইহসানের প্রতি লক্ষ্য করবে, তারপর নিজের ত্রুটি ও অক্ষমতা সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা করবে। এ উভয়বিধ চিন্তার ফলে মানসপটে যে ভাবের উদয় হয়, তাকেই বলা হয় লজ্জাশীলতা।

৬ জানু, ২০১৩

আলাপন : মৃত্যু ভুল ও সংশোধন

{ ১ }

এই পৃথিবী চিরস্থায়ী জায়গা নয়, বরং উল্টোটা। অবশ্যম্ভাবী মৃত্যুর বার্তা নিয়েই আমাদের এই জগতে পদার্পণ। আমরা অনেক সুন্দর বাড়ি বানিয়ে তাতে চিরকাল থাকতে পারব না, আমরা অনেক সুন্দর বাগানবাড়িতে দামী ফুল লাগিয়ে তাতেও অনেক অনেক বছর থাকতে পারব না। আমাদের সন্তান-সন্ততি প্রিয়জনদের বুকে জড়িয়ে ভালোবাসার উত্তাপ অনুভব করতে পারব না চিরকাল। এখানে সবই খুব অল্প সময়ের জন্য। এটাই বাস্তব।

যেদিন আমরা পরিষ্কারভাবে আমাদের তুচ্ছ জীবনের মৃত্যুর কথা সত্যিকারভাবে ভাবতে পারব -- সেদিনই হয়ত আমাদের আচরণ কিছুতেই আর মোহগ্রস্তদের মতন হবেনা। আমি জানি, আমি সত্যিকার মৃত্যুকে, কবরের ঘুটঘুটে অন্ধকারের কথা ভাবতে পারিনি আগে -- যখন জানতাম না সেখানে কতটা কঠিনভাবে থাকতে হবে। বাসা থেকে বের হবার সময় মাঝে মাঝে যখন মনে হয় -- কোনদিন হয়ত এভাবেই আর ফেরা হবেনা, বুক মোচড় দিয়ে ওঠে। যতটা না পেছনে রেখে যাওয়া প্রিয় জিনিসের কারণে, তার চাইতে আতঙ্ক আমার কী জমাতে পেরেছি তার জন্য।

৫ জানু, ২০১৩

স্বপ্নচারণ গ্রন্থচারণ

ঘরের যেই ছোট্ট কোণে আমার বসবাস, তার একহাত দুরত্বে সাজানো আমার রত্নভান্ডারের একাংশ। আলোকিত মানুষদের কাছ থেকে এখনো তেমন কিছু নিতে পারিনি জীবনে... চেষ্টায় আছি!






♥ "... হে আমার পালনকর্তা, আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন।"♥

-- [সূরা আত ত্বা-হা : ১১৪]

আমরা তো প্রার্থনা করতে শিখেছি মুসা আলাইহিস সালামের মতন করে : 

♥ ".. হে আমার পালনকর্তা আমার বক্ষ প্রশস্ত করে দিন। এবং আমার কাজ সহজ করে দিন। এবং আমার জিহবা থেকে জড়তা দূর করে দিন।" ♥ 

-- [সূরা আত ত্বা-হা : ২৫-২৭]

#স্বপ্নচারণ #গ্রন্থচারণ

আলাপন : বেড়ে ওঠা

{ ১ }

জীবনের ঘটনাগুলোতে খুব কমই আমাদের নিয়ন্ত্রণ থাকে। ভাবি এক, হয় আরেক। নিজের সামর্থ্য আর জীবনে মুখোমুখি হওয়া ঘটনার পার্থক্য যোজন যোজন। আমার জীবনে এই অসীম ব্যবধান কখনো কমে না। চেষ্টা করতে করতে একসময় খেই হারিয়ে যায়। সবার জীবনের কথা জানিনা, আমার এই ক্রমাগত যুদ্ধেই জীবন কেটে যায়...

তখনই বোধহয় উপলব্ধি হয়, এই পৃথিবীতে বেশিদিন থাকতে আসিনি, অতকিছু পেতেও আসিনি। যা হারাবার, তা আমার কখনো ছিলনা। বরং সাথে যা আছে, তাও তো আমার ছিলনা। আমি এসেছিলাম শূণ্য হাতে। এক টুকরো কাপড়ও গায়ে ছিলনা, তবে এত কীসের প্রাপ্তির চিন্তা? মিশে যাও মাটির সাথে যুবক। পৃথিবীতে অক্ষমতা, অযোগ্যতার লজ্জা তোমাকে চিনিয়ে দিক -- মাটি দিয়ে তৈরি তুমি মাটিতেই মিশবে... কীসের বিভ্রমে মেতে ওঠা তোমার?

০৩ জানুয়ারি, ২০১৩ 


{ ২ }

প্রতিটি দিনই তো আমরা সবাই বেড়ে উঠছি একটু একটু করে; হয়ত জ্ঞানে, নয়ত তিক্ত-মধুর অভিজ্ঞতায়। জীবনের একটা উপলব্ধি খুবই প্রগাঢ় হচ্ছে দিন দিন, তা হলো -- পরিণত (matured) এবং বড় হবার অর্থ আসলে অনেক জায়গাতে কথা বলা নয়, অনেক কথা অনেকজনকে বলা নয়; বরং কোথায় কথা না বলা উচিত, কোথায় কম বলা উচিত, কোথায় কীভাবে বলা উচিত সেই ব্যাপারে সতর্ক এবং খেয়ালী থাকা।

 ♥ “হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সঠিক কথা বলো।” ♥ 
-- [সুরা আহযাব ৭০]

০৫ জানুয়ারি, ২০১৩

জীবুন পেরিয়ে অন্য জীবন

হীরার টুকরার মতন মুল্যবান একটা বাণী বুকে গেঁথে পথ চলার চেষ্টা করা উচিত আমাদের, সেটা হলোঃ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ


♥ “তোমাদের কেউই পূর্ণ ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না সে তার ভাইয়ের জন্য তা-ই পছন্দ না করবে যা সে নিজের জন্য পছন্দ করে।” ♥ [বুখারী ও মুসলিম]


# রিয়াদুস সলিহীন ১৮৩

আমি আজকে কিছু লিখতে চাইনি। দিনে অনেক লম্বা পথ পাড়ি দিয়েছি বাসে চড়ে। যাত্রাপথে চলার সময় বেশ কয়েকবার কিছু অনুভূতি আর ভাবনা খুব নাড়া দিয়েছে --

মনে হয়েছে, এমনি করেই কোন এক পথে আমার জীবন শেষ হয়ে যেতে পারে, আমি কি অযু করে বের হয়েছিলাম পথে? আমি কি আমার সর্বশেষ নামাজটা আল্লাহর সামনে দাঁড়ানোর কথা স্মরণ করে খুব মন দিয়ে আদায় করেছিলাম? আমি কি কারো প্রাপ্য পাওনা না দিয়ে নষ্ট করে পথ চলছি? আমি কি এই মূহুর্তেই মৃত্যুর বড় একটা মুসিবাতের মুখোমুখি হলে শাহাদাতের কালিমা মুখে উচ্চারণ করে বিদায় নিতে পারব মাটির পৃথিবী? আমি কি বুকের গহীনে খোদাই করতে পেরেছি মহান আল্লাহর একক ক্ষমতার বিশালত্ব, মহত্ব, ভালোবাসার পরিচয়গুলো? আমি কি তাকে ছাড়া আর কারো উপরে নির্ভর করি? আমি কি বিপদে পড়লে তার কাছেই সাহায্য চাই? নাকি অন্য কোন নশ্বর বস্তু/মানুষকে আমার ত্রানকর্তা হিসেবে ভাবি?

লিখতে এসে কিছুটা সাহিত্য বলে মনে হলেও, মৃত্যু মূহুর্ত নিয়ে এর চাইতেও গভীর করে উপলব্ধি করতে শিখেছি ইমাম আনওয়ার আল আওলাকির (রাহিমাহুল্লাহ) The Hereafter [আখিরাহ] লেকচার সিরিজে। এই সিরিজটা শুনতে যাবার আগে আমার কল্পনা ছিলনা যে জ্ঞান-অনুভূতি-আধ্যাত্মিকতার মিশ্রণ এতটা সুন্দর আর অসাধারণ হতে পারে বক্তার শব্দোচ্চারণ এবং শ্রোতার হৃদয়ে প্রোথিত হয়ে যাবার মাধ্যমে। লেকচার সিরিজটি মানুষের মাঝে ছড়িয়ে যাওয়ার জন্য যারা কাজ করেছেন, তাদেরকে আল্লাহ কবুল করুন। আল্লাহর ডাকে চলে যাওয়া এই ইমামের ভুলত্রুটি ক্ষমা করে আল্লাহ কবুল করে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন। 


মুসলিম উম্মাহকে জেগে উঠতে, জীবনের প্রকৃত অর্থকে বুঝাতে, অন্ধকারাচ্ছন্নতা থেকে মুক্তির দিকে আহবান করাতে এমন যত প্রচেষ্টা আছে পৃথিবীতে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা তাদের কবুল করে পথ দেখিয়া তা পৃথিবীবাসীর কাছে ছড়িয়ে দিন।

♥ রত্নভান্ডারের চাবি : http://kalamullah.com/anwar-alawlaki.html > THE HEREAFTER

কিছু কিশোর-কিশোরীর আলাপন হয় কী নিয়ে?

সেদিন মিরপুর যাচ্ছিলাম। বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছি লাইনে, পাশেই ইতস্তত আরো কয়েকটা ছেলেমেয়ে দাঁড়ানো, গায়ে তাদের স্কুল/কলেজ ইউনিফর্ম। একাধিক মেয়ে এবং একাধিক ছেলে, দাঁড়ানোর মধ্যে দৃঢ়তা নেই কারো, অস্বস্তি কাটাতে একটা ছেলে বুকে হাত বাধছিলো, আবার পকেটে হাত ঢুকাচ্ছিলো। একবার তাকিয়ে দেখলাম, সবার মাঝে কমবেশি রোমাঞ্চকর অনুভূতির জেল্লা বের হচ্ছে। বেশ অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকায় তাদের কথাবার্তার টপিক কানে এলো, মেয়েটা বলছিলো, -- 'অই তর চুল ভালো কইরা আছরাস না? এইরকম ক্যান লাগতেছে?' ... 'আরো ঘুম থেইকা উইঠা আইসা পড়সি, খেয়াল করি নাই'... এরপর খিলখিল হাসির শব্দ। 'তর ফেসবুকে কমেন্টে...' (বিপ বিপ) -- আলোচনার এই পর্যায়ে আমি অন্যদিকে মন দিলাম...

৪ জানু, ২০১৩

একদল আগন্তুকের কথা

ডানে বামে চেয়ে অনেক আগন্তুক দেখতে পাওয়া যায়। সমাজের আর দশটা মানুষের চাইতে এদেরকে সহজেই সনাক্ত করতে পারা যায় ভিন্নতার কারণে। সামাজিক প্রবাহের চাইতে ভিন্ন হওয়ায় এই আগন্তুকের দল অনেক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়, অনেক সময় জ্বলুনির কারণও হয়।
একজন মুসলিম তরুণ সবার কাছে গুরাবা বা Stranger (আগন্তুক) টাইপেরই। কেনই বা হবে না আগন্তুক?

আগন্তুকদের তো ক্লাসরুমে গলা বকের মতন বাঁকা করে পাশের কারো সাথে গুটুর গুটুর করা হয়না, লাইব্রেরিতে গিয়ে বইয়ের স্তূপের নিচে চিমটা চিমটি খেলা হয়না।

১ জানু, ২০১৩

আলাপন : নতুন বছর ২০১৩

{{ ১ }}

আজকের রাতটি খ্রিষ্টাব্দের শেষ দিন। হতভাগা আমাকেও একজন প্রশ্ন করেছে আজকের 'নাইটে' কি করব। আলহামদুলিল্লাহ উত্তর দিতে পেরেছি। আজকে ইনশাআল্লাহ রিয়াদুস সলিহীন থেকে কিছু পৃষ্ঠা পড়ব। এছাড়া কয়েকটা বই কিনেছিলাম, সেগুলো পড়ব। যতদূর স্মরণ হয়, আমার জীবনের এমন সকল 'নাইটে' আমি আমার নিজ গৃহে অবস্থান করেছি, আজকেও ইনশাআল্লাহ ব্যতিক্রম হবেনা।

নিজের ব্যক্তিগত অনুভূতি থেকে একসময় দলবদ্ধভাবে যত ছোট-বড় অশ্লীলতা/উত্তাল আনন্দ দেখেছি, দূরে থেকেছি। এখন আমি জানি, যারা প্রকাশ্যে অশ্লীল কাজ ও পাপ কাজ করে, আল্লাহ তাদের অকল্পনীয় শাস্তি দিবেন। একা একা করা পাপের সাক্ষী থাকে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, ফেরেশতা প্রমুখ। কিন্তু দলবদ্ধভাবে করা পাপের সাক্ষী অজস্র, কেউ আমাকে বিচারের দিনে ছেড়ে কথা বলবে না, সমাজে খারাপ কাজকে ছড়িয়ে দেয়ার দায় আমার কাঁধেই আসবে... আল্লাহ সমস্ত অন্যায় ও অশ্লীলতা থেকে আমাদের রক্ষা করুন।